মুখোমুখি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ: শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত হয়নি। এই সংঘর্ষের কারণ ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

রাজধানীর আজিমপুর-মিরপুর সড়কে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আবারও মুখোমুখি হয় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দাবি, আগের দিন ধানমন্ডি এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে কিছু অজ্ঞাত যুবক মারধর করে। তাদের ধারণা, হামলাকারীদের একজন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। পূর্বের বিরোধ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তারা।

[পড়ুন – প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ ]

ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন সিটি কলেজের শিক্ষকরা, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কলেজের মূল গেটে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে কয়েকজন আহত হন।


প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ

বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা ও জীবননাশের হুমকির মুখে হাথুরুসিংহে দেশ ছেড়ে নেপালে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। হাথুরুসিংহের এই দেশত্যাগের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঢেউ লাগে বাংলাদেশে, যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট জগতেও। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে পরিবর্তন আসে এবং ফারুক আহমেদ নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফারুক আহমেদ প্রধান কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দেন।

[পড়ুন – ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর কত ]

২০২৩ সালের ভারত বিশ্বকাপে স্পিনার নাসুম আহমেদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, তার কিছু আচরণগত সমস্যা নিয়ে বিসিবি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। হাথুরুসিংহে একদিনের মধ্যেই সেই নোটিশের জবাব দিলেও, বিসিবি সেই উত্তরকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে তার সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ‘কোড স্পোর্টস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহে সেই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করে জানান যে, তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিইও (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) আমাকে শেষবারের মতো বলেছিলেন যে আমার চলে যাওয়া উচিত এবং এই বিষয়ে বোর্ডের কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই। “আপনার কাছে কি (বিমানের) টিকিট আছে?” – এই প্রশ্নটি আমার কাছে একটি সতর্কবার্তা মনে হয়েছিল এবং তখনই আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম।’

বাংলাদেশের এই প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, ‘আমি সরাসরি ব্যাংকে যাই, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য অর্থ তোলার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি ব্যাংকে, তখন টিভিতে একটি জরুরি খবর প্রচারিত হয় – “চন্ডিকা চাকরিচ্যুত, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করেছেন”। এটি দেখে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, “কোচ, আমি আপনার সাথে যাব। রাস্তায় লোকজন আপনাকে দেখলে তা আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে।”’

হাথুরুসিংহে আরও যোগ করেন, ‘তখন আমি সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, কারণ আমার যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হতো। আমার এক বন্ধু আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমি একটি টুপি ও হুডি পরিহিত ছিলাম, কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি মধ্যরাতের ফ্লাইটে আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাই।’

গ্রেপ্তারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিমানবন্দরে আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারত। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে রানওয়েতে তার বিমান থামিয়ে তাকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। সেই ভয়গুলোই আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।’


থানার ওসি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীকের আলোচনা ভাইরাল: প্রশ্নবিদ্ধ আইন

একটি গোপন অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একজন থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এবং একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর মধ্যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। এই অডিওতে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই কথোপকথনের নৈতিকতা ও আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনাটি এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। এই অডিও লিক কীভাবে আরও বড় ইস্যুতে রূপ নেয়, তা দেখার জন্য সকলে উদগ্রীব।


গাজীপুরের শ্রীপুরে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম শিকদারের বাড়ি শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামে। অন্যদিকে, অডিওতে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ, সেই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল, যিনি শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত।

ব্যবসায়ী সেলিম সিকদার অভিযোগ করেছেন, গত ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি রমজানের ছয় দিন আগে প্রায় এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এর আগে তিনি রিদিশা গ্রুপের ফর্মুলা ওয়ান কারখানায় ঝুট ব্যবসা করতেন। তার দাবি, গ্রেপ্তারের দিন ওসি জয়নাল আবেদীন তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, ঝুট ব্যবসার সময় ওসি প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা নিতেন এবং টাকা না দিলে ব্যবসা করতে বাধা দিতেন। প্রাণের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ওসি বিভিন্ন লোক মারফত তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এমনকি, ফেসবুকে লাইভে এসে ওই অডিওটিকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও সেলিম সিকদার সোমবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন।

ডিজিটাল সেলার বিজ্ঞাপন ফ্রি প্রচার

ফাঁস হওয়া ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে টেলিফোনের অন্য প্রান্তে ওসিকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সেলিম সিকদারকে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে সাহায্য করছেন। ওই মধ্যস্থতাকারীকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিলে সেলিম নির্বিঘ্নে ঝুট পরিবহন করতে পারবেন বলে ওসি তাকে আশ্বস্ত করেন। অডিওর এক পর্যায়ে ওসিকে সেলিম শিকদারের কাছে ফুল হাতা গেঞ্জি চেয়ে নিতেও শোনা যায়।

