জামায়াত নেতাদের প্রতিক্রিয়া, আজহারের মুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতা

এটিএম আজহারের মুক্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব বিস্মিত ও ব্যথিত হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আইনি জটিলতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তার মুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত নেতারা এই বিলম্বকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে। আজহারের মুক্তি কখন নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি বিলম্বিত হওয়ায় বিস্ময় ও কষ্ট প্রকাশ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টে জামিন শুনানির পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

[পড়ুন – মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ]

তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটক ছিলেন, তারা সবাই ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ এটিএম আজহার এখনো কারাবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাথে তার কোনও সংযোগ নেই। আইনজীবীরা আদালতে তা যথাসাধ্য প্রমাণও করেছেন।”

গোলাম পরওয়ার জানান, আট মাস পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সুবিচার মিলছে না। তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের আশায় থাকা দেশের প্রতিটি মানুষ এই পরিস্থিতিতে কষ্ট পাচ্ছে। তবে আমরা এখনো আশাহত হইনি। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে, এবং আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করে যাব।”

তিনি আরও বলেন, “একই পরিস্থিতিতে অন্যরা মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম আজও বন্দি—এটা কেবল সরকারের নয়, বরং প্রশাসন ও জনগণেরও দায়।”


মুখোমুখি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ: শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা

ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। সাম্প্রতিক এই সংঘর্ষে উভয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নানা পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ শান্ত হয়নি। এই সংঘর্ষের কারণ ও ফলাফল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শিক্ষাঙ্গনে শান্তি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

রাজধানীর আজিমপুর-মিরপুর সড়কে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আবারও মুখোমুখি হয় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। হঠাৎ করে শুরু হওয়া এই উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি হয়।

ঢাকা কলেজের ছাত্রদের দাবি, আগের দিন ধানমন্ডি এলাকায় তাদের এক সহপাঠীকে কিছু অজ্ঞাত যুবক মারধর করে। তাদের ধারণা, হামলাকারীদের একজন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। পূর্বের বিরোধ থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত বলে মনে করছেন তারা।

[পড়ুন – প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ ]

ঘটনার সময় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন সিটি কলেজের শিক্ষকরা, কিন্তু উত্তেজনা বাড়তে থাকলে কলেজের মূল গেটে ইট-পাটকেল ছোঁড়েন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগেও ১৫ এপ্রিল সায়েন্সল্যাব মোড়ে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যেখানে কয়েকজন আহত হন।


প্রাণভয়ে বাংলাদেশ ছাড়লেন হাথুরুসিংহ : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ

বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতা ও জীবননাশের হুমকির মুখে হাথুরুসিংহে দেশ ছেড়ে নেপালে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীর কাছ থেকে ক্রমাগত হুমকি পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। হাথুরুসিংহের এই দেশত্যাগের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন সকলের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ঢেউ লাগে বাংলাদেশে, যার প্রভাব পড়ে ক্রিকেট জগতেও। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে পরিবর্তন আসে এবং ফারুক আহমেদ নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই, গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফারুক আহমেদ প্রধান কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অব্যাহতি দেন।

[পড়ুন – ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর কত ]

২০২৩ সালের ভারত বিশ্বকাপে স্পিনার নাসুম আহমেদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, তার কিছু আচরণগত সমস্যা নিয়ে বিসিবি তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায়। হাথুরুসিংহে একদিনের মধ্যেই সেই নোটিশের জবাব দিলেও, বিসিবি সেই উত্তরকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বিবেচনা করে তার সাথে চুক্তি বাতিল করে দেয়।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ‘কোড স্পোর্টস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাথুরুসিংহে সেই সময়ের পরিস্থিতি বর্ণনা করে জানান যে, তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা নিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সিইও (নিজাম উদ্দিন চৌধুরী) আমাকে শেষবারের মতো বলেছিলেন যে আমার চলে যাওয়া উচিত এবং এই বিষয়ে বোর্ডের কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন নেই। “আপনার কাছে কি (বিমানের) টিকিট আছে?” – এই প্রশ্নটি আমার কাছে একটি সতর্কবার্তা মনে হয়েছিল এবং তখনই আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম।’

বাংলাদেশের এই প্রাক্তন কোচ আরও বলেন, ‘আমি সরাসরি ব্যাংকে যাই, বাংলাদেশ ছাড়ার জন্য অর্থ তোলার চেষ্টা করছিলাম। যখন আমি ব্যাংকে, তখন টিভিতে একটি জরুরি খবর প্রচারিত হয় – “চন্ডিকা চাকরিচ্যুত, একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করেছেন”। এটি দেখে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, “কোচ, আমি আপনার সাথে যাব। রাস্তায় লোকজন আপনাকে দেখলে তা আপনার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে।”’

হাথুরুসিংহে আরও যোগ করেন, ‘তখন আমি সত্যিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম, কারণ আমার যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে হতো। আমার এক বন্ধু আমাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আমি একটি টুপি ও হুডি পরিহিত ছিলাম, কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি মধ্যরাতের ফ্লাইটে আমি বাংলাদেশ ছেড়ে যাই।’

