শান্ত স্বভাবের সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার

নম্র ও ভদ্র স্বভাবের ছেলের মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার ও স্বজনরা। সবাই বলছেন, সে কখনো কারও সঙ্গে খারাপ আচরণ করত না। তার এই অকাল পরিণতিতে এলাকাজুড়ে শোক ও বিস্ময়ের ছায়া নেমে এসেছে।


“গত শুক্রবার বড়বাগে আমার ভাতিজির গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে সাম্যর (শাহরিয়ার আলম) সঙ্গে শেষবার দেখা হয়েছিল। কে জানত, সেটাই আমাদের শেষ কথা হবে!” — আবেগভেজা কণ্ঠে বলছিলেন নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমের চাচা কায়সার উল আলম।

গতকাল রাতে টেলিভিশনে শাহরিয়ারের মৃত্যুসংবাদ দেখে স্তব্ধ হয়ে যান তিনি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে প্রাণ হারান সম্ভাবনাময় এই তরুণ।

[আরোও পড়ুনঃ হত্যা মামলায় মমতাজ গ্রেফতার] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

কায়সার উল আলম জানান, পরিবারের কেউ কখনো কল্পনাও করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এমন এক মেধাবী তরুণ এভাবে প্রাণ হারাবে। বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জের সড়াতৈল গ্রামে শাহরিয়ারের বাড়িতে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের আহাজারি চলছে, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনেরা ভিড় করছেন সমবেদনা জানাতে।

প্রতিবেশী ও আত্মীয় কবির সরদার বলেন, “সাম্য প্রতিবছর গ্রামে আসত, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলত। এত ভদ্র ছেলের এমন মৃত্যু মানা যায় না।”

শাহরিয়ারের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তার বাবা ফকরুল আলম ঢাকার মিরপুরের রূপনগর এলাকায় বাস করেন। চার ভাইয়ের মধ্যে শাহরিয়ার ছিলেন সবচেয়ে ছোট। বড় ভাই আমিরুল ইসলাম (সাগর) ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক।

শাহরিয়ার আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

[আরোও পড়ুনঃ উত্তেজনা এড়াল ভারত ও পাকিস্তান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তার মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা আছে। প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরে লাশ সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে এবং মাগরিবের নামাজের পর মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।


Exit mobile version