সাম্য হত্যার বিচার না হওয়ায় শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

“সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে ছাত্রদল শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে, যার ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই প্রতিবাদের পেছনের কারণ, বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রভাব জানুন। সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের প্রতিবেদন পড়ুন।”


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ছাত্রদলের ব্যাপক অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শাহবাগ মোড়ে এই অবস্থানের কারণে এলাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী সকাল ১০টায় শাহবাগ মোড়ে সমবেত হন। তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই অবস্থান বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। বিভিন্ন শাখা থেকে নেতাকর্মীরা ধীরে ধীরে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন।

রাকিবুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সাম্য হত্যার বিচারে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। প্রশাসন আমাদের সাথে অস্পষ্টতা বজায় রেখেছে।” গতকাল ঢাবি প্রশাসন তিনজন সন্দেহভাজনকে আটকের কথা জানালেও তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি বলে ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন।

এই অবস্থানের কারণে শাহবাগ ও সংলগ্ন এলাকায় মারাত্মক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

গতকাল ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গাফিলতি, আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। নিহত সাম্য ছিলেন ঢাবির স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।


এখন পর্যন্ত বিচার খাতে কী পরিবর্তন এনেছে সরকার? প্রশ্ন তুলেছেন হাসনা

সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে হাসনাত সরকারকে প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছেন, বিচার ও আইনি সংস্কারের ক্ষেত্রে তারা কী কী বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি মনে করেন, জনগণের স্বার্থে এই খাতে গঠনমূলক পরিবর্তন জরুরি। বিচার ব্যবস্থা ও ন্যায়বিচারের মান উন্নয়নে সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলো কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক ও বিশ্লেষণ।


বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে বর্তমান ইন্টারিম সরকারের কার্যক্রম নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।

সেই পোস্টে তিনি জিজ্ঞেস করেন, “এই ইন্টারিম সরকার এখন পর্যন্ত কোন কোন বিচার বা সংস্কার করেছে?”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও লেখেন, “খুনিদের দেশত্যাগের সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন পায়, শিরীন শারমিনকে পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মে মাস চলে এলেও এখনও শুরু হয়নি। তারপরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের বিচার হবে?”

[আরোও পড়ুনঃসহযোগিতার প্রস্তাবও] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে জানা যায়, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর প্রায় নয় মাস পর হঠাৎ দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র জানায়, ৭ মে দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ ফ্লাইটে তিনি ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।

এসবি ইমিগ্রেশন শাখা নিশ্চিত করেছে, তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে ও শ্যালক। এই আকস্মিক দেশত্যাগ, বিচারব্যবস্থার অচলাবস্থা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়মুক্ত ভূমিকা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠছে।


জামায়াত নেতাদের প্রতিক্রিয়া, আজহারের মুক্তি নিয়ে আইনি জটিলতা

এটিএম আজহারের মুক্তি প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব বিস্মিত ও ব্যথিত হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আইনি জটিলতা ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তার মুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত নেতারা এই বিলম্বকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ তৈরি হয়েছে। আজহারের মুক্তি কখন নিশ্চিত হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এই নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বিস্তারিত জানুন আমাদের প্রতিবেদনে।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি বিলম্বিত হওয়ায় বিস্ময় ও কষ্ট প্রকাশ করেছে দলটি। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টে জামিন শুনানির পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

[পড়ুন – মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ভারত সফর ]

তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর যারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটক ছিলেন, তারা সবাই ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ এটিএম আজহার এখনো কারাবন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সাথে তার কোনও সংযোগ নেই। আইনজীবীরা আদালতে তা যথাসাধ্য প্রমাণও করেছেন।”

গোলাম পরওয়ার জানান, আট মাস পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সুবিচার মিলছে না। তিনি বলেন, “ন্যায়বিচারের আশায় থাকা দেশের প্রতিটি মানুষ এই পরিস্থিতিতে কষ্ট পাচ্ছে। তবে আমরা এখনো আশাহত হইনি। আইনের প্রতি আমাদের পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে, এবং আমরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করে যাব।”

তিনি আরও বলেন, “একই পরিস্থিতিতে অন্যরা মুক্তি পেলেও আজহারুল ইসলাম আজও বন্দি—এটা কেবল সরকারের নয়, বরং প্রশাসন ও জনগণেরও দায়।”


Exit mobile version