মুখোমুখি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ: শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত হয়নি। এই সংঘর্ষের কারণ ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

রাজধানীর আজিমপুর-মিরপুর সড়কে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আবারও মুখোমুখি হয় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দাবি, আগের দিন ধানমন্ডি এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে কিছু অজ্ঞাত যুবক মারধর করে। তাদের ধারণা, হামলাকারীদের একজন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। পূর্বের বিরোধ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তারা।

[পড়ুন – প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ ]

ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন সিটি কলেজের শিক্ষকরা, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কলেজের মূল গেটে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে কয়েকজন আহত হন।


ফসলের ন্যায্য মূল্য চেয়ে কৃষকদের ঢাকার দিকে লংমার্চ

কৃষকদের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার-বীজের দাম কমানো, কৃষি ঋণ সহজীকরণ, সেচ সুবিধা প্রসার এবং কৃষি বীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো নিয়ে কৃষকরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এই আন্দোলন কৃষি খাতের সংকট সমাধান ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের মূল দাবিগুলো পেশ করার জন্য এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে, যা কৃষি নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি নিয়ে কৃষক ঐক্য পরিষদ একটি দীর্ঘ পদযাত্রা করেছে। বগুড়া থেকে শুরু হওয়া এই সাত দিনের লংমার্চটি রবিবার (২০ মার্চ) রংপুরে এসে পৌঁছায়। রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

রংপুর ব্যুরো:

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু ও পেঁয়াজ কমিশন গঠন করা, প্রতিটি উপজেলায় কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা, ঢাকা সহ সারা দেশে কৃষকদের জন্য সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা, কৃষি কাজে ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও টোল আদায় বন্ধ করে রেলপথে ওয়াগন বরাদ্দ করা, সরকারি পতিত জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ এবং তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা, সরকারি উদ্যোগে কৃষি বীমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে কৃষকদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপসের আধুনিকায়ন ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ করা।

মতবিরোধের বিষয়গুলো উঠবে আলোচনায় এনসিপির

কৃষক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এই লংমার্চটি গত ১৭ এপ্রিল বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে। রংপুরে কর্মসূচি শেষে এটি লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হবে। এরপর নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও হয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল পঞ্চগড়ে গিয়ে সমাপ্ত হবে। নেতারা আরও জানান, তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ, মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

আওয়ামী লীগের মিছিল পরিচালনা করতে গিয়ে শাহে আলম মুরাদ গ্রেফতার | একদেশ পত্রিকা

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শাহে আলম মুরাদকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ এপ্রিলের ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্ব, ছয়টি ফৌজদারি মামলা এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে চলছে তদন্ত। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

শাহ আলম মুরাদ ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার, ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্বের অভিযোগ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

আরেক যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের ৬ তারিখ সকালে ঢাকায় একটি ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাহে আলম। তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটে ৬ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে, যখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে একটি আকস্মিক মিছিল বের করেন। তাঁদের দাবি ছিল, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় নেতাদের মুক্তি। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেই ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

Exit mobile version