ভিসি অপসারণের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল পরিস্থিতি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র উপাচার্যের অপসারণের দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার অধিকারের লড়াই। প্রশাসন যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না আসে, তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। সকল পক্ষের সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র বিক্ষোভ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই বিক্ষোভে উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে প্রধান ছিল ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার ঘটনা।

বিক্ষোভের কারণ ও শিক্ষার্থীদের দাবি

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট ও বিতর্কিত শিক্ষকদের পুনর্বাসন করেছেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হচ্ছে। তারা আরও জানান, যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের লঙ্ঘন।

একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে চিকিৎসার জন্য সহায়তা চেয়েও তা পাননি এবং শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অবরোধ ও হুঁশিয়ারি

বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারণ না করা হয়, তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেবেন। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণও সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের জবাব ও পরিস্থিতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন এই বিষয়ে শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্স করতে পারেন। অন্যদিকে, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ রাখতে নজরদারি করছে।

শিক্ষার্থীদের下一步 কর্মপরিকল্পনা

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা হলে তারা ধাপে ধাপে আন্দোলন তীব্রতর করবেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে পারেন। এছাড়া, তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব

এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছে, আবার কিছু গোষ্ঠী সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে বলেছে। এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক ও শিক্ষা পরিস্থিতিতে।

[আরোও পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ-19]

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র উপাচার্যের অপসারণের দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার অধিকারের লড়াই। প্রশাসন যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না আসে, তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। সকল পক্ষের সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।


১ লাখ টাকায় শুরু করুন এই ৬টি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসা

মাত্র ১ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায় এমন ৬টি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া জানুন। হোম ডেলিভারি সার্ভিস, অনলাইন টিউশন, হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি, মিনি ক্যাফে, মোবাইল রিপেয়ার শপ বা ফ্রিল্যান্সিং—যেকোনো একটি বেছে নিয়ে সহজেই আয় শুরু করুন। কম বিনিয়োগে বড় সাফল্যের গাইডলাইন পেতে এখনই পড়ুন।


সীমিত বাজেটে শুরু করার মতো ৬টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে ব্যবসা শুরু করতে অঢেল পুঁজির প্রয়োজন নেই। মাত্র ১ লাখ টাকা (প্রায় ১,০০০ ডলার) বিনিয়োগ করে এবং কিছু সৃজনশীল চিন্তা দিয়ে আপনি একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে, অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া এখন আগের চেয়ে সহজ। এখানে আমরা এমন ছয়টি ব্যবসার ধারণা নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনি অল্প বিনিয়োগে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে বড় করতে পারেন।

১. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস

প্রায় প্রতিটি ব্যবসারই এখন একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট প্রয়োজন। আপনি যদি এইচটিএমএল, সিএসএস, বা ওয়ার্ডপ্রেসের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে জানেন, তাহলে মাত্র ১ লাখ টাকা দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শুরুতে টেমপ্লেট ব্যবহার করে সহজ ওয়েবসাইট তৈরি করে ধীরে ধীরে কাস্টম ডিজাইনের দিকে যেতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • ৬২% ব্যবসায়ী তাদের ওয়েবসাইটকে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করে।
  • মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি করে নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. মিডিয়া বাইং এজেন্সি

মিডিয়া বাইং হলো এমন একটি সেবা যেখানে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম (যেমন ফেসবুক, গুগল অ্যাডস) ব্যবহার করে কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ম্যানেজ করেন।

কেন লাভজনক?

  • ২০২২ সালে এই শিল্পের আকার ছিল ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩২ সালে ১২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • কমিশন বা ফিক্সড ফি-এর ভিত্তিতে আয় করা যায়।

৩. VoIP রিসেলিং বিজনেস

VoIP (Voice over IP) সার্ভিস যেমন Skype, Zoom, বা স্থানীয় কোনো প্রোভাইডারের সেবা বিক্রি করে আপনি লাভ করতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • বিশ্বব্যাপী ৩ বিলিয়নের বেশি VoIP ব্যবহারকারী রয়েছে।
  • ব্যবসায়ীরা সাশ্রয়ী মূল্যে যোগাযোগের সেবা খুঁজছেন।

৪. নিশ-ভিত্তিক পোশাকের ব্যবসা

একটি বিশেষ টার্গেট গ্রুপের জন্য পোশাক ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যেমন: শিশুদের আরামদায়ক নাইটওয়্যার বা ইকো-ফ্রেন্ডলি ফ্যাব্রিকের পোশাক।

কেন লাভজনক?