তবে, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল অডিও ক্লিপে থাকা কণ্ঠস্বর নিজের নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এটা আমার নলেজে নাই। সারাদিন ফোনে অনেক মানুষের সাথে কথা বলি। কাজের কথা বলি। কাজের বাইরে কোনো কথা বলি না। অডিওর বিষয়টি আমার নলেজে নাই।”

এই প্রসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মোঃ যাবের সাদেক জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কথপোকথনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে আমাদের কথা বলা দরকার। উনাকে নির্ভয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। উভয়ের বিষয়টি তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন


ফসলের ন্যায্য মূল্য চেয়ে কৃষকদের ঢাকার দিকে লংমার্চ

কৃষকদের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার-বীজের দাম কমানো, কৃষি ঋণ সহজীকরণ, সেচ সুবিধা প্রসার এবং কৃষি বীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো নিয়ে কৃষকরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এই আন্দোলন কৃষি খাতের সংকট সমাধান ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের মূল দাবিগুলো পেশ করার জন্য এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে, যা কৃষি নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি নিয়ে কৃষক ঐক্য পরিষদ একটি দীর্ঘ পদযাত্রা করেছে। বগুড়া থেকে শুরু হওয়া এই সাত দিনের লংমার্চটি রবিবার (২০ মার্চ) রংপুরে এসে পৌঁছায়। রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

রংপুর ব্যুরো:

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু ও পেঁয়াজ কমিশন গঠন করা, প্রতিটি উপজেলায় কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা, ঢাকা সহ সারা দেশে কৃষকদের জন্য সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা, কৃষি কাজে ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও টোল আদায় বন্ধ করে রেলপথে ওয়াগন বরাদ্দ করা, সরকারি পতিত জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ এবং তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা, সরকারি উদ্যোগে কৃষি বীমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে কৃষকদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপসের আধুনিকায়ন ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ করা।

মতবিরোধের বিষয়গুলো উঠবে আলোচনায় এনসিপির

কৃষক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এই লংমার্চটি গত ১৭ এপ্রিল বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে। রংপুরে কর্মসূচি শেষে এটি লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হবে। এরপর নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও হয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল পঞ্চগড়ে গিয়ে সমাপ্ত হবে। নেতারা আরও জানান, তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ, মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

টঙ্গীতে দিনদুপুরে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

টঙ্গীর একটি ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক যুবককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পূর্বশত্রুতা নাকি গ্যাং কালচার—এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল কলোনী বস্তি এলাকায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হন।

নিহত শিজন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার কান্দিপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার পুত্র। তিনি তার পরিবারের সাথে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া রেল কলোনী এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিজন টঙ্গীর রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করতেন।

ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে শিজন যখন টঙ্গী রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন, তখন স্থানীয় দুজন যুবক সেখানে এসে তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুকের বাম দিকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক বাংলা শিরোনাম

আহত শিজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে, পরিবারের সদস্যরা তাকে উত্তরাস্থ আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহতের মরদেহ নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে যে, পূর্বের কোনো শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, নিহত সিজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

তিন পর্যায়ে কমলো ইন্টারনেট খরচ

দেশে ইন্টারনেট সেবার মূল্য তিন পর্যায়ে কমানো হয়েছে, যা গ্রাহকদের জন্য একটি বড় সুখবর। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে ডিজিটাল সেবা আরও সাশ্রয়ী হয়। প্রথম ধাপে ১০%, দ্বিতীয়তে ১৫% এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২০% পর্যন্ত দাম কমতে পারে। এই পদক্ষেপ ডাটা ব্যবহারকারী, ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক হবে। ইন্টারনেটের প্রসার ও গতিশীলতা বাড়াতে নীতিনির্ধারকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সম্প্রতি জানিয়েছেন, দেশব্যাপী তিন ধাপে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাস করা হচ্ছে। সোমবার সকালে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই তথ্যটি তিনি সকলের সাথে ভাগ করে নেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আইটিসি (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট), আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং এনটিটিএন (ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) স্তরে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত সংস্থা আইএসপিএবি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে গ্রাহকদের ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ ৫০০ টাকায় দেওয়া হবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সকল সেবার ওপর ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ সাশ্রয়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে বলেও তিনি জানান।

