ইউরোপীয় নীতিতে পরিবর্তন, সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। সিরিয়ার অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। ইউরোপীয় নীতির এ পরিবর্তন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।


ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ কমিশনার কালাস জানান, সিরিয়ার জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও নতুন সিরিয়া গঠনে সহায়তা করতে চাই। তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছর ধরে ইইউ সিরিয়ার পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

সম্প্রতি জানুয়ারির শেষ দিকে আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে বাশার আল-আসাদ সরকারকে হটিয়ে সিরিয়ায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এরপর পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, নতুন সরকারকে সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আল-শারারের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সম্ভাবনার কথা বলেন। এই ঘোষণার পর ইইউও একই পথে হাঁটছে বলে স্পষ্ট করে।

এদিকে, সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি ইইউর এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আরও জোরদার করবে।


১৫ তলা থেকে পড়ে একটি শিশু বেঁচে গেল!

১৫ তলা ভবন থেকে পড়ে গিয়েও বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায় একটি শিশু। ঘটনাটি শুধু এলাকাবাসী নয়, চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীদেরও। পদার্থবিদ্যার দৃষ্টিতে এত উচ্চতা থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হলেও, বিশেষ কিছু উপাদান এই বাঁচার ব্যাখ্যা দিচ্ছে। পুরো ঘটনাটি রীতিমতো গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।


১৫ তলা থেকে পড়ে গেলেও বেঁচে গেল শিশুটি, কীভাবে সম্ভব হলো?

১৫ তলা ভবন থেকে পড়ে যাওয়ার পরও এক শিশুর বেঁচে যাওয়া নিয়ে সবার মনে জন্ম নিয়েছে বিস্ময় ও প্রশ্ন। এত উঁচু থেকে পতনের পর কীভাবে সে বেঁচে থাকল, এটাই এখন সবার কৌতূহলের বিষয়।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পা ভেঙেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ আঘাত রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার আঘাতগুলো প্রাণঘাতী নয় এবং সে পুরোপুরি সেরে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বেঁচে যাওয়ার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
এমআইটি’র পদার্থবিদ্যা ও যান্ত্রিক প্রকৌশলের অধ্যাপক অ্যানেট হোসোই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির কম ওজন ও পড়ার সময় ঝোপঝাড়ে অবতরণ করায় তার শরীরের ওপর পতনের গতি ও চাপ অনেকটাই কমে গেছে।

ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসোই বলেন, “শিশুটি যেই ঝোপের ওপর পড়েছে, তা তার পতনের শক্তি অনেকটাই শুষে নিয়েছে। এখানে শিশুর পক্ষে সবকিছুই অনুকূলে ছিল।”

১৫ তলা ভবন থেকে পড়ে গিয়েও বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায় : ফাইল ছবি

গতি ও বলের সম্পর্ক
হোসোই আরও জানান, নিউটনের সূত্র অনুযায়ী, বল = ভর × ত্বরণ। শিশুর শরীরের ভর কম হওয়ায় তার ওপর পড়ার সময় গতি ও বলের প্রভাবও তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

টার্মিনাল ভেলোসিটি ও ঝোপের ভূমিকা
তিনি বলেন, “টার্মিনাল ভেলোসিটি” বা সর্বোচ্চ পতন গতি হলো সেই সীমা, যেখানে শরীর আর দ্রুত পতিত হয় না। ১৫ তলা থেকে পড়লেও শিশুটি সেই গতি অর্জন করেনি। তার পতনের সময় গতি ছিল প্রায় ৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টা, যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে তা হতে পারে ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা। ঝোপঝাড়ের উপস্থিতি এ গতিকে আরও কমিয়ে দেয়, ফলে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।


এক সপ্তাহ ধরে আলোর শহরের চিহ্নগুলিকে গ্রাস করে ফেলা আগুনের গল্প

“আলোর শহরে এক সপ্তাহব্যাপী ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতীকী চিহ্ন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এই দাবানলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ছড়িয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।”


১৮৭১ সালের প্যারিস কমিউন: ইতিহাসের রক্তাক্ত অধ্যায়
১৮৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সে সংঘটিত প্যারিস কমিউন বিদ্রোহ ইতিহাসের অন্যতম রক্তাক্ত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। জার্মানির একীকরণ ও তৃতীয় নেপোলিয়নের পতনের পর ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে গড়ে ওঠা কমিউনগুলো সরকারি কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

বিদ্রোহের বিস্তার:

  • লিওন ও মার্সেইয়ের পর প্যারিসে গঠিত হয় সবচেয়ে শক্তিশালী কমিউন
  • স্থানীয় বাসিন্দারা অস্ত্র তুলে নেয় এবং ব্যারিকেড তৈরি করে
  • ভার্সাই বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে

ধ্বংসযজ্ঞ:
১৮৭১ সালের ২১-২৮ মে ‘রক্তাক্ত সপ্তাহ’ নামে পরিচিত সময়ে:

  • চ্যাম্প-ডি-মার্স পার্কসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগ ঘটে
  • লুভর প্রাসাদের কিছু অংশ, সিটি হল ও থিয়েটার দে লা পোর্টে সেন্ট-মার্টিন পুড়ে যায়
  • রুয়ে দে লিলসহ বহু ঐতিহাসিক রাস্তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়
  • লুক্সেমবার্গ গার্ডেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসযজ্ঞ

ঐতিহাসিক প্রভাব:
এই বিদ্রোহ ফরাসি সমাজে গভীর বিভাজন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা যুগিয়েছে। প্যারিস কমিউনকে অনেকেই শ্রমিক শ্রেণীর প্রথম সফল বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করেন।


গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র আক্রমণ… মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বাড়ছে

“গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র সামরিক অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সম্প্রতি সংঘটিত এই হামলায় শিশু ও নারীসহ শতাধিক নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানালেও সংঘাত থামছে না। মানবিক বিপর্যয় রোধে জরুরি পদক্ষেপের দাবি উঠছে। বিস্তারিত জানুন…”


গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, মানবিক সহায়তা নিয়ে চুক্তি
ইসরায়েল দক্ষিণ গাজা উপত্যকা, বেইত লাহিয়া এবং আল-সুলতান শহরে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে।

মানবিক সহায়তা চুক্তি:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র মধ্যে ফোন আলোচনায় গাজার ১৫,০০০ বেসামরিক নাগরিকের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সহায়তায় বেকারির আটা, স্যুপ রান্নার উপকরণ, শিশুখাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করলেও সেগুলো সঠিকভাবে বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর নীতির কারণে ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করতে সমস্যা হচ্ছে। সোমবার মাত্র ৫টি এবং মঙ্গলবার ৯৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে।

বর্তমান পরিস্থিতি:
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে হামাসকে চাপে রাখতে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার বেশিরভাগ এলাকায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে সহায়তা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


জাতিসংঘ বলছে, সাহায্য ছাড়া গাজায় হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ইসরায়েলকে আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

বাজারের বাইরে যেতে চাইলে বন্ড সহায়তা জরুরি ভারতের

ভারতের বিকল্প বাজার ধরতে রপ্তানিকারকরা বন্ড সুবিধার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, নতুন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা করতে হলে শুল্ক ও নীতিগত সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। বন্ড সুবিধা না থাকলে সম্ভাবনাময় রপ্তানি ক্ষেত্রগুলো পিছিয়ে পড়তে পারে। বিস্তারিত জানুন ব্যবসায়ীদের এই আহ্বান ও প্রস্তাবনা সম্পর্কে।


ভারতের বাজারে বাংলাদেশের আসবাবপত্রের রপ্তানি তুলনামূলকভাবে সীমিত হলেও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা এ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য সরবরাহ করে আসছি। বিশেষ করে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ নামে পরিচিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের আসবাবের চাহিদা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত এসব অঞ্চলে আসবাব রপ্তানি হতো।

বর্তমানে বছরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হলেও, অতীতে এই পরিমাণ ছিল ১.৫ থেকে ২ লাখ ডলারের মতো। তবে সম্প্রতি ভারত সরকার স্থলপথে আসবাবপত্র আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায়, এই রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। যদি এই বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকে, তাহলে বিকল্প রুটে রপ্তানি অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না—ফলে আগ্রহ হারাবে অনেক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।

আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বন্ড-সুবিধার দাবি জানিয়ে আসছিলাম, এবং এবারকার বাজেটে সে বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা পাওয়া গেছে। তবে ভারতের বাজারে বাধা তৈরি হওয়ায় এখন বিকল্প বাজার খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্ভাবনাময় বাজারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এসব দেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই বন্ড সুবিধা প্রয়োজন।

আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক সহায়তা পেলে উন্নত বিশ্বেই বাংলাদেশি আসবাবপত্রের জন্য বড় রপ্তানি বাজার তৈরি করা সম্ভব। একইসঙ্গে ভারতের বাজারে ক্ষতির যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটিও কাটিয়ে ওঠা যাবে।


ভারতের রকেট উৎক্ষেপণ ব্যর্থ, মহাকাশে গিয়ে বিস্ফোরণ

ভারতের সাম্প্রতিক মহাকাশ মিশন উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ হয় এবং রকেটটি মহাকাশেই বিস্ফোরিত হয়। এই ব্যর্থতা ভারতের স্পেস রিসার্চে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত জানতে, প্রযুক্তিগত কারণ ও পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে পড়ুন আমাদের পূর্ণ রিপোর্ট। মহাকাশবিজ্ঞানের সর্বশেষ খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের সাইটে।


রোববার (১৮ মে) সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ইওএস-০৯ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইসরো। স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৫৯ মিনিটে পিএসএলভি-সি৬১ রকেটটি মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।

লাইভ সম্প্রচারে ইসরোর প্রধান পরিচালক ভি নারায়ণান জানান, শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও তৃতীয় ধাপে প্রবেশের সময় ত্রুটি দেখা দেয়, যার ফলে পুরো মিশনটি ব্যর্থ বলে ঘোষণা করা হয়।

ইসরোর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপ পর্যন্ত উৎক্ষেপণ ঠিকঠাক চললেও তৃতীয় ধাপে “একটি নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণের” ভিত্তিতে মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কী কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ধরা পড়লেন জেবুননেসা আফরোজ  ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ইওএস-০৯ উপগ্রহটির ওজন ছিল প্রায় ১,৬৯৬ কেজি এবং এটি ৫২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় সান-সিঙ্ক্রোনাস পোলার অরবিটে স্থাপন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু উৎক্ষেপণের ২০৩ সেকেন্ড পর তৃতীয় ধাপে ব্যবহৃত মোটরে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়।

ইসরো জানিয়েছে, রকেট ধ্বংসের পর এর ধ্বংসাবশেষ বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসবে, তবে এতে যেন কোনো ঝুঁকি না থাকে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন  ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যদিও এটি ইসরোর জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা, সংস্থাটি জানিয়েছে—ত্রুটি দ্রুত চিহ্নিত করে ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশন আরও নির্ভরযোগ্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।


৪৯,১০৩ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন,প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন

হজ ২০২৫-এ বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৪৯,১০৩ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। হজের সর্বশেষ আপডেট, হাজিদের সংখ্যা ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের রিপোর্টটি পড়ুন। হজ সংক্রান্ত সর্বশেষ ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।


সর্বশেষ হজ বুলেটিন অনুযায়ী, শনিবার (১৭ মে) মদিনায় মো. জয়নাল হোসেন (বয়স ৬০) ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গাজীপুর সদরের বাসিন্দা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিলেন।

বুলেটিনে জানানো হয়, শনিবার রাত পর্যন্ত তিনটি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে মোট ১২৪টি ফ্লাইটে ৪৯,১০৩ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাবেন। এর মধ্যে ৫,২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করবেন। হজ ফ্লাইট পরিচালনায় এ পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬২টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪২টি এবং ফ্লাইনাস ১৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

[আরোও পড়ুনঃ রাজশাহীতে বস্তায় পাওয়া গলিত দেহ  ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি গমন শুরু হয় ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইট যাবে ৩১ মে। হজ শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং শেষ হবে ১০ জুলাই।


Exit mobile version