টঙ্গীর একটি ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক যুবককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পূর্বশত্রুতা নাকি গ্যাং কালচার—এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজ ও ইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন
গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল কলোনী বস্তি এলাকায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হন।
নিহত শিজন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার কান্দিপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার পুত্র। তিনি তার পরিবারের সাথে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া রেল কলোনী এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিজন টঙ্গীর রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করতেন।
ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে শিজন যখন টঙ্গী রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন, তখন স্থানীয় দুজন যুবক সেখানে এসে তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুকের বাম দিকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক বাংলা শিরোনাম
আহত শিজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে, পরিবারের সদস্যরা তাকে উত্তরাস্থ আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহতের মরদেহ নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে যে, পূর্বের কোনো শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, নিহত সিজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।