পালটা জবাবে পাকিস্তানের হামলা, ভারত বন্ধ করল বিমান চলাচল

ভারতের হামলার পালটা জবাবে পাকিস্তান সামরিক অভিযান চালালে সীমান্ত অঞ্চলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত একাধিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। সামরিক টানাপড়েনে নাগরিক বিমান চলাচলেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের এই পর্বে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি নজরে রেখেছে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো, যারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।


🔻 ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পালটা জবাবে উত্তপ্ত উপমহাদেশ, বন্ধ হচ্ছে বিমান চলাচল

ভারতের সামরিক পদক্ষেপ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পালটা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং যুদ্ধাবস্থা ঘনিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দরে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

স্পাইসজেটও জানিয়েছে, ধর্মশালা, শ্রীনগর, লেহ এবং অমৃতসরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শ্রীনগর, জম্মু, চণ্ডীগড়সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। একইসাথে, জোধপুর ও বিকানের থেকেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।

অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভারতের হামলা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরই ভারত মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

জিও নিউজের দাবি, পাকিস্তানের পালটা আক্রমণে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে। বার্নালা সেক্টরে আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং উত্তর ভারতমুখী ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।


ভারতের হামলা নিয়ে ট্রাম্পের হতাশা, জাতিসংঘ প্রধানের উদ্বেগ

ভারতের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন, যা অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কূটনৈতিক মহলে এ ধরনের মন্তব্য ভারতকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে ট্রাম্পের হতাশা, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে “হতাশাজনক” আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত এ হামলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওভাল অফিস থেকে বের হওয়ার সময় এই খবর শুনেছি। বিষয়টি সত্যিই হতাশার।” পাশাপাশি তিনি জানান, ইতিহাস ঘেঁটে অনেকেই আগেই বুঝেছিল কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, কারণ ভারত-পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বে লিপ্ত।

অন্যদিকে, সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের এই সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান এবং বলেন, “এই সংঘাত বিশ্বের জন্য অগ্রহণযোগ্য।”

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের এই অভিযানে ভারতের পক্ষ থেকে আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এতে অন্তত ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদ ছিল হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এর জবাবে পাকিস্তান পাল্টা হামলা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।

[আরোও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনাঘাঁটি] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এ হামলার জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ভারত কাপুরুষের মতো নিজেদের আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়েছে। তারা বাইরে বের হয়নি। এবার বের হলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।”

উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ভারতের এই সামরিক প্রতিক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, শুধুমাত্র সন্ত্রাসী অবকাঠামোই তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল।


সীমান্ত উত্তপ্ত: পাকিস্তানের হামলায় কাঁপলো ভারতীয় সেনাঘাঁটি

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড সদরদপ্তরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তে এই আক্রমণের ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিরক্ষা দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান নতুন সংঘর্ষ: ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা ও পাল্টা আঘাত

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইসলামাবাদ থেকে পরিচালিত এক অভিযানে ভারতীয় এই সামরিক স্থাপনাটি ধ্বংস করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভিকে এক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এছাড়া সীমান্তরেখা (এলওসি)-র দুদনিয়াল সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর একটি চৌকিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান।

এই পাল্টা জবাব এসেছে ভারতের মধ্যরাতের হামলার পরপরই। পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের ছোড়া মিসাইল পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় আঘাত হানে—যার মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাঘ, মুজাফফরাবাদ, মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর। এতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আহমেদপুর ও কোটলির দুটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে, যা আরএসএস মতাদর্শের প্রতিফলন বলে দাবি করেন তিনি।

[আরোও পড়ুনঃ রাফাল-মিগসহ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

মুজাফফরাবাদে এক রাস্তায় মিসাইল আঘাত হানলেও সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, এ হামলা শুধুই সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে হয়েছে, সেনাবাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়নি।

সবমিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে


আকাশে বিপর্যয়: রাফাল-মিগসহ ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান পড়ে গেল

ভারতের সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য এটি এক চরম ধাক্কা—তিনটি রাফাল এবং একটি মিগসহ মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কী কারণে এসব বিমান ভূপাতিত হলো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভারতের আধুনিক যুদ্ধক্ষমতায় বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা প্রশিক্ষণ ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: যুদ্ধবিমানের পতন ও পাল্টা হামলা

ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস হওয়া বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রেঞ্চ রাফাল, একটি রাশিয়ান সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯। এসব যুদ্ধবিমান ভারতে বহু বছর ধরে সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ভারত সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল কিনতে যাচ্ছে, যার মূল্য আনুমানিক ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে ভারতের হাতে ৩৬টি রাফাল রয়েছে। নতুন রাফালগুলো ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীতে মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং পুরনো মিগ-২৯ এর জায়গা নেবে।

