গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় এক রাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সাধারণ নাগরিক ও রোগীদের লক্ষ্য করে চালানো এই নৃশংস হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আক্রমণে আবারও একদিনে প্রাণ হারালেন অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতালের পাশে চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি, যার মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও ছিলেন। অন্যদিকে, উত্তর গাজায় মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা হামলায় কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
গাজা জুড়ে হামলার মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধুমাত্র মধ্যরাত থেকে উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৫ জন, অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ছয়জন।
[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]
দক্ষিণ গাজার ইউরোপিয়ান ও নাসের হাসপাতালের আশপাশে চালানো হামলাতেই নিহত হন ৩০ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫২,৯০৮ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১,১৯,৭২১ জন। চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় নিহত হয়েছেন ২,৭৮০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৭,৭০০ জন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেই ইসরায়েল নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত।
[আরোও পড়ুনঃক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছেন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গাজায় সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এ ছাড়া, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।