ভারতের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন, যা অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কূটনৈতিক মহলে এ ধরনের মন্তব্য ভারতকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
🔻 ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে ট্রাম্পের হতাশা, জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ
পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে “হতাশাজনক” আখ্যা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত এ হামলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ওভাল অফিস থেকে বের হওয়ার সময় এই খবর শুনেছি। বিষয়টি সত্যিই হতাশার।” পাশাপাশি তিনি জানান, ইতিহাস ঘেঁটে অনেকেই আগেই বুঝেছিল কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে, কারণ ভারত-পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্বে লিপ্ত।
অন্যদিকে, সংঘর্ষে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে জানান, ভারতের এই সামরিক অভিযান নিয়ে মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি উভয় দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানান এবং বলেন, “এই সংঘাত বিশ্বের জন্য অগ্রহণযোগ্য।”
মঙ্গলবার দিবাগত রাতের এই অভিযানে ভারতের পক্ষ থেকে আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, এতে অন্তত ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক লে. জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফফরাবাদ ছিল হামলার প্রধান লক্ষ্যবস্তু। এর জবাবে পাকিস্তান পাল্টা হামলা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
[আরোও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনাঘাঁটি] [ইউটিউবে খবর দেখুন]
এ হামলার জবাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “ভারত কাপুরুষের মতো নিজেদের আকাশসীমা থেকে হামলা চালিয়েছে। তারা বাইরে বের হয়নি। এবার বের হলে আমরা উপযুক্ত জবাব দেব।”
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। ভারতের এই সামরিক প্রতিক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, শুধুমাত্র সন্ত্রাসী অবকাঠামোই তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল।