ভারত-চীন সংঘর্ষে তৃতীয় পক্ষের স্বার্থ সন্দেহ করছে রাশিয়া

রাশিয়া অভিযোগ করেছে যে ভারত-চীন সীমান্ত উত্তেজনা থেকে ফায়দা তুলতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব। মস্কোর মতে, এই সংঘর্ষকে ঘিরে তৃতীয় পক্ষের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে, যা এশিয়ায় অশান্তি বাড়াতে পারে।


রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ভারত ও চীনের মধ্যকার সম্পর্কে ফাটল ধরানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ডিভাইড অ্যান্ড রুল’ নীতির মাধ্যমে এশিয়ার দুই প্রধান শক্তিকে একে অপরের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে সংঘাত সৃষ্টির পথ তৈরি করছে তারা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো – ভারত ও চীনকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে নিজেদের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা।

ল্যাভরভ চীন ও ভারতকে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে উল্লেখ করে জানান, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভৌগোলিক রাজনৈতিক মানচিত্র বদলানোর পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব সক্রিয়। তারা “ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল” শব্দবন্ধ ব্যবহার করে চীনের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব তৈরি করছে। এর ফলে চীন ও ভারতের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়বে।’

[আরোও পড়ুনঃবিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের বরাতে আরও জানা যায়, পশ্চিমা শক্তিগুলো শুধু ভারত ও চীনকেই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ দেশের সংগঠন আসিয়ানকেও দুর্বল করতে সচেষ্ট। আসিয়ানের মাধ্যমে ওই অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে উঠলেও, পশ্চিমাদের লক্ষ্য সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

ল্যাভরভের মতে, চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব ও ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি পশ্চিমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা কৌশলগতভাবে দুই দেশকে মুখোমুখি করে দিয়ে গোটা অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়ানোর পরিকল্পনায় মেতে উঠেছে। এতে এশিয়ার অন্যান্য দেশকে সহজে প্রভাবিত করা সম্ভব হবে বলেও মত দেন তিনি।


Exit mobile version