“ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে লাহোরে শোনা গেল বিস্ফোরণের আওয়াজ”

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে সকালবেলা এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। এই বিস্ফোরণ শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি বৈঠক ডেকেছে ঘটনাটি তদন্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।


লাহোরে বিস্ফোরণ, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় যুদ্ধের শঙ্কা

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের লাহোর শহরে একটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভি।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারত পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয় গোলাগুলির পাল্টাপাল্টি লড়াই। আর এর একদিন পর আজ লাহোরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই পক্ষকে সংযত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এ উত্তেজনার সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল। ওই দিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত অভিযোগ করে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে এবং তারা এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

পাকিস্তানের আইএসপিআর দাবি করেছে, হামলায় মসজিদ, স্কুল ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যেখানে ৩১ জন বেসামরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে ভারত জানায়, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় তাদের সীমান্ত এলাকায় ১৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত এবং আরও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে পত্রিকা দ্য হিন্দু।


পালটা জবাবে পাকিস্তানের হামলা, ভারত বন্ধ করল বিমান চলাচল

ভারতের হামলার পালটা জবাবে পাকিস্তান সামরিক অভিযান চালালে সীমান্ত অঞ্চলে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত একাধিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। সামরিক টানাপড়েনে নাগরিক বিমান চলাচলেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষের এই পর্বে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি নজরে রেখেছে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলো, যারা শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।


🔻 ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পালটা জবাবে উত্তপ্ত উপমহাদেশ, বন্ধ হচ্ছে বিমান চলাচল

ভারতের সামরিক পদক্ষেপ ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পালটা হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এবং যুদ্ধাবস্থা ঘনিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট বিমানবন্দরে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

স্পাইসজেটও জানিয়েছে, ধর্মশালা, শ্রীনগর, লেহ এবং অমৃতসরসহ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শ্রীনগর, জম্মু, চণ্ডীগড়সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরের ফ্লাইট স্থগিত করেছে। একইসাথে, জোধপুর ও বিকানের থেকেও বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।

অমৃতসরগামী দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটকে নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভারতের হামলা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরই ভারত মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

জিও নিউজের দাবি, পাকিস্তানের পালটা আক্রমণে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে। বার্নালা সেক্টরে আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং উত্তর ভারতমুখী ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।


আকাশে বিপর্যয়: রাফাল-মিগসহ ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান পড়ে গেল

ভারতের সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য এটি এক চরম ধাক্কা—তিনটি রাফাল এবং একটি মিগসহ মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কী কারণে এসব বিমান ভূপাতিত হলো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভারতের আধুনিক যুদ্ধক্ষমতায় বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা প্রশিক্ষণ ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: যুদ্ধবিমানের পতন ও পাল্টা হামলা

ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস হওয়া বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রেঞ্চ রাফাল, একটি রাশিয়ান সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯। এসব যুদ্ধবিমান ভারতে বহু বছর ধরে সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ভারত সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল কিনতে যাচ্ছে, যার মূল্য আনুমানিক ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে ভারতের হাতে ৩৬টি রাফাল রয়েছে। নতুন রাফালগুলো ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীতে মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং পুরনো মিগ-২৯ এর জায়গা নেবে।

[আরোও পড়ুনঃ কানাডার ভিসা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে হামলায় অংশ নেওয়া এসব যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারতীয় সেনাদের ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও সীমান্ত ফাঁড়িও ধ্বংস করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। অভিযানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি এলাকা টার্গেট করা হয়। তবে ভারত সরকার বলছে, তারা কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছে, পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি নয়।

[আরোও পড়ুনঃ দুই নেতার ফোনালাপে] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]


এই সংঘর্ষে পাকিস্তানে ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, কাশ্মীরে তাদের ৩ জন সৈন্য পাকিস্তানি হামলায় নিহত হয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যা এখন খোলা সংঘাতে রূপ নিয়েছে।


Exit mobile version