ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ঠিকাদারের লাশ, চিরকুটে রহস্যজনক বার্তা

ফরিদপুরে এক ঠিকাদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি চিরকুটও পাওয়া যায়, যা রহস্য ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা—এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।


ফরিদপুরে ঠিকাদারের রহস্যজনক মৃত্যু, সুইসাইড নোটে রাজনীতিকের নাম

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি গ্রামে এক ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান বুলবুল (৪৮)-এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) বিকেলে তাঁর পৈতৃক বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি থানার পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একাধিক সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে, যার একটিতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার নাম উল্লেখ রয়েছে।

একটি চিরকুটে লেখা ছিল: “বিল্লাল ভাই আমাকে আর বাঁচতে দিলেন না”—যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এতে ইঙ্গিত করা ব্যক্তি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন। তিনি অতীতে আলোচিত একটি মানি লন্ডারিং মামলায় কারাভোগ করেন এবং সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের খামারে ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন।

[আরোও পড়ুনঃরাজনীতির নতুন যাত্রা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বুলবুল ও বিল্লাল হোসেনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তাঁরা মুন্সিবাজার বাইপাসে যৌথভাবে একটি ভবন নির্মাণ করেন। তবে বিগত সময়ে আর্থিক ও পারিবারিক বিভিন্ন কারণে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।

নিহতের পরিবার জানিয়েছে, বুলবুলের স্ত্রী ও তিন মেয়ে রয়েছে। তাঁর মেঝ মেয়ের দ্বিতীয় বিয়ে হয় জেলা ছাত্রলীগের এক নেতার সঙ্গে, যা নিয়ে পরিবারে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর পারিবারিক টানাপোড়েন মেটাতে বুলবুল কিছু জমি মেয়েদের নামে লিখে দেন।

আরেকটি চিরকুটে তিনি লেখেন: “আল্লাহ যদি মৃত্যু দেন, আমার মেয়েরা যেন আমার মরামুখ না দেখে। আমাকে মায়ের কবরের পাশে দাফন করবেন, এই বাড়িতে নয়।”

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার পর সাংবাদিকরা একাধিকবার আওয়ামী লীগ নেতা বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সাময়িকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে, তবে ময়নাতদন্ত ও তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’


রাজনীতির নতুন যাত্রা: আত্মপ্রকাশ করল ‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন ‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’। দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন চিন্তা, নেতৃত্ব ও রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে। এই নতুন দলের উত্থান রাজনীতিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি করছে।


‘বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু

‘সবার উপরে দেশ’—এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে। দলটির নাম বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পরিচিতি তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের যাত্রা শুরু হবে।

বিভিন্ন পেশার দেশপ্রেমিক নাগরিক—যেমন সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক ও আইনজীবীরা এই রাজনৈতিক উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

দলের পক্ষ থেকে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও আত্মত্যাগকে সামনে রেখে এই দল গঠন করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটি ইনসাফভিত্তিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন, যেখানে সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত হবে এবং থাকবে স্থায়ী সুশাসনের নিশ্চয়তা।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলো এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের মূল আদর্শ থেকে সরে গেছে। শহীদ পরিবারগুলোর প্রতি অবহেলা, আহতদের পুনর্বাসনে অবহেলা এবং দোষীদের রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসন—এসবই সেই বিচ্যুতির প্রমাণ।

সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপ্টেন (অব.) মো. শফিকুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বরং সুশাসন, ন্যায়বিচার ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করা। রাজনীতিকে আমরা পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখতে চাই, দুর্নীতি কিংবা অপকর্মের মাধ্যমে নয়।

[আরোও পড়ুনঃবাবাকে নিতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যু] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

নতুন দলটির পক্ষ থেকে একাধিক জনকল্যাণমুখী সেল গঠনের ঘোষণাও আসে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • নিরাপদ খাদ্য সেল
  • স্বাস্থ্যসুরক্ষা সেল
  • আইনি সহায়তা সেল
  • কৃষি, মৎস্য ও পশুপালন সেল
  • শিক্ষা সেল
  • মিডিয়া ও সংস্কৃতি সেল
  • নারী ও শিশু সেল
  • যুব উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচন সেল
  • আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সেল

