ছাত্রদল নেতার খুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব?

ছাত্রদল নেতা সাম্যর নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘিরে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কে বা কারা এই হত্যায় জড়িত তা এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ঘটনার গভীরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষ, ব্যক্তিগত বিরোধ—সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রহস্য উদ্ঘাটনের অপেক্ষায় সবাই।


আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য কোনো ছাত্রসংগঠনের কার্যক্রম প্রায় অনুপস্থিত ছিল। ক্যাম্পাসের প্রশাসন, ক্লাসরুম এবং আবাসিক হলগুলোতেও তাদের দাপট ছিল প্রবল। সেই সময়ের ছাত্রলীগের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক দফা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু করে, যার ফলস্বরূপ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগ সরকার।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শিক্ষার্থীরা আশা করেছিল শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ক্যাম্পাস পরিবেশে ফিরে যাবে। সরকার সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য নিয়োগ দিলেও, গত ৯ মাসে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন, বিক্ষোভ এবং কর্মবিরতির ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য খুন হন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত ফেসবুকে তাঁর দেওয়া এক পোস্টকে ঘিরে। ছাত্রদল দাবি করেছে, এ হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত। এর আগে জানুয়ারিতে ফজলুল হক হলে তোফাজ্জল নামের এক যুবক নিহত হয়।

[আরোও পড়ুনঃ নদীতে মিলল দাদি-নাতনির নিখোঁজ লাশ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এই ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। উপাচার্য ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকসহ অন্তত ১১ জন আহত হন। একই সময়ে কিছু সংগঠন যমুনার সামনে সভা করে দাবি আদায় করতে সক্ষম হয়, যা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের ইঙ্গিত দেয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষার দাবি আদায় না হওয়ায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় এখনো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষকেরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের একাংশ ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদে আন্দোলনে রয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। অবশেষে সরকার তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

[আরোও পড়ুনঃ লংমার্চে পুলিশের কড়া অভিযান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সরকার যদি বরিশালের মতো অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটেও দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা আরও গভীর হতে পারে।


নেত্রকোনার নদীতে মিলল দাদি-নাতনির নিখোঁজ লাশ

নেত্রকোনায় নিখোঁজ হওয়া এক দাদি ও নাতনির মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের পর দিনব্যাপী খোঁজাখুঁজির পর নদীতে পাওয়া যায় তাদের নিথর দেহ। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত চলছে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য।


নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর দাদি ফাতেমা বেগম (৬৫) ও তার নাতনি লিজা আক্তার (৭)-এর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকায় মগড়া নদীতে মরদেহ দুটি ভেসে থাকতে দেখা যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফাতেমা বেগম তাঁর নাতনিকে নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি নারায়ণডহর গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পায়ে হেঁটে যাত্রা করলেও প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের গন্তব্যে তাঁরা আর পৌঁছাননি। সন্ধ্যার পর নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে পরিবার ও স্থানীয়রা খোঁজ শুরু করে।

[আরোও পড়ুনঃ লংমার্চে পুলিশের কড়া অভিযান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আজ ভোরে শিমুলকান্দি এলাকায় নদীতে প্রথমে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপর নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালিয়ে লিজার মরদেহও উদ্ধার করা হয়।

লিজার বাবা লিটন মিয়া বলেন, সম্ভবত নদী পার হওয়ার সময় পা পিছলে লিজা পড়ে যায়, আর মা তাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও পানিতে তলিয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয় বাসিন্দা নুর মিয়া বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক।”

[আরোও পড়ুনঃ সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি দুর্ঘটনা।


ভোলায় ১০ লাখ টাকার বাগদা রেণু উদ্ধার, জড়িত চক্র শনাক্ত

ভোলায় অভিযান চালিয়ে প্রশাসন জব্দ করেছে ১০ লাখ টাকার বাগদা রেণু। অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছিল রেণুগুলো। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নেওয়া এই পদক্ষেপ স্থানীয় প্রশাসনের সফল উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। তদন্ত চলছে, জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।


ভোলার লালমোহন উপজেলায় পাচারকালে বিপুল পরিমাণ বাগদা চিংড়ির পোনা জব্দ করেছে মৎস্য বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার তেতুঁলিয়া নদীর পাশের নাজিরপুর ঘাটে অভিযান চালিয়ে পাচজনকে আটক করা হয়।

অভিযানের সময় ১০টি প্লাস্টিক ব্যারেলে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের বাগদা চিংড়ির পোনা উদ্ধার করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন: মোঃ রিয়াজ, মোঃ কবির, মোঃ কামরুল, মোঃ ভুট্টু ও মোঃ পারভেজ। এঁরা সবাই তজুমদ্দিন উপজেলার চাচড়া ও হাসান নগর গ্রামের বাসিন্দা।

[আরোও পড়ুনঃচট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগের সুযোগ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলী আহমদ আখন্দ জানান, জব্দ করা বাগদা চিংড়ির পোনা তেতুঁলিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, চিংড়ির পোনা আহরণ ও পাচার মৎস্য আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ, এবং এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের কড়া অভিযান

যমুনা মুখী লংমার্চে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়। এই ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।


তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র উদ্দেশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আয়োজিত লংমার্চে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আজ (বুধবার) দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পরে কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশ লংমার্চ থামিয়ে দেয়। পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে লংমার্চ ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আন্দোলনকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাধা পেয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে সরে যায়। শিক্ষার্থীদের দাবি, এ ঘটনায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে শিক্ষকও রয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ‘একাত্তরের গণহত্যা’ ভাস্কর্য চত্বর থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। এতে শিক্ষক সমিতি, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