গ্রেপ্তারের আশঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিমানবন্দরে আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারত। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে যে আগের সরকারের একজন মন্ত্রী দেশ ছাড়ার চেষ্টা করলে রানওয়েতে তার বিমান থামিয়ে তাকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। সেই ভয়গুলোই আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছিল।’


২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর ১ লাখ ১৫ হাজার: বাংলাদেশ

বাংলাদেশে স্বর্ণের দর প্রতিদিন পরিবর্তনশীল, যা আন্তর্জাতিক বাজার, ডলারের রেট এবং স্থানীয় চাহিদা-জোগানের উপর নির্ভর করে। আজ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দর প্রতি ভরিতে ১ লাখ ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। ২১ ক্যারেট স্বর্ণের দর কিছুটা কম, প্রতি ভরিতে ১ লাখ ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বিনিয়োগকারী এবং ক্রেতাদের জন্য স্বর্ণের দর জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। স্বর্ণের দর সম্পর্কে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

আজ, ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে স্বর্ণের সর্বশেষ দর বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) কর্তৃক নির্ধারিত এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ২২ ক্যারেট (হলমার্ক করা): ১৬৭,৮৩৩ টাকা
  • ২১ ক্যারেট: ১৬০,২০৫ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট: ১৩৭,৩০৯ টাকা
  • সনাতন পদ্ধতি: ১১৩,৪৯১ টাকা
  • ২২ ক্যারেট: ১৪,৩৮৯ টাকা
  • ২১ ক্যারেট: ১৩,৭৩৫ টাকা
  • ১৮ ক্যারেট: ১১,৭৭২ টাকা
  • সনাতন পদ্ধতি: ৯,৭৩০ টাকা

[পড়ুন – আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রের শীর্ষ শিরোনাম ]

  • স্বর্ণের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের হারের উপর ভিত্তি করে এবং স্থানীয় চাহিদা ও সরবরাহের কারণে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
  • জুয়েলারি কেনার সময় এর সাথে ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ যোগ হতে পারে।

থানার ওসি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীকের আলোচনা ভাইরাল: প্রশ্নবিদ্ধ আইন

একটি গোপন অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে একজন থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) এবং একজন স্থানীয় ব্যবসায়ীর মধ্যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। এই অডিওতে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই এই কথোপকথনের নৈতিকতা ও আইনি দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঘটনাটি এখন সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদন্তের দাবি উঠেছে। এই অডিও লিক কীভাবে আরও বড় ইস্যুতে রূপ নেয়, তা দেখার জন্য সকলে উদগ্রীব।


গাজীপুরের শ্রীপুরে কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝুট ব্যবসায়ী সেলিম শিকদারের বাড়ি শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামে। অন্যদিকে, অডিওতে যাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ, সেই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল, যিনি শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে কর্মরত।

ব্যবসায়ী সেলিম সিকদার অভিযোগ করেছেন, গত ৫ আগস্টের একটি হত্যা মামলায় তাকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি রমজানের ছয় দিন আগে প্রায় এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। এর আগে তিনি রিদিশা গ্রুপের ফর্মুলা ওয়ান কারখানায় ঝুট ব্যবসা করতেন। তার দাবি, গ্রেপ্তারের দিন ওসি জয়নাল আবেদীন তার কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, ঝুট ব্যবসার সময় ওসি প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা নিতেন এবং টাকা না দিলে ব্যবসা করতে বাধা দিতেন। প্রাণের ভয়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই কর্মকর্তাকে টাকা দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছিলেন। অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ওসি বিভিন্ন লোক মারফত তাকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এমনকি, ফেসবুকে লাইভে এসে ওই অডিওটিকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও সেলিম সিকদার সোমবার সকালে এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন।

ডিজিটাল সেলার বিজ্ঞাপন ফ্রি প্রচার

ফাঁস হওয়া ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে টেলিফোনের অন্য প্রান্তে ওসিকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির মাধ্যমে সেলিম সিকদারকে কারখানা থেকে ঝুট বের করতে সাহায্য করছেন। ওই মধ্যস্থতাকারীকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিলে সেলিম নির্বিঘ্নে ঝুট পরিবহন করতে পারবেন বলে ওসি তাকে আশ্বস্ত করেন। অডিওর এক পর্যায়ে ওসিকে সেলিম শিকদারের কাছে ফুল হাতা গেঞ্জি চেয়ে নিতেও শোনা যায়।

তবে, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল অডিও ক্লিপে থাকা কণ্ঠস্বর নিজের নয় বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “এটা আমার নলেজে নাই। সারাদিন ফোনে অনেক মানুষের সাথে কথা বলি। কাজের কথা বলি। কাজের বাইরে কোনো কথা বলি না। অডিওর বিষয়টি আমার নলেজে নাই।”

এই প্রসঙ্গে গাজীপুরের পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী মোঃ যাবের সাদেক জানিয়েছেন, “এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। কথপোকথনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে আমাদের কথা বলা দরকার। উনাকে নির্ভয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। উভয়ের বিষয়টি তদন্ত করে সত্য প্রমাণিত হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন


মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারত সফর মোদির সাথে রাতে বৈঠক

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম প্রধান সহযোগী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স বর্তমানে ভারত সফরে রয়েছেন। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে রাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। আলোচনায় ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এই সফরকে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। সোমবার সকালে তিনি তার স্ত্রী ঊষা চিলুকুরি, তাদের তিন সন্তান এবং মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দিল্লির মাটিতে পা রাখেন। এই প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) ঊর্ধ্বতন পরিচালক রিকি গিলও ছিলেন।

ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু‘র প্রতিবেদন অনুসারে, দিল্লি বিমানবন্দরে জে ডি ভ্যান্সকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে একটি বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে ভ্যান্স এবং মোদির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে মোদির মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

গাজায় বিফল শান্তি চুক্তি

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, এই বৈঠকের পর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে।

ভারতে আগমনের পর জে ডি ভ্যান্স তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লির বিখ্যাত অক্ষরধাম মন্দির পরিদর্শন করেন। মন্দিরের মুখপাত্র রাধিকা শুক্লা জানান, ভ্যান্সের সন্তানেরা সেখানে বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে রাধিকা শুক্লা বলেন, “তাদের (ভ্যান্সের সন্তান) হাতে একটি বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে এই স্মরণীয় মুহূর্ত তাদের স্মৃতিতে অমলিন থাকে। অক্ষরধাম পরিদর্শনের সময় তিনি (ভ্যান্স) এখানকার শিল্পকর্ম, উপদেশমূলক বাণী এবং সাংস্কৃতিক কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হন।”

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জয়পুরে জে ডি ভ্যান্স একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা দেবেন, যেখানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


২য় দিনে বাংলাদেশের দা’পুটে পারফরম্যান্স: জোড়া উইকেট নাহিদের

সিলেট টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পেসার নাহিদ রানা দুর্দান্ত বোলিং করে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন। তার এই জোড়া আঘাতে প্রতিপক্ষ দল চাপের মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে ম্যাচের গতিপ্রবাহ পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নাহিদের এই অসাধারণ পারফরম্যান্স দলকে শক্তিশালী অবস্থানে এনেছে। সিলেটের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটের এই উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক সাফল্য ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে আধিপত্য বিস্তারকারী জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই চাপে ফেলেছে বাংলাদেশের বোলাররা। মুজারাবানি ও মাসাকাদজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে প্রথম দিন বাংলাদেশকে অল্প রানে বেধে ফেলেছিল এবং দিনের শেষভাগে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান সংগ্রহ করেছিল। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বাংলাদেশের পেসাররা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। নাহিদ রানা দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন এবং হাসান মাহমুদও একটি উইকেট পেয়েছেন।

টঙ্গীতে তরুণ নিহত

দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হওয়ার সময় জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানকে বেশিদূর যেতে দেননি নাহিদ রানা। বেন কারান ব্যক্তিগত ১৮ রানে নাহিদের বলে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

এরপর নাহিদ রানা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন বেনেটকে আউট করে। বেনেট ৫৭ রান করে জাকের আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

অপরদিকে, নিক ওয়েলস এদিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। তিনি মাত্র ২ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান।

রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান সংগ্রহ করেছে। ক্রিজে ব্যাট করছেন উইলিয়ামস ও এরভিন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

ফসলের ন্যায্য মূল্য চেয়ে কৃষকদের ঢাকার দিকে লংমার্চ

কৃষকদের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার-বীজের দাম কমানো, কৃষি ঋণ সহজীকরণ, সেচ সুবিধা প্রসার এবং কৃষি বীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো নিয়ে কৃষকরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এই আন্দোলন কৃষি খাতের সংকট সমাধান ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের মূল দাবিগুলো পেশ করার জন্য এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে, যা কৃষি নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি নিয়ে কৃষক ঐক্য পরিষদ একটি দীর্ঘ পদযাত্রা করেছে। বগুড়া থেকে শুরু হওয়া এই সাত দিনের লংমার্চটি রবিবার (২০ মার্চ) রংপুরে এসে পৌঁছায়। রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

রংপুর ব্যুরো:

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু ও পেঁয়াজ কমিশন গঠন করা, প্রতিটি উপজেলায় কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা, ঢাকা সহ সারা দেশে কৃষকদের জন্য সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা, কৃষি কাজে ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও টোল আদায় বন্ধ করে রেলপথে ওয়াগন বরাদ্দ করা, সরকারি পতিত জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ এবং তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা, সরকারি উদ্যোগে কৃষি বীমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে কৃষকদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপসের আধুনিকায়ন ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ করা।

মতবিরোধের বিষয়গুলো উঠবে আলোচনায় এনসিপির

কৃষক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এই লংমার্চটি গত ১৭ এপ্রিল বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে। রংপুরে কর্মসূচি শেষে এটি লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হবে। এরপর নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও হয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল পঞ্চগড়ে গিয়ে সমাপ্ত হবে। নেতারা আরও জানান, তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ, মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

Exit mobile version