দলটির পক্ষ থেকে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিক্ষক, কৃষিজীবী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক নাগরিকদের এই উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।


চিকিৎসার জন্য বাবাকে নিতে গিয়ে মেয়ের মৃত্যু

অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারান এক মেয়ে। মানবিক এই ঘটনাটি হৃদয়বিদারক পরিণতির দিকে যায় যখন একটি জীবন থেমে যায় সহানুভূতির মিশ্রণে।


মধুখালীতে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক নারীর, গুরুতর আহত বাবা ও বোন
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় শুকলা বিশ্বাস (৩২) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তাঁর বাবা মনোহর বিশ্বাস (৮৫) ও বড় বোন পারুল বিশ্বাস (৪৫) গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাগুরাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, মনোহর বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আজ সকালে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চাকদা লাঙ্গলবাদ গ্রাম থেকে তাঁর দুই মেয়ে শুকলা ও পারুল তাঁকে নিয়ে রওনা দেন। মধুখালীর রায়পুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মাইক্রোবাসটির। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শুকলা বিশ্বাস।

[আরোও পড়ুনঃরমনা বটমূলে হামলা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা রাশেদুল আলম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. কবির সরদার বলেন, আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এ বিষয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাইক্রোবাসটি সঠিক লেন ব্যবহার না করে ডান দিকের লেনে উঠলে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


রমনা বটমূলে হামলা: দুই আসামির যাবজ্জীবন, নয়জন পেলেন ১০ বছর

রমনা বটমূলে ২০০১ সালের বোমা হামলা মামলায় আদালত রায় ঘোষণা করেছে। দুইজনকে যাবজ্জীবন এবং নয়জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন পর আলোচিত মামলার এই রায়ে স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের প্রতিবেদন।


বহুল আলোচিত রমনা বটমূল বোমা হামলা মামলায় উচ্চ আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন ও শাহাদাত উল্লাহ জুয়েলের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মামলার বাকি ৯ জন আসামির পূর্বের সাজা হ্রাস করে প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ঢাকার রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলে ৯ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও একজন প্রাণ হারান।

ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।

[আরোও পড়ুনঃপানির ময়লা ও দুর্গন্ধ থেকে হতে পারে মারাত্মক রোগ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল এবং ফৌজদারি আপিলসহ উচ্চ আদালতে যায় এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই রায় প্রদান করে।


পানির মোটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের

এক যুবক পানির মোটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাটি এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। চুরির উদ্দেশ্যে বিদ্যুতের তারে সংস্পর্শে আসায় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।


সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অলির বাপের পাড়া এলাকায় এক যুবকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের ও পুলিশের ভাষ্যমতে, এক বসতবাড়িতে পানি তোলার মোটর চুরি করতে গিয়ে যুবকটি বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, বাদশা মিয়ার বাড়িতে দুটি পানির মোটর ছিল—একটি বাড়ির বাইরে এবং অন্যটি রান্নাঘরের ভেতরে স্থাপিত। চুরির উদ্দেশ্যে প্রথমে বাইরের মোটরটি সরানোর পর রান্নাঘরের মোটর খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মান্নান নামে ওই যুবক। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

[আরোও পড়ুনঃজাপানের সাথে বাংলাদেশের পরিকল্পিত বৈঠক স্থগিত] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কফিল উদ্দিন বলেন, ভোরে বাড়ির মালিক তাকে ঘটনাটি জানালে তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে মান্নানের মরদেহ রান্নাঘরে উপুড় হয়ে মোটরের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

[আরোও পড়ুনঃপানির ময়লা ও দুর্গন্ধ থেকে হতে পারে মারাত্মক রোগ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মোটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।


পানির ময়লা ও দুর্গন্ধ থেকে হতে পারে মারাত্মক রোগ, সতর্ক হোন এখনই

দূষিত পানি থেকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। পানির ময়লা ও দুর্গন্ধ কীভাবে ডায়রিয়া, ত্বকের রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হচ্ছে? জানুন পানিদূষণের উৎস, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রতিরোধের উপায়। বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করে কীভাবে সুস্থ থাকবেন, তার কার্যকরী সমাধান পড়ুন এখানে।


ঢাকার পানিতে পোকা ও দুর্গন্ধ: বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়ছে

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে পোকা ও দুর্গন্ধের সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। কাঁঠালবাগান, ধানমন্ডি, কল্যাণপুর, তেজগাঁওসহ একাধিক এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা বাদল হোসেন জানান, “পানিতে কেঁচো ও তীব্র দুর্গন্ধের কারণে আমরা বাধ্য হয়ে টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করছি। কিন্তু সবাই তো এই সুযোগ পাচ্ছে না।” অনেক পরিবার পানি ফুটিয়ে খেলেও গন্ধ দূর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন।

[আরোও পড়ুনঃহত্যা মামলায় মমতাজ গ্রেফতার] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই ধরনের দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার ঝুঁকি রয়েছে। অনেক বাসিন্দা জানান, তারা বারবার ওয়াসায় অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না।

[আরোও পড়ুনঃ সোনার ব্যবসায়ী দম্পতির উপর ভয়ঙ্কর ডাকাতি] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ কে এম সহিদ উদ্দিন দাবি করেছেন, “এটি মূলত বাড়ির রিজার্ভ ট্যাংক পরিষ্কার না করার ফল। আমাদের সরবরাহকৃত পানিতে কোনো সমস্যা নেই।” তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছেন, তারা নিয়মিত ট্যাংক পরিষ্কার করলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।


হত্যা মামলায় মমতাজ গ্রেফতার, ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ চায় পুলিশ

হত্যা মামলায় মমতাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে—জানুন এই মামলার সর্বশেষ খবর। মমতাজের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাই ও নতুন তথ্য উদ্ধারে পুলিশের পরিকল্পনা কী? রিমান্ড শুনানি ও মামলার আপডেটসহ বিস্তারিত পড়ুন এখানে।


হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মমতাজ বেগম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, মমতাজ বেগমকে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি মিরপুর মডেল থানার একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে চিহ্নিত।

[আরোও পড়ুনঃ সোনার ব্যবসায়ী দম্পতির উপর ভয়ঙ্কর ডাকাতি] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

মমতাজ বেগমের রাজনৈতিক ইতিহাস:

  • ২০০৯ সালে নবম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি
  • ২০১৪ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য
  • দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলুর কাছে পরাজিত
  • সংসদে শেখ হাসিনাকে নিয়ে গান গেয়ে আলোচিত হয়েছিলেন

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত এগিয়ে নিতে রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরই পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে।

[আরোও পড়ুনঃ পুলিশসহ ৯ জন আহত] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]


জামায়াতের নিবন্ধন মামলায় আদালতের শুনানি চলছে, চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি চলছে—জানুন আদালতের সর্বশেষ অবস্থা ও সম্ভাব্য রায়। নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের সকল আপডেট, শুনানির বিবরণ ও ভবিষ্যৎ পরিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পড়ুন। রাজনৈতিক নিবন্ধন মামলার এই গুরুত্বপূর্ণ শুনানির ফলাফল আপনার জন্য এক ক্লিকেই হাতের নাগালে।


জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টে চলছে চূড়ান্ত লড়াই

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত ৭ সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ এ শুনানি পরিচালনা করছেন।

[আরোও পড়ুনঃ মন্ত্রীদের দায়িত্ব ছাড়ার আহ্বান] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকের নেতৃত্বে আইনজীবীদের একটি দল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দলটির নিবন্ধন ফিরে পেতে এই মামলাটি দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিচার ব্যবস্থায় ঝুলে আছে।

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়:

  • ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেয়
  • ২০০৯ সালে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতারা হাইকোর্টে রিট করেন
  • ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে
  • ২০২৩ সালে আপিল শুনানিতে অনুপস্থিতির কারণে মামলা খারিজ হয়
  • ২০২৪ সালে নতুন করে শুনানির সুযোগ পায় জামায়াত

গত ৭ মে আপিল বিভাগ আজকের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন।

[আরোও পড়ুনঃ ব্রাজিলের নতুন কোচ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও পরবর্তী সরকার ২৮ আগস্ট এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমান শুনানি জামায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।


Exit mobile version