  • অনলাইন ফ্যাশন মার্কেট প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে।
  • ইউনিক প্রোডাক্ট দ্রুত ভাইরাল হতে পারে।

৫. মুভিং সার্ভিস লিড জেনারেশন

আপনি নিজে ট্রাক বা ভ্যান না কিনেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে লোকাল মুভিং কোম্পানিগুলোকে ক্লায়েন্ট এনে দিতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • প্রতিবছর হাজারো পরিবার বা অফিস স্থানান্তর করে।
  • কমিশন-ভিত্তিক ব্যবসা বলে রিস্ক কম।

৬. এসএমএস মার্কেটিং সার্ভিস

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকদের কাছে এসএমএস মার্কেটিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • ৯৮% এসএমএস খোলা হয়, যেখানে ইমেইলের রেসপন্স রেট মাত্র ২০%।
  • স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই সেবার জন্য প্রিমিয়াম দিতে প্রস্তুত।

[আরোও পড়ুনঃ উদ্যোক্তা – ডিজিটাল সেলার বিজ্ঞাপন]

এই ব্যবসাগুলোর প্রতিটিই অল্প বাজেটে শুরু করা যায় এবং ধীরে ধীরে বড় করা সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি কোন সমস্যার সমাধান করছেন এবং তা কীভাবে অনন্য করতে পারবেন। তাহলে, কোন আইডিয়াটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী?


সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১০ হাজার হজ ভিসার আবেদন নেওয়া হবে

১০ হাজার হজযাত্রীর ভিসা আবেদন এখনও বাকি! সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, দেরি করলে আবেদন বন্ধ হয়ে যাবে। হজযাত্রীদের জন্য এটি শেষ সুযোগ। দ্রুত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। বিস্তারিত জানতে এখনই ভিজিট করুন


হজ ভিসা আবেদন: ১০ হাজার বাংলাদেশি এখনও ঝুঁকিতে, সময়সীমা ৫ মে

চলতি বছরে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জনের ভিসার আবেদন এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে ৫ মে (সোমবার) দুপুর ১২টার মধ্যে আবেদন সম্পন্ন করার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৪ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয় এক চিঠির মাধ্যমে লিড বা সমন্বয়কারী হজ এজেন্সিগুলোর কাছে এ নির্দেশনা পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ৩ মে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছে—যাদের ভিসার আবেদন এখনো জমা হয়নি, তাদের নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে ৫ মে দুপুর ১২টার আগেই আবেদন দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং এরপর আর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না।

[আরোও পড়ুনঃ ১০ স্বর্ণবার উদ্ধার, পাচারকারী গ্রেপ্তার]

এজন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্ট, বায়োমেট্রিক তথ্য, বাসস্থান বা হোটেল বুকিং এবং ফ্লাইট সংক্রান্ত সব ডেটা ৫ মে দুপুর ১২টার আগে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছে—যদি কোনো হজযাত্রীর আবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না পড়ে, তবে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট লিড ও সমন্বয়কারী এজেন্সিকেই বহন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এজেন্সির গাফিলতি প্রমাণিত হলে, তাদের বিরুদ্ধে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন-২০২১ এবং বিধিমালা-২০২২ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া ফ্লাইট চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।

এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭,১০০ জন হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৫,২০০ জন যাবেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৮১,৯০০ জন।


#হজভিসা, #আবেদনেরশেষ #তারিখ, #হজযাত্রী, #সরকারিনির্দেশ

ট্রান্সশিপমেন্ট স্থগিত হলেও রপ্তানির গতি কমবে না: বাণিজ্য বিভাগের আশ্বাস

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলেও বাংলাদেশের রপ্তানি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সরকার রপ্তানি খরচ কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো চালু করেছে। “মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন”-এ চামড়া, প্লাস্টিক ও ফুটওয়্যার খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও বিপিজিএমইএ রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও এসএমই শক্তিশালীকরণের ওপর জোর দিয়েছে।


ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে খরচ হ্রাস করার প্রচেষ্টা চলছে, যা ব্যবসায়ীদের রপ্তানি ব্যয় কমিয়ে আনবে।

[আরোও পড়ুনঃ থানার ওসি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীকের আলোচনা ভাইরাল]

