১০ লাখ গাজাবাসীকে লিবিয়ায় পাঠানোর নেপথ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের স্ট্র্যাটেজি

ট্রাম্প প্রশাসনের একটি গোপন পরিকল্পনায় গাজার ১০ লাখ বাসিন্দাকে লিবিয়ায় স্থানান্তরের প্রস্তাব ছিল। এই বিতর্কিত নীতির লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্য সংকটের বিকল্প সমাধান, যা আন্তর্জাতিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।


ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় স্থানান্তর নিয়ে বিতর্কিত পরিকল্পনার গুঞ্জন

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গাজার প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সাবেক এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এই খবরকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, “মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এই ধরনের পরিকল্পনার জন্য একেবারেই উপযোগী নয়।”

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে লিবিয়ার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দ হওয়া বিলিয়ন ডলারের অর্থ ফেরত দেওয়ার কথাও বিবেচনায় রয়েছে। যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি এবং ইসরায়েলকে এই আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম বলেন, “গাজার জনগণ তাদের মাতৃভূমি ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয়। তারা তাদের অধিকার ও ভবিষ্যতের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বে।”

[আরোও পড়ুনঃদীর্ঘ বিরতির পর মালয়েশিয়ায় আবার কর্মসংস্থান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

লিবিয়ার পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। দেশটি বর্তমানে দ্বন্দ্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যেখানে পশ্চিমে দেইবাহ সরকার এবং পূর্বে হাফতারের নেতৃত্বাধীন শক্তি আলাদা প্রশাসন পরিচালনা করছে।

ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় কোন স্থানে রাখা হবে এবং কীভাবে পরিবহন করা হবে—সে বিষয়েও এখনো কিছু নির্ধারিত হয়নি। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে স্থানান্তরের বিকল্পগুলো যাচাই করছেন।

এই পরিকল্পনা মূলত ট্রাম্পের তথাকথিত ‘পোস্ট-ওয়ার গাজা ভিশন’-এর অংশ, যেখানে তিনি গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর কথা বলেছিলেন। ট্রাম্পের মতে, গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তর করেই সেখানে উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।

[আরোও পড়ুনঃ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যদিও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে এবং লিবিয়ার মতো একটি অস্থিতিশীল দেশে জনসংখ্যা বাড়ানো আরও সংকট তৈরি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়া সহ আরও কিছু বিকল্প দেশ নিয়েও আলোচনা করেছে বলেও জানা গেছে।


Exit mobile version