৯ জন নিহত,শান্তি সংলাপের পর ইউক্রেনের বাসে ড্রোন হামলা

ইউক্রেন ও রাশিয়ার শান্তি আলোচনা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের একটি বেসামরিক বাসে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এই হামলায় ৯ জন নিহত হন। হামলাটি বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় তুলেছে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।


সুমি অঞ্চলে ড্রোন হামলা, নিহত ৯ বেসামরিক নাগরিক

ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার চালানো ড্রোন হামলায় অন্তত ৯ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত চারজন। আজ শনিবার (১৮ মে) ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে।

ঘটনাটি ঘটে এমন সময়, যখন তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ সময় পর শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার কয়েক ঘণ্টা পরই হামলাটি ঘটে।

ইউক্রেনের ন্যাশনাল পুলিশ টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানায়, “এটি কেবল একটি হামলা নয়, বরং পরিকল্পিত যুদ্ধাপরাধ।”

[আরোও পড়ুনঃসরকারি চাকরির সুযোগ ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা তাস বলেছে, সুমি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সামরিক সরঞ্জাম জমা হওয়ার জায়গায় এই হামলা চালানো হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান ইহোর তকাচেঙ্কো জানান, হামলার পর উদ্ধার কাজ চলছে। পুলিশ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, হামলার শিকার বাসটি প্রায় সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার পক্ষে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি এবং ইউক্রেনের পক্ষে ছিলেন রুস্তেম উমেরভ। আলোচনায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো চুক্তি না হলেও উভয় পক্ষ ১,০০০ করে যুদ্ধবন্দী বিনিময়ের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃআবার মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ভারত ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “ইউক্রেন প্রকৃত শান্তির পথে এগোতে প্রস্তুত। রাশিয়া যদি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি না মানে, তাহলে তাদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।”


১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানোর নেপথ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের স্ট্র্যাটেজি

ট্রাম্প প্রশাসনের একটি গোপন পরিকল্পনায় গাজার ১০ লাখ বাসিন্দাকে লিবিয়ায় স্থানান্তরের প্রস্তাব ছিল। এই বিতর্কিত নীতির লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্য সংকটের বিকল্প সমাধান, যা আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।


ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তর নিয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনার গুঞ্জন

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজার প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সাবেক এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, “মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এই ধরনের পরিকল্পনার জন্য একেবারেই উপযোগী নয়।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দ হওয়া বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফেরত দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে। যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি এবং ইসরায়েলকে এই আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেন, “গাজার জনগণ তাদের মাতৃভূমি ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয়। তারা তাদের অধিকার ও ভবিষ্যতের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বে।”

[আরোও পড়ুনঃদীর্ঘ বিরতির পর মালয়েশিয়ায় আবার কর্মসংস্থান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

লিবিয়ার পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটি বর্তমানে দ্বন্দ্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যেখানে পশ্চিমে দেইবাহ সরকার এবং পূর্বে হাফতারের নেতৃত্বাধীন শক্তি আলাদা প্রশাসন পরিচালনা করছে।

ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় কোন স্থানে রাখা হবে এবং কীভাবে পরিবহন করা হবে—সে বিষয়েও এখনো কিছু নির্ধারিত হয়নি। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে স্থানান্তরের বিকল্পগুলো যাচাই করছেন।

এই পরিকল্পনা মূলত ট্রাম্পের তথাকথিত ‘পোস্ট-ওয়ার গাজা ভিশন’-এর অংশ, যেখানে তিনি গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর কথা বলেছিলেন। ট্রাম্পের মতে, গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তর করেই সেখানে উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।

[আরোও পড়ুনঃ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যদিও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে এবং লিবিয়ার মতো একটি অস্থিতিশীল দেশে জনসংখ্যা বাড়ানো আরও সংকট তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়া সহ আরও কিছু বিকল্প দেশ নিয়েও আলোচনা করেছে বলেও জানা গেছে।


ভারত-চীন সংঘর্ষে তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ সন্দেহ করছে রাশিয়া

রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা থেকে ফায়দা তুলতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। মস্কোর মতে, এই সংঘর্ষকে ঘিরে তৃতীয় পক্ষের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, যা এশিয়ায় অশান্তি বাড়াতে পারে।


রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ভারত ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে ফাটল ধরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতির মাধ্যমে এশিয়ার দুই প্রধান শক্তিকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে সংঘাত সৃষ্টির পথ তৈরি করছে তারা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো – ভারত ও চীনকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে নিজেদের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা।

ল্যাভরভ চীন ও ভারতকে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে উল্লেখ করে জানান, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভৌগোলিক রাজনৈতিক মানচিত্র বদলানোর পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব সক্রিয়। তারা “ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল” শব্দবন্ধ ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব তৈরি করছে। এর ফলে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে।’

[আরোও পড়ুনঃবিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে আরও জানা যায়, পশ্চিমা শক্তিগুলো শুধু ভারত ও চীনকেই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ দেশের সংগঠন আসিয়ানকেও দুর্বল করতে সচেষ্ট। আসিয়ানের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে উঠলেও, পশ্চিমাদের লক্ষ্য সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

ল্যাভরভের মতে, চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব ও ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি পশ্চিমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা কৌশলগতভাবে দুই দেশকে মুখোমুখি করে দিয়ে গোটা অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে। এতে এশিয়ার অন্যান্য দেশকে সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব হবে বলেও মত দেন তিনি।


দীর্ঘ বিরতির পর মালয়েশিয়ায় আবার কর্মসংস্থান পাচ্ছে বাংলাদেশিরা

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। নতুন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে শিগগিরই। কর্মসংস্থানের এই সুযোগ হাজারো প্রবাসীর আশার আলো হয়ে এসেছে। বিস্তারিত জানুন নতুন চুক্তি, শর্তাবলী ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে।


বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী ছয় বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বিনা খরচে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও’র সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে নীতিগতভাবে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া, তবে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

জানা গেছে, নেপাল ও মালদ্বীপসহ আরও পাঁচটি দেশ থেকেও শ্রমিক নিতে আগ্রহী মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করতে ২১ মে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এর আগে, গত বছর অক্টোবরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, প্রযুক্তি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

[আরোও পড়ুনঃচিলমারীতে বোরো ধান ও চাল ক্রয়] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ড. ইউনূসকে “বন্ধু” বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীরা আধুনিক দাস নয়। আমরা তাদের সম্মান ও সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে খুলতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। কারণ, মালয়েশিয়ায় গড় বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি এবং বৈধভাবে রপ্তানি করা কর্মীদের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়বে।

[আরোও পড়ুনঃরাঙামাটিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সরকারি সফরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া এবং উপসচিব মো. সারওয়ার আলম।


সীমান্তে অনুপ্রবেশের পর পাকিস্তানে ধরা পড়ে বিএসএফ সদস্য

পাকিস্তানে আটক ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানকে নিরাপদভাবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর তাঁকে আটক করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তাকে ফেরত আনা হয়। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


১৪ মে, বুধবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান, যিনি ইউনিফর্মে সজ্জিত ও রাইফেলসহ পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন, তাকে আজ আটারি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ জানায়, গত ২৩ এপ্রিল থেকে তিনি পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন এবং আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অমৃতসরের জয়েন্ট চেক পোস্টে শান্তিপূর্ণভাবে এবং প্রোটোকল অনুসারে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর একদিন পর, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে নিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী ওই বিএসএফ সদস্য ‘অসাবধানতাবশত’ সীমান্ত অতিক্রম করেন। ওই হামলার কারণে সীমান্তে অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যার ফলে তার প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হয়।

[আরোও পড়ুনঃছাত্রদল নেতার খুন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৩,৩২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের নিরাপত্তা বিএসএফের দায়িত্বে। টহলরত অবস্থায় ভুলবশত সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটেই থাকে। সাধারণত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ ধরনের ইস্যু সমাধান করা হয়ে থাকে।


কূটনৈতিক পদক্ষেপে পারমাণবিক উত্তেজনা এড়াল ভারত ও পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়। পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষমেশ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ এক ধ্বংসাত্মক সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়, যা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় সাফল্য।


