ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড সদরদপ্তরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তে এই আক্রমণের ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিরক্ষা দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
🔻 ভারত-পাকিস্তান নতুন সংঘর্ষ: ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা ও পাল্টা আঘাত
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইসলামাবাদ থেকে পরিচালিত এক অভিযানে ভারতীয় এই সামরিক স্থাপনাটি ধ্বংস করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভিকে এক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এছাড়া সীমান্তরেখা (এলওসি)-র দুদনিয়াল সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর একটি চৌকিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান।
এই পাল্টা জবাব এসেছে ভারতের মধ্যরাতের হামলার পরপরই। পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের ছোড়া মিসাইল পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় আঘাত হানে—যার মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাঘ, মুজাফফরাবাদ, মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর। এতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আহমেদপুর ও কোটলির দুটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে, যা আরএসএস মতাদর্শের প্রতিফলন বলে দাবি করেন তিনি।
[আরোও পড়ুনঃ রাফাল-মিগসহ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]
মুজাফফরাবাদে এক রাস্তায় মিসাইল আঘাত হানলেও সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, এ হামলা শুধুই সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে হয়েছে, সেনাবাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়নি।
সবমিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে