ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়। পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষমেশ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ এক ধ্বংসাত্মক সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়, যা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় সাফল্য।
শনিবার, ১০ মে রাত ২টা ৯ মিনিটে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি বিমানঘাঁটির কাছে থাকা বাসিন্দা আহমাদ সুবহান প্রথম বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে চমকে উঠেন। তার বাড়ির জানালাগুলো কেঁপে ওঠে। ওই মুহূর্তেই দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ভয়াবহ সংকেত ধরা দেয়।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনা এ রাতে রূপ নেয় এক চূড়ান্ত সংঘাতে। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ জুড়ে শুরু হয় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের গতি–প্রতিযোগিতা। পারমাণবিক শক্তিধর এ দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায়।
[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পারমাণবিক কমিটি জরুরি বৈঠকে বসবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। ভোররাত পর্যন্ত আট ঘণ্টা ধরে ভারতের চালানো হামলায় পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ছিল নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ইসলামাবাদের খুব কাছেই অবস্থিত এবং জনবসতি অধ্যুষিত এলাকায় পড়ে।
আহমাদ সুবহান জানান, প্রথম বিস্ফোরণের পর তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাইরে বের হয়ে আসেন। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “ঠিক কী ঘটছে তা বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আমি তখন ফোন ধরতে যাচ্ছিলাম, সময়টা একদম মনে আছে।”
এই উত্তেজনার শুরু হয়েছিল সম্ভাব্য যুদ্ধের ভয় নিয়ে। তবে সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর পরই যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটাই কেটে যায়।
[আরোও পড়ুনঃগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৮১] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]
রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানের অন্তত ১৪ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার এবং তিন দেশের রাজধানী থেকে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—যে কিভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং সমান্তরালে সক্রিয় হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। এ সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ।
One thought on “কূটনৈতিক পদক্ষেপে পারমাণবিক উত্তেজনা এড়াল ভারত ও পাকিস্তান”