গাবতলী: বিএডিসির মূল্যবান জমি দখলে, অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণ

রাজধানীর গাবতলীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জবরদখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই দখলের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করছে। সরকারি সম্পত্তি বেদখল হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিস্তারিত জানতে খবরটি পড়ুন।


গাবতলীতে প্রভাবশালী মহলের দৌরাত্ম্য, বিএডিসির ১০০ কোটি টাকার জমি ট্রাকস্ট্যান্ডে পরিণত

ঢাকার গাবতলীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ উৎপাদন খামারের প্রায় তিন বিঘা মূল্যবান জমি জবরদখল করে নিয়েছে আন্তজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন। প্রাথমিকভাবে এক বিঘা জমি দখল করা হলেও, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দখলের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন বিঘায়, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বিএডিসির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, সময়ের সাথে সাথে দখলের পরিধি আরও বাড়তে পারে।

[পড়ুন – আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের শীর্ষ শিরোনাম ]

বিএডিসি কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, বেদখল হওয়া জমিটি গাবতলীর মাজার রোডে অবস্থিত বীজ উৎপাদন খামারের অভ্যন্তরে। পূর্বে এই জমি পাঁচ বছরের জন্য ঢাকা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে মালামাল রাখার জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছিল, যার মেয়াদ গত বছরের জুনে শেষ হয়। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জমিটি বিএডিসিকে ফেরত না দেওয়ায় এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে দখলদাররা।

বিএডিসির কর্মকর্তারা আরও জানান, গত ২৩শে মার্চ আন্তজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা সরকারি দেয়াল ভেঙে প্রায় এক বিঘা জমি দখল করে নেয়। তৎক্ষণাৎ দারুস সালাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও, শুরুতে আগ্রহ দেখালেও পরবর্তীতে থানা পুলিশ কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি। এই নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে দখলদাররা আরও বেশি জমি দখলের দুঃসাহস দেখিয়েছে। ১৬ই এপ্রিল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা প্রায় তিন বিঘা জমি বেদখল হওয়ার প্রমাণ পান এবং বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মেট্রোরেল কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের প্রধান ফটকের পশ্চিমে মসজিদ সংলগ্ন সরকারি দেয়াল ভেঙে একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে এবং সেই পথ দিয়ে দখলকৃত জমিতে সারি সারি ট্রাক পার্ক করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক জানান, জমিটি অব্যবহৃত থাকায় তারা এখানে ট্রাক রেখেছেন।

মিরপুর বীজ উৎপাদন খামারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান খান জানান, কিছু ব্যক্তি খামারের জমি দখল করে ট্রাকস্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে এবং কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তায় দখলের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বিষয়টি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি।

বিএডিসির সূত্র জানায়, ১১৭.০৮ একরের বিশাল মিরপুর বীজ উৎপাদন খামারটি ১৯৫৭ সালে অধিগ্রহণ করা হয়। অতীতেও এই খামারের জমি দখলের চেষ্টা হয়েছে, ২০১৬ সালে একটি ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালে নার্সারির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ট্রাকস্ট্যান্ড তৈরির চেষ্টাও ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছিল।

আন্তজেলা ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক আলাউদ্দিন দাবি করেন, এই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাকস্ট্যান্ড ছিল এবং মেট্রোরেলকে ইজারা দেওয়ার পর সেটি সরানো হয়। বর্তমানে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই কেন্দ্রীয় কমিটির সহায়তায় পুনরায় ট্রাকস্ট্যান্ড স্থাপন করেছেন, কারণ জমিটি বিএডিসির কোনো কাজে আসছে না। তিনি আরও জানান, ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি কফিল উদ্দিনসহ সকলের সম্মতিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, আন্তজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও হানিফ পরিবহনের মালিক কফিল উদ্দিন এই জমি দখলের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।

মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও জমিটি কাউকে হস্তান্তর করা হয়নি এবং ভবিষ্যতে অন্য প্রকল্পের জন্য এটির প্রয়োজন হবে। সরকারি জমি পরিবহন নেতাদের কাছে হস্তান্তরের কোনো প্রশ্নই ওঠে না এবং তারা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন।

বিএডিসির কর্মকর্তারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকারি সম্পত্তি দখলের ঘটনা জানানোর পরেও পুলিশ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শুরুতে গুরুত্ব দিলেও, পরিবহন নেতাদের সাথে বৈঠকের পর পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তবে দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিব-উল-হোসেন জানান, জিডির তদন্ত চলছে এবং এটি অধর্তব্য অপরাধ হওয়ায় দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য বিএডিসিকে আদালতের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। অনুমতি পেলে পুলিশ সহায়তা করবে।