শনিবার, ১০ মে রাত ২টা ৯ মিনিটে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি বিমানঘাঁটির কাছে থাকা বাসিন্দা আহমাদ সুবহান প্রথম বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে চমকে উঠেন। তার বাড়ির জানালাগুলো কেঁপে ওঠে। ওই মুহূর্তেই দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ভয়াবহ সংকেত ধরা দেয়।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনা এ রাতে রূপ নেয় এক চূড়ান্ত সংঘাতে। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ জুড়ে শুরু হয় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের গতি–প্রতিযোগিতা। পারমাণবিক শক্তিধর এ দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায়।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পারমাণবিক কমিটি জরুরি বৈঠকে বসবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। ভোররাত পর্যন্ত আট ঘণ্টা ধরে ভারতের চালানো হামলায় পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ছিল নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ইসলামাবাদের খুব কাছেই অবস্থিত এবং জনবসতি অধ্যুষিত এলাকায় পড়ে।

আহমাদ সুবহান জানান, প্রথম বিস্ফোরণের পর তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাইরে বের হয়ে আসেন। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “ঠিক কী ঘটছে তা বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আমি তখন ফোন ধরতে যাচ্ছিলাম, সময়টা একদম মনে আছে।”

এই উত্তেজনার শুরু হয়েছিল সম্ভাব্য যুদ্ধের ভয় নিয়ে। তবে সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর পরই যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটাই কেটে যায়।

[আরোও পড়ুনঃগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৮১] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানের অন্তত ১৪ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার এবং তিন দেশের রাজধানী থেকে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—যে কিভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং সমান্তরালে সক্রিয় হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। এ সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ।


হাসপাতালেও রেহাই নেই, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৮১

গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় এক রাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সাধারণ নাগরিক ও রোগীদের লক্ষ্য করে চালানো এই নৃশংস হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।


গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আক্রমণে আবারও একদিনে প্রাণ হারালেন অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতালের পাশে চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি, যার মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও ছিলেন। অন্যদিকে, উত্তর গাজায় মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা হামলায় কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

গাজা জুড়ে হামলার মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধুমাত্র মধ্যরাত থেকে উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৫ জন, অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ছয়জন।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

দক্ষিণ গাজার ইউরোপিয়ান ও নাসের হাসপাতালের আশপাশে চালানো হামলাতেই নিহত হন ৩০ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫২,৯০৮ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১,১৯,৭২১ জন। চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় নিহত হয়েছেন ২,৭৮০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৭,৭০০ জন।

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেই ইসরায়েল নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত।

[আরোও পড়ুনঃক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছেন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গাজায় সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ ছাড়া, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।


জাপানের সাথে বাংলাদেশের পরিকল্পিত বৈঠক স্থগিত, কি বলছে উভয় পক্ষ?

বাংলাদেশ ও জাপানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠক স্থগিত হয়েছে। জানুন এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ, সম্ভাব্য প্রভাব এবং উভয় দেশের সম্পর্কে এর তাৎপর্য। এই বৈঠক স্থগিত হওয়ায় কূটনৈতিক অ্যাজেন্ডায় কী পরিবর্তন আসছে? বিস্তারিত তথ্য ও বিশ্লেষণ পড়ুন আমাদের প্রতিবেদনে।


বাংলাদেশ-জাপান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১২ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বৈঠকটি আগামী ১৫ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

[আরোও পড়ুনঃসতর্ক হোন এখনই] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “পরবর্তীতে দুই দেশের জন্য সুবিধাজনক সময়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।” বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জাপানি দূতাবাসকে অনুরোধ করেছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে।

[আরোও পড়ুনঃজামায়াতের নিবন্ধন ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা চলতি মাসের শেষে জাপান সফরে যাচ্ছেন। এ সফরে তিনি নিক্কেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। স্থগিত হওয়া পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক চুক্তিসমূহের বাস্তবায়ন পর্যালোচনাও এ বৈঠকের এজেন্ডায় ছিল।


Exit mobile version