পাকিস্তান সফর থেকে সরে দাঁড়ালেন নাহিদ রানা

বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদীয়মান পেসার নাহিদ রানা পাকিস্তান সিরিজ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্তে ক্রিকেট মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ইনজুরি নাকি ব্যক্তিগত কারণ—তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাকিস্তান সফরের আগে দল থেকে এমন সরে দাঁড়ানো ক্রিকেট বিশ্লেষকদের ভাবাচ্ছে, বাংলাদেশের পেস আক্রমণে প্রভাব ফেলবে কিনা।


দীর্ঘ অনিশ্চয়তা শেষে আজ বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজের সূচি। ঘোষিত স্কোয়াডে তরুণ পেসার নাহিদ রানার নাম থাকলেও, হঠাৎ করেই সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সফরে যাচ্ছেন না জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ জেমস পামেন্ট এবং ফিটনেস ট্রেনার নাথান কেলিও।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাহিদ রানা। কোচিং স্টাফদের মধ্যে কেবল ফিল্ডিং কোচ ও ট্রেনার বাদ থাকলেও, বাকিরা পাকিস্তান সফরের জন্য প্রস্তুত।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদীয়মান পেসার নাহিদ রানা : ফাইল ছবি

উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে পিএসএল চলাকালীন পাকিস্তানে অবস্থান করছিলেন নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময় তারা সেখানে আতঙ্কজনক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন। পরবর্তীতে নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা আর পিএসএলে ফিরতে পারেননি।

এবারের পাকিস্তান সফরে পাঁচ ম্যাচের বদলে বাংলাদেশ খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টি। লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২৫ মে পাকিস্তানে পৌঁছাবে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ২৮, ৩০ মে এবং ১ জুন ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচগুলো, যা বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা।


বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান দলে একের পর এক চমক

“বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান ক্রিকেট দলে একের পর এক চমক! নতুন খেলোয়াড় ও অপ্রত্যাশিত স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রস্তুত মেন ইন গ্রিন। জানুন কারা দলে যোগ দিচ্ছেন এবং কিভাবে এই পরিবর্তন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সর্বশেষ আপডেট পেতে এখনই ভিজিট করুন!”


পাকিস্তানের টি-২০ দলে বড় চমক! বাংলাদেশ সিরিজে সুযোগ পেলেন সাহিবজাদা ফারহান

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে বাদ পড়েছেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো তারকারা। তবে সবচেয়ে বড় চমক হলো, দলে জায়গা পেয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান—এক মাসে ৪ সেঞ্চুরি করা এই ওপেনার পিএসএল ও ন্যাশনাল টি-২০ কাপে ঝড় তুলেছেন।

শাহিন আফ্রিদিসহ ৮ জন বাদ
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, ওমাইর ইউসুফ, আবদুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদি (পিএসএলের শীর্ষ উইকেটটেকার), জাহানদাদ খান, মোহাম্মাদ আলী, সুফিয়ান মুকিম ও উসমান খান।

আফ্রিদি রিজওয়ানরা দলে নেই : ফাইল ছবি

সাহিবজাদা ফারহানের উত্থান
২৯ বছর বয়সী সাহিবজাদা পাকিস্তানের হয়ে আগে মাত্র ৯ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন, কিন্তু ন্যাশনাল টি-২০ কাপে ৭ ম্যাচে ৬০৫ রান (৩ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটি) এবং পিএসএলে ১৫৪ স্ট্রাইক রেটে ৩৯৪ রান করে সিলেক্টরদের দৃষ্টি কেড়েছেন। তাঁর ১৬২* রানের ইনিংসটি টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

মাইক হেসনের নতুন যুগ
বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানের নতুন কোচ মাইক হেসনের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু হবে। সব ম্যাচ লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে, যদিও সঠিক সূচি এখনো ঘোষিত হয়নি।


পাকিস্তানকে চাপে রাখতে আরব সাগরে সক্রিয় হলো ভারতীয় নৌবাহিনী

ভারত আরব সাগরে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে, যার লক্ষ্য মূলত পাকিস্তানের কাছাকাছি জলসীমা। সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারতের এই অভিযানকে কৌশলগত বার্তা হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা। নৌবাহিনীর সক্রিয় উপস্থিতি এবং নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। পাকিস্তানও বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এই পদক্ষেপ নতুন উত্তেজনা তৈরি করতে পারে।


চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এবার আরব সাগরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার (৯ মে) ভোরে ‘টার্গেট নির্ভর’ এই সামরিক অভিযান শুরু হয় বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে পাকিস্তান—এমন অভিযোগ উঠেছে ভারতের পক্ষ থেকে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, জম্মু, আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা এবং হিরানগর লক্ষ্য করে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পাকিস্তান। তবে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সেগুলো প্রতিহত করা হয়।

একই রাতে পাঠানকোটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং রাজস্থানের জয়সলমেরে ভারতীয় বাহিনী একটি পাকিস্তানি ড্রোন আটকায়। এরপর চণ্ডীগড়, মোহালি ও শ্রীনগরসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়, যা জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের লক্ষ্য ছিল জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সেনাঘাঁটি, তবে সময়মতো প্রতিরোধ নেওয়ার ফলে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

[আরোও পড়ুনঃহুঁশিয়ারি দিলেন হাসনাত] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সরকার ভারতের দাবিকে “মিথ্যাচার” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আলজাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, “ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভিত্তিহীন গুজব ছড়াচ্ছে। তারা বলছে পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে, দুইজন পাইলট ধরা পড়েছে, লাহোর ও করাচিতে ভারতীয় হামলা হয়েছে—এসবের কোনো প্রমাণ নেই।”

উভয় দেশের গণমাধ্যমে তথ্যযুদ্ধের এই ধারা চলমান রয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলছে।


ভারতের কোন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে পাকিস্তান? প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের কোন অঞ্চলে তারা সম্ভাব্য হামলা চালাতে পারে। তার এই মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান চাপের মধ্যে এমন মন্তব্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক মহলেও। কূটনৈতিক মহলে এই বক্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও প্রতিক্রিয়া।


পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ সম্প্রতি জিও টিভির ‘আজ শাহজাইব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনা নিয়ে সরব হন।

তিনি জানান, ভারত কিছু নির্দিষ্ট শহরকে রাডারে এনে একাধিকবার টার্গেট করার চেষ্টা করেছে, যাতে প্রয়োজনে সেখানে আক্রমণ চালানো যায়। এই সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে পাকিস্তানের কিছু শহরে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসেবে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়।

ভারতকে হুঁশিয়ার করে খাজা আসিফ বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ভারত যদি আগ্রাসন চালায়, তাহলে তাদের তার মূল্য চুকাতে হবে। আমরা কোনোভাবেই এই পরিস্থিতি মেনে নেব না এবং তার জবাব দেওয়া হবেই।”

[আরোও পড়ুনঃহুথি নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি জানান, দুই সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া সংকট এখনো অব্যাহত রয়েছে। “যদি ভারত কোনো যৌক্তিকতা ছাড়াই পদক্ষেপ নেয়, তাহলে পাকিস্তানও সমানভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে,” বলেন আসিফ।

তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তান বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করবে না। তার ভাষায়, “আমরা কেবল সামরিক স্থাপনাকেই প্রতিহত আক্রমণের জন্য বেছে নেব।”


“পাকিস্তানি ভূখণ্ডে ভারতের হামলা: নিহত ৩১, শরীফের হুঁশিয়ারি ‘দাম চুকাতে হবে’

পাকিস্তান ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ভারতের বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৭ বছরের এক শিশুও রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এই হামলাকে “কাপুরুষোচিত” আখ্যা দিয়ে পাল্টা জবাব দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । ভারত দাবি করছে, তারা কেবল “সন্ত্রাসী ঘাঁটি” লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান এটিকে বেসামরিক স্থাপনায় আক্রমণ বলে অভিযুক্ত করেছে । উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান ৫টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে, যদিও ভারত এ বিষয়ে নিশ্চিত করেনি । জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বেশিরভাগ দেশ দুই পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে


ভারতের হামলায় নিহত ৩১, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় নেমেছে পাকিস্তান

ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর অঞ্চলে অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এই ঘটনার জেরে দেশটির সামরিক বাহিনীকে পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতীয় আগ্রাসনের ‘উপযুক্ত জবাব’ ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃলাহোরে শোনা গেল বিস্ফোরণের আওয়াজ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সম্পর্কিত এই পরিস্থিতির আরও বিস্তারিত বিবরণ বিবিসি বাংলার লাইভ আপডেট পেজে দেওয়া হয়েছে।