বিএডিসির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকার কারণে সরকারি জমি দখলের বিষয়টি জানার পরেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।


প্রাইমএশিয়া ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন: পারভেজ হত্যার বিচার চাই

প্রাইমএশিয়া শিক্ষার্থীরা পারভেজ হত্যার বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে। তারা ন্যায়বিচার ও দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানিয়েছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ও আন্দোলন ক্যাম্পাসে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। পারভেজ হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে।


বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে তার সহপাঠীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারত সফর]

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা উল্লেখ করে, প্রকাশ্যে পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকারী অনেকেরই এখনো গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত তাদের গ্রেফতার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। পাশাপাশি, শিক্ষাপ্রাঙ্গণে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের প্রবেশ বন্ধ এবং অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপের আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গত ১৯ এপ্রিল বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের খালাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুজন নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই পর্যন্ত পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে।


একদেশ–ই –প্রত্রিকা,
নিজস্ব প্রতিবেদক,
ঢাকা।

মুখোমুখি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ: শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত হয়নি। এই সংঘর্ষের কারণ ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

রাজধানীর আজিমপুর-মিরপুর সড়কে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আবারও মুখোমুখি হয় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দাবি, আগের দিন ধানমন্ডি এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে কিছু অজ্ঞাত যুবক মারধর করে। তাদের ধারণা, হামলাকারীদের একজন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। পূর্বের বিরোধ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তারা।

[পড়ুন – প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ ]

ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন সিটি কলেজের শিক্ষকরা, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কলেজের মূল গেটে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে কয়েকজন আহত হন।


প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ

বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা ও জীবননাশের হুমকির মুখে হাথুরুসিংহে দেশ ছেড়ে নেপালে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। হাথুরুসিংহের এই দেশত্যাগের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঢেউ লাগে বাংলাদেশে, যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট জগতেও। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে পরিবর্তন আসে এবং ফারুক আহমেদ নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফারুক আহমেদ প্রধান কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দেন।

[পড়ুন – ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর কত ]

২০২৩ সালের ভারত বিশ্বকাপে স্পিনার নাসুম আহমেদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, তার কিছু আচরণগত সমস্যা নিয়ে বিসিবি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। হাথুরুসিংহে একদিনের মধ্যেই সেই নোটিশের জবাব দিলেও, বিসিবি সেই উত্তরকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে তার সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ‘কোড স্পোর্টস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহে সেই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করে জানান যে, তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিইও (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) আমাকে শেষবারের মতো বলেছিলেন যে আমার চলে যাওয়া উচিত এবং এই বিষয়ে বোর্ডের কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই। “আপনার কাছে কি (বিমানের) টিকিট আছে?” – এই প্রশ্নটি আমার কাছে একটি সতর্কবার্তা মনে হয়েছিল এবং তখনই আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম।’

বাংলাদেশের এই প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, ‘আমি সরাসরি ব্যাংকে যাই, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য অর্থ তোলার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি ব্যাংকে, তখন টিভিতে একটি জরুরি খবর প্রচারিত হয় – “চন্ডিকা চাকরিচ্যুত, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করেছেন”। এটি দেখে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, “কোচ, আমি আপনার সাথে যাব। রাস্তায় লোকজন আপনাকে দেখলে তা আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে।”’

হাথুরুসিংহে আরও যোগ করেন, ‘তখন আমি সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, কারণ আমার যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হতো। আমার এক বন্ধু আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমি একটি টুপি ও হুডি পরিহিত ছিলাম, কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি মধ্যরাতের ফ্লাইটে আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাই।’

গ্রেপ্তারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিমানবন্দরে আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারত। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে রানওয়েতে তার বিমান থামিয়ে তাকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। সেই ভয়গুলোই আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।’


থানার ওসি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীকের আলোচনা ভাইরাল: প্রশ্নবিদ্ধ আইন

একটি গোপন অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একজন থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এবং একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর মধ্যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। এই অডিওতে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই কথোপকথনের নৈতিকতা ও আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনাটি এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। এই অডিও লিক কীভাবে আরও বড় ইস্যুতে রূপ নেয়, তা দেখার জন্য সকলে উদগ্রীব।


গাজীপুরের শ্রীপুরে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম শিকদারের বাড়ি শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামে। অন্যদিকে, অডিওতে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ, সেই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল, যিনি শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত।

