বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ”

“মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমদানি খাতে কী প্রভাব পড়বে? বাণিজ্য ঘাটতি কমবে নাকি ভোক্তাদের জন্য পণ্য সাশ্রয়ী হবে? বিস্তারিত জানুন আমাদের বিশ্লেষণে।”


যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার মার্কিন পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির জন্য শুল্ক হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য ১০০টি পণ্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩৬.৫২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের তুলা আমদানি করেছে, যা মোট আমদানিকারিত তুলার ১৫%। তবে এলপিজি আমদানিতে মার্কিন অংশগ্রহণ মাত্র ২.৭%। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সয়াবিন, গম, ভুট্টা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো পণ্যে আমদানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃপাকিস্তানের প্রস্তাব নাকচ করে দিল] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতি অনুসরণ করে শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করছি। আগামী সপ্তাহেই আমাদের প্রস্তাবনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ইতোমধ্যে কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে নকল সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে। সম্প্রতি ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বোয়িং উড়োজাহাজ ও জিএম গাড়ি আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ চরিত্রে অভিনব পরিবর্তন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দূত জেমিসন গ্রেয়ার তার চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার ও ডিজিটাল বাণিজ্য নীতির উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে পারে।


“পাকিস্তানের প্রস্তাব নাকচ করে দিল ভারত ও আফগানিস্তান”

“ভারত ও আফগানিস্তান যৌথভাবে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জানুন কী ছিল পাকিস্তানের দাবি, কেন তা নাকচ করলো দুই দেশ এবং এই সিদ্ধান্তের আঞ্চলিক প্রভাব। এই রাজনৈতিক সংকটের পটভূমি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ বিশ্লেষণ পড়ুন।”


ভারত-আফগানিস্তানের জবাবে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র দাবি খারিজ

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর করা ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানে পড়ার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম খামা প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ গণঅধাকারের আইনি চ্যালেঞ্জ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার বিবরণ:

  • পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন ভারতের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে
  • তিনি এটিকে “অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা” বলে অভিহিত করেন
  • ভারত ও আফগানিস্তান একযোগে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে

ভারতের জবাব:
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট জানিয়েছেন:

  • “পাকিস্তানের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”
  • “ভারত কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে না”
  • “এ ধরনের অভিযোগ আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র”

আফগানিস্তানের অবস্থান:
তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন:

  • “আফগান ভূখণ্ডে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেনি”
  • “দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্থিতিশীল”
  • “পাকিস্তানের এমন দাবি বাস্তবতাবিবর্জিত”

বিশ্লেষকদের মতামত:
আঞ্চলিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন:

  • এটি পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক কৌশল
  • আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা
  • ভারত-আফগান সম্পর্ককে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

  • জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি
  • মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে
  • চীন উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে

“ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত শান্তিতে বৈশ্বিক নেতাদের প্রশংসা”

“ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বিশ্বনেতারা প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন। জানুন কীভাবে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ এই শান্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পড়ুন।”


ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: বিশ্বনেতাদের প্রশংসা ও উত্তেজনার পটভূমি

গত কয়েক দিনের তীব্র সামরিক সংঘাতের পর ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেছে। গতকাল শনিবার এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

[আরোও পড়ুনঃ ন্যায়বিচারের দাবিতে অনড়] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার সূত্রপাত:

  • ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা
  • হামলায় ২৬ জন নিহত
  • ভারত পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে, পাকিস্তান তা প্রত্যাখ্যান করে

সামরিক সংঘাতের বিবরণ:

  • ভারত পাকিস্তানের ৬টি স্থানে ২৪টি হামলা চালায়
  • পাকিস্তানের দাবি, ৩৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৭৬ জন আহত
  • পাকিস্তান ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে
  • নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর তল্লাশি চৌকিতে হামলা

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি
  • তুরস্ক সংলাপের জন্য যুদ্ধবিরতির সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান
  • সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান
  • ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি উত্তেজনা প্রশমনের গুরুত্ব তুলে ধরেন

“মার্কিন-চীন বাণিজ্য বৈঠকে যুগান্তকারী অগ্রগতি: ট্রাম্পের ঘোষণা”

“যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন-চীন বাণিজ্য সংঘাতের সমাধানে কী ধরনের সমঝোতা হচ্ছে? ট্রাম্পের বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে? জানুন এই ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্য শর্তাবলী ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।”


চীন-মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন অধ্যায়: শুল্ক সংকটে সমঝোতার সম্ভাবনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে চীন-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন, “সুইজারল্যান্ডে চীনের সাথে আমাদের উৎপাদনশীল বৈঠক হয়েছে। বহু ইস্যুতে আমরা সমঝোতায় পৌঁছেছি।” এই আলোচনা দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের শুল্ক সংঘাত নিরসনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা : সংগৃহীত: রয়টার্স