“ভোরের নিস্তব্ধতা ভেঙে লাহোরে শোনা গেল বিস্ফোরণের আওয়াজ”

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে সকালবেলা এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। এই বিস্ফোরণ শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জরুরি বৈঠক ডেকেছে ঘটনাটি তদন্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।


লাহোরে বিস্ফোরণ, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় যুদ্ধের শঙ্কা

আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের লাহোর শহরে একটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এবং পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও টিভি।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারত পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায়। কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে শুরু হয় গোলাগুলির পাল্টাপাল্টি লড়াই। আর এর একদিন পর আজ লাহোরে এই বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের আশঙ্কা জোরালো হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই পক্ষকে সংযত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এ উত্তেজনার সূচনা ঘটে ২২ এপ্রিল। ওই দিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন ২৬ জন, যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক। ভারত অভিযোগ করে, এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের মদদ রয়েছে এবং তারা এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

পাকিস্তানের আইএসপিআর দাবি করেছে, হামলায় মসজিদ, স্কুল ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, যেখানে ৩১ জন বেসামরিক নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে ভারত জানায়, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় তাদের সীমান্ত এলাকায় ১৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত এবং আরও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে পত্রিকা দ্য হিন্দু।


“ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান ট্রাম্পের, সহযোগিতার প্রস্তাবও”

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত অবিলম্বে থামাতে উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রয়োজনে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা বা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে। তাঁর এই উদ্যোগ regional stability ফিরিয়ে আনতে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা মত দেখা যাচ্ছে।


ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগে ট্রাম্প, শান্তি স্থাপনে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনাকে ‘চরম উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, দুই দেশের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো এবং তিনি এই সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। আমি উভয় দেশের নেতৃত্বকে ভালোভাবে জানি এবং তাদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। আমি চাই তারা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাক। সংঘর্ষ এখনই বন্ধ হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “দুই দেশ পাল্টাপাল্টি হামলায় জড়িয়ে পড়েছে। আমরা আশা করছি, তারা এখন থামবে। যদি আমি কোনোভাবে সহায়তা করতে পারি, অবশ্যই করব।”

[আরোও পড়ুনঃ পুলিশের বড় রদবদল] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরানও এই উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় হয়েছে। ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি ইসলামাবাদ সফরও করেন। ইরান জানিয়েছে, তারা উভয় দেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যা এখন সীমান্তে সরাসরি সামরিক হামলায় রূপ নিয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় বাহিনীর হামলায় পাকিস্তানে ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হওয়ার দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারতের ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দিল্লি। ভারতের এক সেনারও মৃত্যু হয়েছে বলে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

এই সংঘাতের পটভূমিতে ট্রাম্প বলেন, “এটা হতাশাজনক। আমরা ওভাল অফিস ছাড়ার সময়ই এই খবর পেলাম। ইতিহাস বলছে, এই দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্বে জড়িত। তাই কিছু একটা ঘটবে—এমন ইঙ্গিত আগেই ছিল।”


ভারতের হামলার পাল্টা দিতে প্রস্তুত পাকিস্তান সেনা

সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সেনাবাহিনীকে ভারতের আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দিতে অনুমতি দিয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিরক্ষা পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক মহলে এই সিদ্ধান্তকে ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখানো হলেও আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: পাল্টাপাল্টি হামলার অনুমতি দিল পাকিস্তান

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। চলমান বাকযুদ্ধ ও সামরিক হুমকির ধারাবাহিকতায় এবার বাস্তবে রূপ নিয়েছে সামরিক সংঘর্ষ। ভারত আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে। দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিটি—ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (NSC)—সেনাবাহিনীকে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ তাইওয়ানে ভূমিকম্পের ধাক্কা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

বুধবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত NSC সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দ্য ডন-এর বরাতে জানা যায়, পাকিস্তান আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগে প্রস্তুত এবং ভারতের হামলার জবাবে “যেকোনো সময় ও স্থানে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া” জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে কমিটি বলেছে, দেশের নিরীহ মানুষের প্রাণহানি এবং সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে। ফলে, সামরিক বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


Exit mobile version