ব্যক্তিগত সফরে দেশ ত্যাগ করলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব শেষ করে এবার ব্যক্তিগত সফরে বিদেশ গেছেন। তিনি ঠিক কোন দেশ এবং কী উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এই সফর ঘিরে তৈরি হয়েছে কিছুটা কৌতূহল ও জল্পনা। তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, এটি একান্তই ব্যক্তিগত সফর এবং শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।


সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ হঠাৎ করেই দেশ ত্যাগ করেছেন। সূত্রমতে, বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছেড়ে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র তার দেশত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

[আরোও পড়ুনঃপ্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে, রাত ১১টার দিকে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে তিনি নির্ধারিত ফ্লাইটে করে ঢাকা ত্যাগ করেন।

উল্লেখযোগ্য যে, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও হামলার একটি মামলার তথ্য রয়েছে। এই মামলাটি চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা হয়েছিল।


“সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে ভারতের ২১ বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী ফ্লাইট স্থগিত”

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানি প্রতিশোধমূলক বিমান হামলার আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সকল বাণিজ্যিক বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনী সীমান্ত এলাকায় তাদের নজরদারি বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে হাজারো যাত্রীর ভ্রমণ পরিকল্পনা ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।


কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি, যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জেরে দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা একপ্রকার যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। দুই সপ্তাহের কূটনৈতিক উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হুমকির পর অবশেষে ভারতের পক্ষ থেকে আজাদ কাশ্মীরে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সেনা সদর দপ্তর ও একাধিক ভারতীয় বিমান গুঁড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে।

ভারতের এই পদক্ষেপের পর পরই উত্তরাঞ্চলের অন্তত ২১টি বিমানবন্দর ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লেহ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাটের বিমানবন্দর। এতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বহু ফ্লাইট স্থগিত বা বাতিল হয়েছে।

ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে ১০ মে ভোর পর্যন্ত। ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪ অনুসারে, দিল্লির উত্তরের আকাশ কার্যত ফাঁকা, শুধুমাত্র দেহরাদুন ব্যতিক্রম।

ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, আকাশ এয়ার সহ বেশ কয়েকটি বড় এয়ারলাইন্স একাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, আমেরিকান ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনস দিল্লিগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে আসা কিছু বিমানকে বিকল্প রুটে অবতরণ করতে হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃসহযোগিতার প্রস্তাবও] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে, পেহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে, যা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে। জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিতসহ ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে এবং সবধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখে।

গত ৬ মে রাতে আজাদ কাশ্মীরে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তান দাবি করছে, অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। পরদিন সকাল থেকে দুদেশের সীমান্তে গোলাগুলির আদান-প্রদান চলতে থাকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ভারতের হামলার প্রতিটি রক্তবিন্দুর জবাব দেওয়া হবে।


পালটা জবাবে পাকিস্তানের হামলা, ভারত বন্ধ করল বিমান চলাচল

ভারতের হামলার পালটা জবাবে পাকিস্তান সামরিক অভিযান চালালে সীমান্ত অঞ্চলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত একাধিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। সামরিক টানাপড়েনে নাগরিক বিমান চলাচলেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের এই পর্বে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি নজরে রেখেছে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো, যারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।


🔻 ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পালটা জবাবে উত্তপ্ত উপমহাদেশ, বন্ধ হচ্ছে বিমান চলাচল

ভারতের সামরিক পদক্ষেপ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পালটা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং যুদ্ধাবস্থা ঘনিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দরে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

স্পাইসজেটও জানিয়েছে, ধর্মশালা, শ্রীনগর, লেহ এবং অমৃতসরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শ্রীনগর, জম্মু, চণ্ডীগড়সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। একইসাথে, জোধপুর ও বিকানের থেকেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।

অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভারতের হামলা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরই ভারত মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

জিও নিউজের দাবি, পাকিস্তানের পালটা আক্রমণে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে। বার্নালা সেক্টরে আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং উত্তর ভারতমুখী ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।


Exit mobile version