গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে তালাক দিলেন তালহা

হ্যাপির গর্ভাবস্থার খবর শুনেই তালহা তাকে তালাক দিয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার পিছনের গল্প, হ্যাপির বর্তমান অবস্থা এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়া জানুন। বিবাহিত জীবনের এমন নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তের প্রভাব ও আইনি দিকগুলো নিয়ে আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন পড়ুন।


সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি তার স্বামী তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে তালহা তাদের কন্যা সন্তান আরোয়াকে অস্বীকার করেছেন এবং গর্ভাবস্থায় তাকে তালাক দিয়েছেন।

হ্যাপির প্রধান অভিযোগসমূহ:

  • স্বামী তাদের কন্যাকে নিজের সন্তান হিসেবে স্বীকার করেননি
  • গর্ভাবস্থায় তাকে তালাক দিয়েছেন
  • সন্তানের ডিএনএ টেস্ট করার হুমকি দিয়েছেন
  • কন্যাকে দেখতে যাননি মাত্র ৩-৪ বার
  • তার উপার্জিত অর্থ ও সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন

হ্যাপি বলেন, “তালহা মাসে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করতেন। আমার উপার্জন দিয়ে বছরগুলো কাটিয়েছেন, এখন আমার মোবাইল পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি বারবার বলেছি সন্তানের জন্য স্ত্রীকে রাখতে, কিন্তু তিনি বলতেন সন্তানটি তার মায়ের মতো দেখতে, তাই পছন্দ হয় না।”


নারী-শিশুসহ ৫ জনকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে বোতল বেঁধে নারী-শিশুসহ ৫ বাংলাদেশিকে নদীতে ফেলার মর্মান্তিক অভিযোগ উঠেছে। এই নৃশংস ঘটনার বিস্তারিত তথ্য, সরকারের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান জানুন। সীমান্তে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও এই ঘটনার তদন্ত সম্পর্কে সর্বশেষ খবর পড়ুন।


ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এক মর্মান্তিক ঘটনায় হরিয়ানা থেকে ধরে আনা এক পরিবারকে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএসএফের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ভোরে রামগড়ের সোনাইপুল এলাকায় নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা হলেন:

  • উমেদ আলী (৪২)
  • তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫)
  • তিন কন্যা সুমাইয়া (৮), রুম্পা (১২) ও রুমি (১৫)

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টায় ভেজা কাপড়ে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পরিবারটিকে দেখে স্থানীয়রা বিজিবিকে খবর দেয়। উদ্ধার হওয়ার পর উমেদ আলী জানান, হরিয়ানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে। বুধবার রাত ১২টার দিকে তাদের কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। রাতভর ভেসে ভেসে ভোরে বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছান তারা।

রামগড় ইউএনও ইসমত জাহান তুহিন জানিয়েছেন, মানবিক বিবেচনায় পরিবারটিকে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তারা নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক দাবি করলেও বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।


হিটু শেখ হত্যার বিচার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের

হিটু শেখ হত্যা মামলার নথি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিচারপ্রক্রিয়ার গতি আনার দাবিতে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি ও পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ এখন হাইকোর্টের বিবেচনায় রয়েছে।


আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাকি তিনজন খালাস

শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৭ মে বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অন্য তিন আসামি—সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও মা রোকেয়া বেগম (হিটু শেখের স্ত্রী) খালাস পেয়েছেন।

মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়, যেখানে সে এককভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে। আদালত তার জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট, সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ও ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। অভিযোগ গঠনের ২১ দিনের মাথায় মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

গত ৬ মার্চ মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে এসে হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এরপর আছিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল এবং সর্বশেষ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর শিশুটির মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ১৩ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল এবং ৭ মে শেষ হয়। ৮ মে আসামিদের ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা ও ১২-১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণা করা হয়।

এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে দ্রুত হাইকোর্টে শুনানি শুরু হবে কি না, তা প্রধান বিচারপতির দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর নির্ধারণ হবে।


 মোটরসাইকেলে এসে যুবলীগ কর্মীর ওপর হামলা, 

“মোটরসাইকেল আরোহীদের হামলায় আহত হয়েছেন একজন যুবলীগ কর্মী। ঘটনাস্থল থেকে আক্রমণকারীরা পালিয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলার কারণ এখনো অস্পষ্ট। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। আহত কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।”


গোলাপগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় যুবলীগ কর্মী আহত
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মেহেদী হোসাইন ওরফে আরিফ (৩৯) নামে এক যুবককে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেতিমগঞ্জ বাজার এলাকায় এ হামলা চালানো হয়।

মেহেদী হোসাইন গোলাপগঞ্জের মোশাহিদহাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলা-নাশকতার এক মামলায় গ্রেপ্তার হলেও দেড় মাস আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

হামলার বিস্তারিত:
পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা যায়, হেতিমগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের সামনে মোটরসাইকেল চড়ে ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত মেহেদীর ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে তাকে জখম করে। পাশে দুটি সিএনজি অটোরিকশায় আরও কয়েকজন দুর্বৃত্ত অপেক্ষা করছিল। হামলাকারীরা মেহেদীকে মৃত ভেবে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হামলার পেছনের কারণ:
মেহেদীর এক আত্মীয় জানান, কিছুদিন আগে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার কাছ থেকে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। স্থানীয় পূর্ববর্তী বিরোধ ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ইস্যুকে হামলার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে, পুলিশ এখনও বিষয়টি তদন্ত করছে।

পুলিশের বক্তব্য:
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মোল্লা জানান, প্রাথমিকভাবে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে হামলার কারণ হিসেবে দেখা হলেও তদন্ত চলমান। মেহেদীর রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে পুলিশের কোনো তথ্য নেই বলেও তিনি জানান।


সিরাজগঞ্জে ২ গ্রামের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক কৃষকের

সিরাজগঞ্জে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এই সহিংসতার সূত্রপাত। সংঘর্ষে আরও কয়েকজন আহত হয়েছে এবং এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।


সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষে নজরুল ইসলাম (৪৫) নামের এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বাগধোনাইল ও কুলিয়ার চর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সহিংস ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন।

নিহত নজরুল ইসলাম বাগধোনাইল গ্রামের বাসিন্দা। সংঘর্ষ শুরু হলে দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। এতে নজরুল মারাত্মক আহত হন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন বলে স্থানীয়রা জানান।

ঘটনার পর শাহজাদপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, নজরুল ইসলামের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং সংঘর্ষকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতি শান্ত থাকে।


ঠিকাদারি নিয়ে রাজশাহী ও নওগাঁর দুই বিএনপি নেতার ফোনালাপ ফাঁস

রাজশাহী ও নওগাঁর দুই বিএনপি নেতার মধ্যে ঠিকাদারি বণ্টন নিয়ে হওয়া ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। কথোপকথনে দেখা যায়, তারা লাভ ভাগাভাগি ও প্রকল্প নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত। এই অডিও ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছে, যা দুর্নীতি ও স্বার্থসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আরও ঘনীভূত করেছে।


রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার সদ্য সাবেক বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান রুবেল সম্প্রতি একটি ফোনালাপে নওগাঁ জেলার এক ঠিকাদারকে হুমকি দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে ৯ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের এই কথোপকথনে তিনি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন। যার অপরপক্ষ ছিলেন মান্দা উপজেলার সাবেক ছাত্রদল নেতা ও ইউনিয়ন বিএনপির প্রাক্তন সদস্য শাহজাহান আলী।

ঘটনার সূত্রপাত রাজশাহীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বৃক্ষপালন শাখার একটি দরপত্রকে কেন্দ্র করে। জানা গেছে, ৯টি লটে গাছ বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হলে শাহজাহান দুটি লটের কাজ প্রায় ছয় লাখ টাকায় পান। তিনি বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে টেন্ডার জমা দেন, যাতে স্থানীয় চক্রের নিয়ন্ত্রণ এড়ানো যায়।

ফোনালাপে মাহবুবুর বলেন, “১৭ বছর খাইনি, এখন খাব। রোডসে টেন্ডার দিবেন না।” শাহজাহান উত্তর দেন, “আমিও ১৬ বছর পর কাজ পেলাম।” এরপর মাহবুবুর উত্তেজিত হয়ে কটু ভাষায় কথা বলেন। এসময় আরেক ব্যক্তি, হারুন নামে নিজেকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবীরের ভাই পরিচয় দিয়ে, শাহজাহানকে দ্রুত দেখা করার জন্য চাপ দেন।

শাহজাহান বলেন, “আমি আসব, তবে আগে লট কাটি, তারপর তো টাকা আসবে।” হারুন তখন বলেন, “ঈদের আগেই সব মিটমাট করতে হবে।” এই কথোপকথনে প্রকাশ পায় রাজনৈতিক প্রভাব ও ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাত ও ক্ষমতার খেলা।


সংগীতশিল্পী নোবেল অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার

বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী নোবেলকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে এক তরুণীকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ ও শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নোবেলের বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।


ডেমরা থানার পুলিশ কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান।

ওসি মাহমুদুল জানান, জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ পাওয়া এক ফোনকলের ভিত্তিতে ডেমরার সারুলিয়ার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। পরে ভিকটিম রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, মাঈনুল আহসান নোবেল জি বাংলা চ্যানেলের জনপ্রিয় সংগীত প্রতিযোগিতা ‘সারেগামাপা’র মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তবে সাফল্যের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত নানা বিতর্ক ও আইনি ঝামেলার মধ্যেও পড়ে গেছেন একাধিকবার।


৪৪ জন গ্রেপ্তার, শাহিনসহ মোহাম্মদপুরে ‘পাটালি গ্রুপ’-এর বিরুদ্ধে অভিযান

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে ‘পাটালি গ্রুপ’-এর শীর্ষ নেতা শাহিনসহ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। বিস্তারিত পড়ুন এই অভিযানের পেছনের তথ্য, গ্রেপ্তারকৃতদের পরিচয় এবং সম্ভাব্য আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে।


মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের নেতৃত্বে রোববার (১৮ মে ২০২৫) রাতভর একটি ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ৪৪ জন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

থানা সূত্র জানায়, ১৫ মে গভীর রাতে মোহাম্মদপুরের ইত্যাদি মোড় এলাকায় বসবাসকারী রাব্বির বাসার সামনে তার পরিবারের ছয় সদস্যকে ‘পাটালি গ্রুপ’-এর সদস্যরা কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এই নৃশংস ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান শুরু করে এবং একে একে সন্দেহভাজন অপরাধীদের আটক করতে থাকে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন: শাহিন (২১), শ্রীনাথ মন্ডল (২৫), আসাদ (৫৫), কুরবান (২৬), সাকিব (২২), সজিব (১৯), পারভেজ (২০), মোশাররফ (২৫), রুবেল (২৭), রিয়াজ (১৮), শাহীন (২৮), ইমন (২৫), রকি (২২), রাজা (৩৮), তুষার (২৫), সজল (২৮), হেলাল (৩৭), হৃদয় (২১), মুরসালিন (২০), মামন (২০), সাফায়েত (২০), শুভ (১৯), সালমান (১৮), মাজহারুল (১৮), রাব্বি (১৮), আবজাল (১৯), ইয়াসিম (১৯), জহিরুল (১৯), বাবু (১৯), রুমান (২১), জহিরুল (১৮), সুমন (৩০), সোকেল (১৮), এমদাদুল (২৫), সাগর (২২), শাকিব (২০), উজ্জ্বল (৩১), আকরাম (২০), জিসান (২৩), জিল্লুর (২৩), হৃদয় (৩১), শাকিব (২২), রিয়াজ (২৮) ও সোহাগ (২৮)।

পুলিশ জানায়, আটককৃতদের সোমবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।


Exit mobile version