[আরোও পড়ুনঃ কানাডার ভিসা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে হামলায় অংশ নেওয়া এসব যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারতীয় সেনাদের ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও সীমান্ত ফাঁড়িও ধ্বংস করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। অভিযানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি এলাকা টার্গেট করা হয়। তবে ভারত সরকার বলছে, তারা কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছে, পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি নয়।

[আরোও পড়ুনঃ দুই নেতার ফোনালাপে] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]


এই সংঘর্ষে পাকিস্তানে ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, কাশ্মীরে তাদের ৩ জন সৈন্য পাকিস্তানি হামলায় নিহত হয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যা এখন খোলা সংঘাতে রূপ নিয়েছে।


দুই নেতার ফোনালাপে আলোচনায় আঞ্চলিক পরিস্থিতি

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এক টেলিফোন আলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনায় উঠে এসেছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের নানা দিক। দুই নেতা ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাদের এই ফোনালাপ কূটনৈতিক অঙ্গনে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এক ফোনালাপে নানা আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সোমবার (৫ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, গাজা সংকট, সিরিয়া পরিস্থিতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উঠে আসে এই আলাপে।

[আরোও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

আলোচনার সময় দুই নেতা একে অপরকে নিজ নিজ দেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান। প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানান, তিনি ওয়াশিংটনে সফর করতে আগ্রহী এবং গাজায় অব্যাহত সংঘর্ষের দ্রুত অবসান চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন। মানবিক সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্ক সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে এরদোগানের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্টের মাধ্যমে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


কানাডার ভিসা পেতে সুবিধা চায় শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় ভিসা পাওয়া সহজ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অভিভাবক মহল থেকে কানাডার ভিসা প্রক্রিয়ায় নমনীয়তা আনার দাবি জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও বেশি দরকার, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল থপিল। মঙ্গলবার (৬ মে) এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। থপিলের সঙ্গে ছিলেন কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংহ এবং গিলডান, ব্ল্যাকবেরি, অ্যাডভানটেক, বেল হেলিকপ্টার, জেসিএম পাওয়ার ও এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডাসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল।

এটি থপিলের বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর, যা দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কৌশলগত অংশীদারত্বের ইঙ্গিত বহন করে। আলোচনায় প্রধানভাবে গুরুত্ব পায় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং ভবিষ্যতের অংশীদারত্ব সম্প্রসারণ।

পররাষ্ট্র সচিব দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও সম্ভাবনাময় খাতগুলোর কথা তুলে ধরে আইসিটি, অবকাঠামো, ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কানাডার বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। বিনিময়ে পল থপিল জানান, বাংলাদেশে কানাডীয় কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে এবং তারা দেশের সংস্কার প্রচেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে।

আরোও পড়ুনঃ জোবাইদার প্রত্যাবর্তন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

উভয় পক্ষই প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য পরিসরকে স্বাগত জানায়। DFQF সুবিধার প্রশংসা করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য সহায়ক। পাশাপাশি, চলমান FIPA আলোচনা এবং ভবিষ্যতের FTA সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। থপিল জানান, FIPA চুক্তি কার্যকর হলে কানাডিয়ান বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজকরণে গুরুত্ব আরোপ করেন পররাষ্ট্র সচিব। একইসঙ্গে কানাডায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদান এবং জনগণ পর্যায়ের সংযোগকে গুরুত্ব দেন উভয় পক্ষ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানানো হয় স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে।


ড্রোন হামলায় অচল মস্কোর বিমান চলাচল

রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ভয়াবহ ড্রোন হামলার মুখে পড়েছে, যার ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে একযোগে বন্ধ করা হয়েছে চারটি প্রধান বিমানবন্দর। এই ঘটনার পর শহরের আকাশপথে জারি করা হয়েছে সতর্কতা এবং বিমান চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে বড় ধরনের বিঘ্ন। ড্রোন হামলা ঘিরে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মস্কোর সাম্প্রতিক এই হামলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।


চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো টানা দ্বিতীয় রাত ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হলো। সোমবার রাতে চালানো এই আক্রমণে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলার পরপরই নিরাপত্তাজনিত কারণে মস্কোর চারটি প্রধান বিমানবন্দর—ভনুকোভো, দোমোদেদোভো, শেরেমেতিয়েভো ও ঝুকোভস্কি—অস্থায়ীভাবে বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানান, শহরের বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে আসা অন্তত ১৯টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। যদিও কিছু ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ একটি প্রধান সড়কে পড়ে, তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রুশ প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো দাবি করছে, অধিকাংশ ড্রোন সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের রিলস্ক শহরেও ইউক্রেনের হামলায় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। এই হামলায় দুই কিশোর আহত হয়েছে এবং শহরের কিছু অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা কুরস্কের তিওতকিনো এলাকার কাছে একটি রুশ ড্রোন কমান্ড ইউনিটে সফল হামলা চালিয়েছে, যার ফলে রুশ বাহিনীর বড় ক্ষতি হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ৪৪তম] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