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় মার্কিন পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রির। অন্যদিকে চীনের সহকারী প্রধানমন্ত্রী হি লিফেং তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদিও মার্কিন অর্থমন্ত্রী সতর্ক করেছেন যে, “এখান থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বড় চুক্তি আশা করা উচিত নয়।”

[আরোও পড়ুনঃ নিষিদ্ধকরণের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:

  • বর্তমানে চীনা পণ্যে ১৪৫% শুল্ক বলবৎ আছে
  • এর প্রতিক্রিয়ায় চীন মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছে
  • ট্রাম্প শুল্ক হার ৮০%-এ নামানোর পরিকল্পনা করছেন
  • বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ৫০% শুল্ক হলে বাণিজ্য স্বাভাবিক হবে

এই শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব ইতিমধ্যেই স্পষ্ট:
✓ যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তামূল্য সূচক ৪% বৃদ্ধির আশঙ্কা
✓ চীনের কারখানা উৎপাদন ১৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
✓ ২০২৫ সালের মধ্যে চীন থেকে আমদানি ৭৫-৮০% কমতে পারে
✓ মার্কিন ভোক্তাদের জন্য দৈনন্দিন পণ্যের দাম বৃদ্ধি

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির এই সংঘাত পুরো বৈশ্বিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন ও চীনা অর্থনীতি পরবর্তী ২০টি অর্থনীতির সম্মিলিত আকারের চেয়েও বড়।

[আরোও পড়ুনঃ এমটি পদে বেতন ৭৫০০০ টাকা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিনহুয়া এই আলোচনাকে “সমস্যা সমাধানের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে তারা সতর্ক করে দিয়েছে যে, চূড়ান্ত সমাধান পেতে আরও সময় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।


“হজ মৌসুমকে সামনে রেখে সৌদি আরবের প্রস্তুতি: আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা শুরু”

“সৌদি আরব সরকার ২০২৪ সালের হজ মৌসুমের জন্য আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা চালু করেছে। জানুন হজযাত্রীদের সুবিধার্থে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, নতুন কোন সেবা চালু করা হয়েছে এবং হজ সম্পন্ন করতে কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে। সৌদি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ নির্দেশনা ও হজ সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে এখনই পড়ুন।”


সৌদি আরবের হজ সেবা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ ‘এনরিচিং দ্য ফিল্ড পাথ’

সৌদি আরবের প্রেসিডেন্সি অফ রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স (মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ) এবারের হজ মৌসুমে ‘এনরিচিং দ্য ফিল্ড পাথ’ নামে একটি অভিনব কর্মসূচি চালু করেছে। গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১০ মে) সৌদি প্রেস এজেন্সি এই উদ্যোগের ঘোষণা দেয়।

এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে হাজীদের জন্য বৈজ্ঞানিক নির্দেশনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে একটি সংযত ও ভারসাম্যপূর্ণ হজ্জ পালনের বার্তা বহুভাষায় বিশ্বব্যাপী প্রচার করা।

[আরোও পড়ুনঃ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

প্রকল্পটির আওতায় ২০টিরও বেশি ডিজিটাল ও প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এতে রয়েছে:

  • শিক্ষামূলক কার্যক্রম
  • ধর্মীয় নির্দেশিকা
  • বিশ্বাসভিত্তিক সচেতনতা কর্মসূচি

দুই হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষিত সৌদি কর্মী হাজীদের সেবায় নিয়োজিত হয়েছে। এছাড়া সাতটি বিশেষায়িত ট্র্যাক তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে হজের মধ্যপন্থী বার্তা বিভিন্ন ভাষায় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

[আরোও পড়ুনঃ ৩৭ হাজার ৮৩০ বাংলাদেশি হজযাত্রী] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজীদের জন্য উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম জোরদার করেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের মাধ্যমে হজ্জের রীতিনীতি সহজভাবে পালনে সহায়তা করা হবে। এতে কোমলতা, প্রজ্ঞা ও সহানুভূতিশীল নির্দেশনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।


“ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীনের কৌশলগত সুবিধা বাড়ছে!”

“ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই চীন কীভাবে কৌশলগত ও রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করছে? বিশ্লেষণে উঠে এসেছে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির গোপন পরিকল্পনা। জানুন, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চীনের ভূমিকা, আঞ্চলিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। বিস্তারিত পড়ুন এখনই!”