মেসির পারফরম্যান্সে উত্তাল স্টেডিয়াম

মোবাইল অপারেটরদের প্রতি ইন্টারনেটের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, সরকার ইতিমধ্যে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো আধুনিক সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। ফলস্বরূপ, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর এখন আর দাম না কমানোর কোনো সঙ্গত কারণ অবশিষ্ট নেই।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো হলে সাধারণ মানুষের আর্থিক কষ্টের কিছুটা উপশম হবে। সরকারের চাওয়া হলো মোবাইল কোম্পানিগুলো দুটি দিক থেকে মূল্যছাড় প্রদান করুক: প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যে অতিরিক্ত দাম ধার্য করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা; এবং দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন পর্যায়ে যে হারে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেই অনুপাতে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মান নিয়ে অনেক অভিযোগ বিদ্যমান, এবং মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। তাই সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, গ্রাহকদের স্বার্থে একটি ন্যায্য ও সুসংহত মূল্য নীতি বাস্তবায়ন করা।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

গ্র্যাজুয়েশন হয়নি এখনো, এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু | একদেশ পত্রিকা

“একজন তরুণ, যিনি ডিগ্রি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি পেয়েছেন এবং এখন ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করছেন, তার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা সম্পর্কে জানুন। পড়াশোনা ও কর্মজীবনের সাফল্যের মিশেলে তৈরি করেছেন একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তার গল্প আপনাকে নতুন সুযোগের প্রতি অনুপ্রাণিত করবে এবং ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিবে।”


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

তখন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর প্রতিষ্ঠা খুব বেশি দিনের নয়। তেমন একটা পরিচিতিও তৈরি হয়নি, উপরন্তু তথাকথিত প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল না। এমতাবস্থায় মাসুদ ইফতেখার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করার আগেই একটি চাকরির প্রস্তাব হাতে পান। বর্তমানে তিনি সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থা এরিকসনের ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের ‘কি অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোলার’ পদে কর্মরত। এর আগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব নিজেকে কীভাবে আজকের অবস্থানে উন্নীত করেছেন?

শিক্ষকের নির্দেশনায় পথচলা:

২০০৭ সালে ইউআইইউর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মাসুদ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কোন স্মৃতি বিশেষভাবে মনে পড়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলেন, ‘শিক্ষকদের সান্নিধ্যে কাটানো সময়গুলো আমার কাছে অমূল্য। সম্ভবত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় আমরা তাঁদের কাছ থেকে এতটা নিবিড় মনোযোগ ও সহযোগিতা পেয়েছি। তাঁরা আমাকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি জীবনে সফল হওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি আমি ইংরেজি বিভাগের টিএ (শিক্ষকের সহকারী) হিসেবেও কাজ করেছি।’


আরোও পড়ুন

আন্তর্জাতিক ইংরেজি সংবাদ শিরোনাম [বাংলাতে অনুবাদ করা হয়েছে]


ইউআইইউর তৎকালীন ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে প্রায় বারো ঘণ্টা সময় কাটাতেন মাসুদ। তবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার চেয়ে লেখাপড়ার প্রতিই তাঁর মনোযোগ ছিল বেশি। শিক্ষকদের উৎসাহমূলক কথা তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করত। মাসুদ স্মরণ করেন, ‘আমাদের তৎকালীন ডিন হাবীব স্যার প্রায়ই বলতেন, “মানুষ যা করেছে, মানুষ তা করতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর একজন শিক্ষার্থী যদি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারে, তুমিও পারবে। বড় স্বপ্নকে সামনে রেখে আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।”’ তাঁর বিশ্বাস, এই মূল্যবান পরামর্শ এবং উপদেশগুলোই আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে তাঁকে সাহায্য করেছে।

চাকরির পাশাপাশি মাসুদ ইফতেখার নবীন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি সিলিকন ভ্যালির ‘ফাউন্ডার ইনস্টিটিউট’ ও ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর সাথে যুক্ত আছেন। তিনি অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের উপায় বাতলে দেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়োজিত সেশনে মেন্টর হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে আক্ষেপের সাথে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সেশনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেখতে পাননি। তিনি বলেন, ‘হয়তো তাঁরা অন্য কোথাও কর্মরত আছেন এবং ভালো করছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে তাঁদের দেখা হয়নি। তবে বাংলাদেশের কোনো সংস্থা যদি আমাদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা চায়, আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকতে প্রস্তুত।’

মাসুদ ইফতেখার গত এক বছর ধরে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও যাত্রা শুরু করেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় নবায়নযোগ্য সৌরশক্তিতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও, তিনি সেই দেশে কৃষিকাজের সাথেও জড়িত।

নিজেকে প্রমাণ করার সংগ্রাম:

প্রায় আঠারো বছরের কর্মজীবনে মাসুদ বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করেছেন। তবে তাঁর কর্মজীবনের শুরুটা সহজ ছিল না। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘যখন আমি স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র, তখনই আমার চাকরি হয়। কিন্তু অফিসে যোগ দিয়ে দেখি, আমার প্রায় ৭০ শতাংশ সহকর্মী আইবিএ থেকে এসেছেন। এরপরের উল্লেখযোগ্য অংশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তখন তেমন পরিচিত ছিল না। আমি যখন বলতাম ইউআইইউ, ধানমন্ডি, তখন অনেকেই চিনতেন না। আমাকে প্রতিনিয়ত নিজের কাজের মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়েছে। প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর মানুষ আমার শিক্ষাগত পটভূমি নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করে। এরপর তারা আমার কাজ দিয়েই আমাকে মূল্যায়ন করত।’

আজকের এই অবস্থানে পৌঁছানোর পেছনে একটি সুচিন্তিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই মাসুদ চিন্তা করতেন, পাঁচ বছর পর তিনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান। ২০১০ সালে যদি সহকারী ব্যবস্থাপক হতে চান, তাহলে ২০০৭ সালেই চাকরিতে যোগদান করতে হবে—এই ধরনের হিসাব তিনি তখন থেকেই করতেন। শিক্ষক ও মেন্টরদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি জীবনের প্রতিটি ধাপে পরিকল্পনা করে এগিয়েছেন। ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য তিনি এক্সেলে বাৎসরিক পরিকল্পনা লিখে রাখতেন।

প্রথম চাকরির সাক্ষাৎকারে বসার সময় তাঁর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। শুধুমাত্র ভালো সিজিপিএ এবং বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ছিল তাঁর সম্বল। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে মাসুদ ইফতেখার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ বা পরামর্শ হলো, ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের বিষয়ে দক্ষ হও। অনেকে মনে করে, শুধু ইংরেজি জানলেই স্মার্ট হওয়া যায়। কিন্তু বিদেশে সবাই ইংরেজি জানে, সবাই তো সফল নয়। তাই নিজের বিষয়ের ওপর গভীর জ্ঞান রাখার পাশাপাশি কোম্পানিগুলো কীভাবে সেই জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করছে, তা জানতে হবে। যেকোনো কাজের চ্যালেঞ্জ ও সুবিধা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। নতুন কোনো ধারণা তৈরি করতে পারলে তা অত্যন্ত মূল্যবান।’

মাসুদ ‘ব্যর্থ’ শব্দটিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। তাঁর মতে, ‘যদি প্ল্যান এ কাজ না করে, তবে প্ল্যান বি তো আছেই। একটা উপায় ব্যর্থ হলে, অন্য কোনো উপায় নিশ্চয়ই সফল হবে। সাফল্যের চেয়ে শতভাগ চেষ্টা করার মানসিকতাই বরং বেশি জরুরি।’


Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

“অস্থায়ী সংকট” সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হচ্ছেনা, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ | একদেশ পত্রিকা

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফারুক সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি না হওয়া প্রসঙ্গে “অস্থায়ী বাজার মন্দা”র কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় মিডিয়া সত্ত্ব বিক্রিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফারুক এই অবস্থাকে অস্থায়ী সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবস্থার উন্নতি হবে। বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্যকে বর্তমান মিডিয়া শিল্পের চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।


ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আসন্ন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, এই দুটি দেশের মধ্যেকার ক্রিকেট লড়াই সরাসরি দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে না পারায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

আজ শনিবার বনানীতে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একেবারে শুরু থেকে বলতে হবে। বর্তমানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে এক ধরনের মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। সরকারের পরিবর্তনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগছে।’

বিটিভি খেলা সম্প্রচার করলেও, এর জন্য বিসিবি কোনো আর্থিক সুবিধা পাবে না। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ খেলা দেখানোর জন্য বিটিভির কাছ থেকে সম্প্রচার সময় (স্লট) পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিটিভি খেলা দেখাচ্ছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিটিভির সম্প্রচার সময় পাওয়া বেশ কঠিন। বোর্ডের পক্ষ থেকে সচিব মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিটিভির সম্প্রচার সময় কিনতে হয়। আমরা তার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যে বিটিভি বিনামূল্যে আমাদের খেলা দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে অন্ততপক্ষে খেলাটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’

বিটিভি ছাড়াও অন্য কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খেলা সম্প্রচার করা যায় কিনা, সেই চেষ্টাও চালাচ্ছে বিসিবি। বিসিবি প্রধান আরও জানান, ‘আমরা এখনো আলোচনা করছি, অন্য কোনো টিভি চ্যানেল পাওয়া যায় কিনা। যদি এই ম্যাচ নাও দেখানো সম্ভব হয়, আমরা পরের ম্যাচের জন্য চেষ্টা করব। এছাড়াও, আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির প্রক্রিয়াও চলছে। আমরা এর জন্য দরপত্র (টেন্ডার) তৈরি করে ফেলেছি এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাব।’


Exit mobile version