ব্যবসায়ী সেলিম সিকদার অভিযোগ করেছেন, গত ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি রমজানের ছয় দিন আগে প্রায় এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এর আগে তিনি রিদিশা গ্রুপের ফর্মুলা ওয়ান কারখানায় ঝুট ব্যবসা করতেন। তার দাবি, গ্রেপ্তারের দিন ওসি জয়নাল আবেদীন তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, ঝুট ব্যবসার সময় ওসি প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা নিতেন এবং টাকা না দিলে ব্যবসা করতে বাধা দিতেন। প্রাণের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ওসি বিভিন্ন লোক মারফত তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এমনকি, ফেসবুকে লাইভে এসে ওই অডিওটিকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও সেলিম সিকদার সোমবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন।

ডিজিটাল সেলার বিজ্ঞাপন ফ্রি প্রচার

ফাঁস হওয়া ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে টেলিফোনের অন্য প্রান্তে ওসিকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সেলিম সিকদারকে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে সাহায্য করছেন। ওই মধ্যস্থতাকারীকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিলে সেলিম নির্বিঘ্নে ঝুট পরিবহন করতে পারবেন বলে ওসি তাকে আশ্বস্ত করেন। অডিওর এক পর্যায়ে ওসিকে সেলিম শিকদারের কাছে ফুল হাতা গেঞ্জি চেয়ে নিতেও শোনা যায়।

তবে, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল অডিও ক্লিপে থাকা কণ্ঠস্বর নিজের নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এটা আমার নলেজে নাই। সারাদিন ফোনে অনেক মানুষের সাথে কথা বলি। কাজের কথা বলি। কাজের বাইরে কোনো কথা বলি না। অডিওর বিষয়টি আমার নলেজে নাই।”

এই প্রসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মোঃ যাবের সাদেক জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কথপোকথনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে আমাদের কথা বলা দরকার। উনাকে নির্ভয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। উভয়ের বিষয়টি তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন


টঙ্গীতে দিনদুপুরে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

টঙ্গীর একটি ব্যস্ত এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এক যুবককে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। হত্যাকাণ্ডের কারণ নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পূর্বশত্রুতা নাকি গ্যাং কালচার—এ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

গাজীপুরের টঙ্গীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক আটটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল কলোনী বস্তি এলাকায় ২৫ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হন।

নিহত শিজন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার কান্দিপাড়া গ্রামের স্বপন মিয়ার পুত্র। তিনি তার পরিবারের সাথে টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া রেল কলোনী এলাকায় বসবাস করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিজন টঙ্গীর রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি পুরনো জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করতেন।

ঘটনার দিন রাত আটটার দিকে শিজন যখন টঙ্গী রেলওয়ে কলোনি এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন, তখন স্থানীয় দুজন যুবক সেখানে এসে তাকে ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বুকের বাম দিকে আঘাত করে পালিয়ে যায়।

আন্তর্জাতিক বাংলা শিরোনাম

আহত শিজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে, পরিবারের সদস্যরা তাকে উত্তরাস্থ আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং নিহতের মরদেহ নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ধারণা করছে যে, পূর্বের কোনো শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, নিহত সিজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

হেফাজত ইস্যুতে মেঘনা গ্রুপের মলিক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ দাবি: একদেশ পত্রিকা

হেফাজতে ইসলামের উপর সহিংস ঘটনার পেছনে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নতুন প্রশ্ন। বিভিন্ন সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি অনুযায়ী, এই সহিংসতার পেছনে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতাদের ভূমিকা ছিল। হেফাজতের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত ও অভিযোগ গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছে। মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের দাবি জানানো হচ্ছে সর্বমহল থেকে। এই প্রতিবেদনটি সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত তুলে ধরেছে—কীভাবে ঘটনাটি সামনে এলো, কারা অভিযোগ এনেছে এবং এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব কী হতে পারে। Continue reading হেফাজত ইস্যুতে মেঘনা গ্রুপের মলিক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ দাবি: একদেশ পত্রিকা

মাগুরার শিশু ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা: এক দেশ নিউজ

মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও অপরাধের আলামত নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে।


মাগুরায় ধর্ষণকাণ্ডে ৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন,

মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার রাত ১০:১৫ মিনিটে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন, যে অভিযোগপত্রে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন (দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্ট করার অভিযোগ (দণ্ডবিধির ২০১ ধারা) আনা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬ মার্চ সকালে।

৭ এপ্রিল পুলিশ জানায়, ডিএনএ পরীক্ষায় বোনের শ্বশুরের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। ওই ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন, ৬ মার্চ সকালে শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করেছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ঘটনা রাতের সময় ঘটেছে, তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে ধর্ষণের ঘটনা সকাল বেলা ঘটে। ১ মার্চ শিশুটি তার বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়, পরে ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং ১৩ মার্চ ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় পরবর্তীতে জনতা উত্তেজিত হয়ে শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। শিশুটির মা ৮ মার্চ থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে চার আসামি কারাগারে রয়েছেন।

Images Credit: AI

Exit mobile version