চীনের জে-টেন যুদ্ধবিমান: ভিগোরাস ড্রাগনের সাফল্য

ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আকাশযুদ্ধে চীনের তৈরি জে-টেন (JF-17 থান্ডার) যুদ্ধবিমান বড় ভূমিকা রাখে, যা “ভিগোরাস ড্রাগন” নামেও পরিচিত। উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি ও টার্গেটিং সিস্টেমে সজ্জিত এই বিমান দিয়ে পাকিস্তান ভারতের রাফালেসহ ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে। এই সংঘাতকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও যুদ্ধবিরতির পর উত্তেজনা কমেছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় বিজয়ী চীন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন এই যুদ্ধ থেকে মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং তাদের যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে।

সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বিশ্লেষক আলেকজান্ডার নেইল বলেন, চীন ইতিমধ্যেই মহাকাশ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তাদের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ ছিল, বিশেষ করে যখন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সরাসরি জড়িত।

[আরোও পড়ুনঃ পাকিস্তানের চাঞ্চল্যকর দাবি] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

জে-টেনের সাফল্য আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারে চীনের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। তাদের ডিফেন্স স্টক ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং পশ্চিমা দেশগুলোর (যেমন ফ্রান্সের রাফালে) বিক্রিতে চাপ তৈরি হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ফিশার বলেন, “পাকিস্তানের হাতে জে-টেনের সফলতা চীনের সামরিক প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।”

[আরোও পড়ুনঃ “বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ”] >>

[ইউটিউবে খবর দেখুন]

এছাড়াও, চীন সিপিইসি (চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর) এবং স্ট্রিং অব পার্লস প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। এই সংঘাত পাকিস্তানকে সমর্থন করে চীন তার কৌশলগত মিত্রতা আরও সুদৃঢ় করেছে।


সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৩৭ হাজার ৮৩০ বাংলাদেশি হজযাত্রী, বাকি ৯২৩ জনের ভিসা বিলম্বিত

এবারের হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে ৩৭,৮৩০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে, ভিসা প্রক্রিয়াজনিত জটিলতার কারণে এখনও ৯২৩ জনের ভ্রমণ অনিশ্চিত। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছে। হজ ব্যবস্থাপনা, ফ্লাইট সুবিধা ও ভিসা ইস্যু নিয়ে হজযাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এই প্রতিবেদনে হজযাত্রীদের চলমান অবস্থা ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।


বাংলাদেশ থেকে এ বছর ৩৭,৮৩০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। শনিবার রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ৯৪টি ফ্লাইটে এ যাত্রীরা মক্কা-মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। এর মধ্যে ৪,৫৬৪ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৩৩,২৬৬ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমন করেছেন। রোববার (১১ মে) হজ সংক্রান্ত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

হজ হেল্প ডেস্ক সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮৬,১৭৭টি হজ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। তবে এখনও ৯২৩ জনের ভিসা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফ্লাইট পরিসংখ্যান:

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স: ৪৬টি ফ্লাইট
  • সৌদি এয়ারলাইন্স: ৩২টি ফ্লাইট
  • ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স: ১৬টি ফ্লাইট

দুঃখের বিষয় হলো, এ পর্যন্ত পাঁচজন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের তালিকায় রয়েছেন:

  • জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন (৭৩)
  • রাজবাড়ীর খলিলুর রহমান
  • কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান
  • পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু
  • ঢাকার মো. শাহজাহান কবীর

২০২৫ সালের হজ কার্যক্রম গত ২৯ এপ্রিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটের মাধ্যমে শুরু হয়। ফ্লাইটটি ৩৯৮ যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। হজ ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত

[আরোও পড়ুনঃ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চলতি বছর ৫,২০০ জন সরকারি এবং ৮১,৯০০ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাচ্ছেন। ৭০টি হজ এজেন্সি এ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হবে।

ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন থেকে এবং শেষ হবে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে।


“পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আইএমএফের ১.৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা”

“আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঋণ পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইএমএফের এই সিদ্ধান্ত, এর শর্তাবলী এবং পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে জানুন আমাদের বিশেষ প্রতিবেদনে।”


আইএমএফের ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন পেল পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানের জন্য ১.৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন জলবায়ু সহনশীলতা ঋণসহ মোট ২.৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার ছাড় হয়েছে চলমান ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনার মাধ্যমে।

[আরোও পড়ুনঃরাবি প্রশাসনের বড় সিদ্ধান্ত] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

প্রধান তথ্য:

  • আইএমএফের মতে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাফল্য দেখিয়েছে
  • এখন পর্যন্ত চলমান কর্মসূচি থেকে মোট ২ বিলিয়ন ডলার ছাড় পেয়েছে ইসলামাবাদ
  • জলবায়ু তহবিল থেকে এখনই কোনো অর্থ ছাড় হয়নি

ভারতের অবস্থান:
ভারত আইএমএফকে পাকিস্তানের ঋণ কর্মসূচি গভীরভাবে পর্যালোচনার অনুরোধ জানিয়েছে। এপ্রিলে কাশ্মীরে হামলাকে কেন্দ্র করে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অনুরোধ করা হয়েছে।


Exit mobile version