শিক্ষার নতুন যুগে এআই নেতৃত্ব দেবে: ডেমিস হাসাবিসের বিশ্লেষণ

ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। তাঁর মতে, এআই শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং দক্ষ করে তুলতে সক্ষম। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে ছাত্ররা নিজেদের শেখার গতিতে, নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনে পারদর্শী হবে। ভবিষ্যতের শিক্ষা ব্যবস্থায় এআই একটি বড় চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


গত কয়েক বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির নানামুখী অগ্রগতি চোখে পড়ছে, যা একদিকে যেমন বিস্ময় তৈরি করছে, তেমনি ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগও বাড়াচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এআই একসময় মানুষের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। তবে এআই প্রযুক্তিকে হুমকি নয়, বরং সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন গুগল ডিপমাইন্ডের প্রধান নির্বাহী ডেমিস হাসাবিস।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কুইন্স কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক আলোচনায় হাসাবিস বলেন, “আগামী দশকে পরিবর্তন হবে সবচেয়ে নিশ্চিত বিষয়। তাই আমাদের সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, এআই, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR), অগমেন্টেড রিয়েলিটি (AR), এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তিগুলো আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তার মতে, এই প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সময়ই সৃষ্ট হয় নতুন সম্ভাবনার দ্বার।

[আরোও পড়ুনঃচাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

“নব্বইয়ের দশকে যখন আমরা গ্র্যাজুয়েট হচ্ছিলাম, তখন ইন্টারনেট, মোবাইল এবং গেমিং আমাদের কাছে নতুনত্ব এনেছিল,”—বলেন হাসাবিস। তিনি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন, “আপনাকে নতুন প্রযুক্তি শেখার প্রতি আগ্রহী হতে হবে, সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, “যারা আজ শিক্ষার্থী, তাদের উচিত যত বেশি সম্ভব নতুন প্রযুক্তি রপ্ত করা। সফল হতে হলে প্রযুক্তির গতি বুঝে দ্রুত তা আয়ত্ত করতে হবে।”


বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের দাবি ঘিরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে প্রতিষ্ঠানটির সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নানা অভিযোগ ও অসন্তোষের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে।


🔻 ছয় দফা দাবিতে বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন আন্দোলন

বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে বুধবার (৭ মে) সকাল ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন। কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ঘোষণা—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) একই দাবিতে কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষকদের বাধা ও হামলার অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, কিছু শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী তাদের উপর শারীরিকভাবে হামলা চালিয়েছেন। এতে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

[আরোও পড়ুনঃ উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন ধাপ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শুভ বলেন, “আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দাবি জানিয়েছিলাম, অথচ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। দাবি মানা ও হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থামাব না।”
আরেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি ভুল পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। কিন্তু কিছু শিক্ষক আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।”

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ,
  2. ইন্টার্নশিপ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা,
  3. পর্যাপ্ত শিক্ষক ও আধুনিক ল্যাব সুবিধা,
  4. আবাসন সংকটের সমাধান,
  5. শিক্ষার মানোন্নয়ন,
  6. নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করা।

প্রাইমএশিয়া ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন: পারভেজ হত্যার বিচার চাই

প্রাইমএশিয়া শিক্ষার্থীরা পারভেজ হত্যার বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে। তারা ন্যায়বিচার ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও আন্দোলন ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। পারভেজ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে।


বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে তার সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারত সফর]

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা উল্লেখ করে, প্রকাশ্যে পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী অনেকেরই এখনো গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত তাদের গ্রেফতার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রাঙ্গণে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের প্রবেশ বন্ধ এবং অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুজন নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই পর্যন্ত পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।


একদেশ–ই –প্রত্রিকা,
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঢাকা।

মুখোমুখি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ: শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত হয়নি। এই সংঘর্ষের কারণ ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

রাজধানীর আজিমপুর-মিরপুর সড়কে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আবারও মুখোমুখি হয় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দাবি, আগের দিন ধানমন্ডি এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে কিছু অজ্ঞাত যুবক মারধর করে। তাদের ধারণা, হামলাকারীদের একজন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। পূর্বের বিরোধ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তারা।

[পড়ুন – প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ ]

ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন সিটি কলেজের শিক্ষকরা, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কলেজের মূল গেটে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে কয়েকজন আহত হন।


Exit mobile version