রুশ সামরিক ব্লগারদের বরাতে জানা গেছে, ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত পেরিয়ে কুরস্কে ঢোকার চেষ্টা করে এবং মাইনফিল্ড অতিক্রম করে সাঁজোয়া যান নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা চৌকিতে হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধে রুশ বাহিনী একটি সেতু উড়িয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলের প্রশাসন স্থানীয় দুটি বসতির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, রাশিয়ার সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো ইউক্রেন মস্কোতে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এ নিয়ে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


তাইওয়ানে ভূমিকম্পের ধাক্কা, জরুরি সতর্কতা জারি

তাইওয়ানের জন্য এই ভূমিকম্প যদিও বড় ধরনের ক্ষতি করেনি, তবুও এটি দেশটির ভূমিকম্পপ্রবণ প্রকৃতির又一次স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তাইওয়ানকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য দেশটিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।


তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৫.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প: ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই

সোমবার (৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৯ মিনিটে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে ৫.৯ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসন (সিডব্লিউএ) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল হুয়ালিয়েন কাউন্টির উপকূল থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে, যার গভীরতা ছিল মাত্র ৬.৬ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পের বিস্তারিত তথ্য

  • মাত্রা: রিখটার স্কেলে ৫.৯
  • অবস্থান: পূর্ব তাইওয়ান উপকূল, হুয়ালিয়েন কাউন্টি থেকে ৩০ কিমি দূরে
  • গভীরতা: ৬.৬ কিলোমিটার (অগভীর ভূমিকম্প)
  • সময়: স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬:০৯ মিনিট
  • প্রভাব: রাজধানী তাইপেসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি কম্পন অনুভূত

প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন

দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে:

  • রাজধানী তাইপেতে কিছু উঁচু ভবন কেঁপে উঠার খবর রয়েছে
  • স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসেন
  • কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদী বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে তাইওয়ান

তাইওয়ান প্রশান্ত মহাসাগরীয় “রিং অফ ফায়ার”-এর ওপর অবস্থিত, যা বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হুয়ালিয়েনে ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে একাধিক ভবন ধসে পড়ে এবং প্রাণহানি ঘটে। দেশটির ভূমিকম্প মোকাবেলার সক্ষমতা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও ঘন ঘন এই ধরনের ঘটনা স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তোলে।

সরকারি পদক্ষেপ ও সতর্কতা

  • জরুরি সেবা বিভাগগুলি সতর্কতা জারি করেছে
  • উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে
  • স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভবনগুলোর কাঠামোগত নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে
  • হাসপাতালগুলোকে জরুরি পরিষেবার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে

বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণ

ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞ ড. চেন উই-লিনের মতে:
“এই ভূমিকম্পটি ফিলিপাইন সাগর প্লেট এবং ইউরেশিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলে ঘটেছে। ৬.৬ কিলোমিটার গভীরতায় হওয়ায় এটি একটি অগভীর ভূমিকম্প ছিল, যা সাধারণত বেশি ক্ষতি করে। তবে ভূমিকম্পরোধী অবকাঠামো এবং সময়োপযোগী সতর্কতা ব্যবস্থা বড় ধরনের ক্ষতি রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।”

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

  • চীন (যারা তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে) সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে
  • জাপান ও ফিলিপাইন সুনামি সতর্কতা পর্যবেক্ষণ করছে
  • জাতিসংঘের দুর্যোগ মূল্যায়ন দল প্রস্তুত রয়েছে

স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া

হুয়ালিয়েনের বাসিন্দা লিন মেই-লিং বলেন:
“আমরা প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভব করি, কিন্তু প্রতিবারই ভয় পাই। আজকেরটা বেশ শক্তিশালী ছিল, কিন্তু ধন্যবাদ আমাদের ভবনগুলোর শক্তিশালী নকশাকে, যেগুলো এই ধরনের কম্পন সহ্য করতে সক্ষম।”

ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস

ভূতাত্ত্বিকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে:

  • পরবর্তী ৪৮ ঘন্টায় আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
  • কিছু ক্ষেত্রে এর মাত্রা ৪.০ পর্যন্ত হতে পারে
  • উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

[আরোও পড়ুনঃ নতুন মাইলফলক] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তাইওয়ানের জন্য এই ভূমিকম্প যদিও বড় ধরনের ক্ষতি করেনি, তবুও এটি দেশটির ভূমিকম্পপ্রবণ প্রকৃতির又一次স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তাইওয়ানকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে আরও বড় মাত্রার ভূমিকম্পের জন্য দেশটিকে প্রস্তুত থাকতে হবে।


Exit mobile version