[আরোও পড়ুনঃ সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এই কর্মসূচির পেছনে ছিল তিন দফা দাবি:
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কর্তন ছাড়া অনুমোদন দিতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প একনেক সভায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল (মঙ্গলবার) একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে গেলেও আশাব্যঞ্জক প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় আজকের লংমার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।


শান্ত স্বভাবের সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার

নম্র ও ভদ্র স্বভাবের ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার ও স্বজনরা। সবাই বলছেন, সে কখনো কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করত না। তার এই অকাল পরিণতিতে এলাকাজুড়ে শোক ও বিস্ময়ের ছায়া নেমে এসেছে।


“গত শুক্রবার বড়বাগে আমার ভাতিজির গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে সাম্যর (শাহরিয়ার আলম) সঙ্গে শেষবার দেখা হয়েছিল। কে জানত, সেটাই আমাদের শেষ কথা হবে!” — আবেগভেজা কণ্ঠে বলছিলেন নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমের চাচা কায়সার উল আলম।

গতকাল রাতে টেলিভিশনে শাহরিয়ারের মৃত্যুসংবাদ দেখে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান সম্ভাবনাময় এই তরুণ।

[আরোও পড়ুনঃ হত্যা মামলায় মমতাজ গ্রেফতার] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

কায়সার উল আলম জানান, পরিবারের কেউ কখনো কল্পনাও করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এমন এক মেধাবী তরুণ এভাবে প্রাণ হারাবে। বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের সড়াতৈল গ্রামে শাহরিয়ারের বাড়িতে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের আহাজারি চলছে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা ভিড় করছেন সমবেদনা জানাতে।

প্রতিবেশী ও আত্মীয় কবির সরদার বলেন, “সাম্য প্রতিবছর গ্রামে আসত, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলত। এত ভদ্র ছেলের এমন মৃত্যু মানা যায় না।”

শাহরিয়ারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার বাবা ফকরুল আলম ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় বাস করেন। চার ভাইয়ের মধ্যে শাহরিয়ার ছিলেন সবচেয়ে ছোট। বড় ভাই আমিরুল ইসলাম (সাগর) ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক।

শাহরিয়ার আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

[আরোও পড়ুনঃ উত্তেজনা এড়াল ভারত ও পাকিস্তান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তার মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে। প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরে লাশ সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে এবং মাগরিবের নামাজের পর মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।


ক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা অবশেষে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে নেওয়া এই উদ্যোগে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন বহু চালক, যা কর্মসংস্থান ও জীবিকা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রধান সড়কে চলাচলরত তিনজন চালকের অটোরিকশা ভেঙে ফেলে, যা খুব দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

ডিএনসিসির প্রশাসক এজাজ চৌধুরী জানান, ওই তিনটি রিকশা মূল সড়কে চলাচল করছিল, যা নিয়মবিরুদ্ধ। এজন্য শাস্তিস্বরূপ এগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে, তিনি বলেন, “যাদের রিকশা ভাঙা হয়েছে, তাদেরকে আমরা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি এবং তাদের পরিবারগুলোর বিকল্প আয়ের পথ তৈরি করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি আরও জানান, নগরের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তবে ভুক্তভোগীদের সহায়তা করাও কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন।


দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টা

দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রামে প্রথম সফরে এলেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারি কর্মসূচি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সাজানো তার এ গুরুত্বপূর্ণ সফর চট্টগ্রামবাসীর নজর কাড়ছে।


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সফরে এলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে তিনি শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. আল আমিন হোসেন।

[আরোও পড়ুনঃথানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চট্টগ্রামে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইয়ার্ড–৫ পরিদর্শন করবেন। এরপর সার্কিট হাউসে গিয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিতব্য কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন তিনি।

দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন অধ্যাপক ইউনূস। সেখান থেকে তিনি যাবেন হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম বাথুয়া পরিদর্শনে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি শাহ আমানত বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন।

চট্টগ্রাম সফরে নগরের জলাবদ্ধতা এবং অক্সিজেন মোড় থেকে হাটহাজারী সড়কের যানজট পরিস্থিতি নিয়ে তাকে ব্রিফ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া, তিনি চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের জমির মালিকানা সংক্রান্ত দলিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবেন।

[আরোও পড়ুনঃঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ঠিকাদারের লাশ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ইউনূস ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজ তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করবে।


পিরোজপুরে চৌকিদারদের সক্রিয়তায় থানা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক

পিরোজপুর পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানায় চৌকিদার প্যারেড ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্থানীয় নিরাপত্তা জোরদার, চৌকিদারদের ভূমিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এটি থানা এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করেছে।


ভাণ্ডারিয়ায় চৌকিদার প্যারেডে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা

আজ মঙ্গলবার (১৩ মে ২০২৫) দুপুরে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া থানা প্রাঙ্গণে চৌকিদার প্যারেড ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের।

প্যারেডে পুলিশ সুপার মহোদয় দফাদার ও চৌকিদারদের উদ্দেশে বলেন, এলাকায় যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যেমন– চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও সেবন, বাল্যবিবাহ, জুয়া, জঙ্গি তৎপরতা কিংবা দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় অবহিত করার আহ্বান জানান।

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানা : ফাইল ছবি

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চৌকিদার ও দফাদারদেরকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে পলাতক আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে।

পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের দিকনির্দেশনায় চৌকিদারদের নিয়মিত টহল, স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং অপরাধ প্রতিরোধে সচেতন থাকার ওপর জোর দেওয়া হয়।

[আরোও পড়ুনঃঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ঠিকাদারের লাশ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এ সময় সভায় ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জসহ থানার অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


Exit mobile version