পাশাপাশি, সরকার ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার প্রক্রিয়া সহজীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যার মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো অন্যতম। ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সহযোগী অধিদপ্তরসমূহ সর্বদা প্রস্তুত। রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

‘মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সুহাইল কাসিম এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিদেশি সহায়তা হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। রপ্তানিযোগ্য চামড়া, পাদুকা, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা অংশ নেন।

বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং প্লাস্টিক শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।


একদেশ – ই – প্রত্রিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা

ফসলের ন্যায্য মূল্য চেয়ে কৃষকদের ঢাকার দিকে লংমার্চ

কৃষকদের অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি নিয়ে লংমার্চ শুরু হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য, সার-বীজের দাম কমানো, কৃষি ঋণ সহজীকরণ, সেচ সুবিধা প্রসার এবং কৃষি বীমার মতো গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো নিয়ে কৃষকরা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। এই আন্দোলন কৃষি খাতের সংকট সমাধান ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের কাছে তাদের মূল দাবিগুলো পেশ করার জন্য এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছে, যা কৃষি নীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ এবং কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি নিয়ে কৃষক ঐক্য পরিষদ একটি দীর্ঘ পদযাত্রা করেছে। বগুড়া থেকে শুরু হওয়া এই সাত দিনের লংমার্চটি রবিবার (২০ মার্চ) রংপুরে এসে পৌঁছায়। রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

রংপুর ব্যুরো:

তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু ও পেঁয়াজ কমিশন গঠন করা, প্রতিটি উপজেলায় কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য আধুনিক গুদাম নির্মাণ ও রপ্তানি কেন্দ্র স্থাপন করা, ঢাকা সহ সারা দেশে কৃষকদের জন্য সরাসরি বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করা, কৃষি কাজে ভর্তুকি ও সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমিয়ে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করা, কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ও টোল আদায় বন্ধ করে রেলপথে ওয়াগন বরাদ্দ করা, সরকারি পতিত জমি কৃষকদের মধ্যে বিতরণ এবং তাদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা, সরকারি উদ্যোগে কৃষি বীমা চালু করা ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকে কৃষকদের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, জাতীয় সংসদসহ অন্যান্য জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিতে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং কৃষি প্রযুক্তি ও অ্যাপসের আধুনিকায়ন ও বাস্তবসম্মত প্রয়োগ করা।

মতবিরোধের বিষয়গুলো উঠবে আলোচনায় এনসিপির

কৃষক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এই লংমার্চটি গত ১৭ এপ্রিল বগুড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে। রংপুরে কর্মসূচি শেষে এটি লালমনিরহাটের দিকে অগ্রসর হবে। এরপর নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও হয়ে আগামী ২৩ এপ্রিল পঞ্চগড়ে গিয়ে সমাপ্ত হবে। নেতারা আরও জানান, তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কৃষক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ, মহাসচিব সুলতান আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

তিন পর্যায়ে কমলো ইন্টারনেট খরচ

দেশে ইন্টারনেট সেবার মূল্য তিন পর্যায়ে কমানো হয়েছে, যা গ্রাহকদের জন্য একটি বড় সুখবর। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে ডিজিটাল সেবা আরও সাশ্রয়ী হয়। প্রথম ধাপে ১০%, দ্বিতীয়তে ১৫% এবং তৃতীয় পর্যায়ে ২০% পর্যন্ত দাম কমতে পারে। এই পদক্ষেপ ডাটা ব্যবহারকারী, ফ্রিল্যান্সার ও ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক হবে। ইন্টারনেটের প্রসার ও গতিশীলতা বাড়াতে নীতিনির্ধারকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সম্প্রতি জানিয়েছেন, দেশব্যাপী তিন ধাপে ইন্টারনেটের মূল্য হ্রাস করা হচ্ছে। সোমবার সকালে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই তথ্যটি তিনি সকলের সাথে ভাগ করে নেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, ফাইবার অ্যাট হোম তাদের আইটিসি (আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সার্কিট), আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং এনটিটিএন (ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) স্তরে ইন্টারনেটের দাম যথাক্রমে ১০, ১০ এবং ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত সংস্থা আইএসপিএবি সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে গ্রাহকদের ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ ৫০০ টাকায় দেওয়া হবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে তাদের সকল সেবার ওপর ইতিমধ্যেই ১০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। সরকারি মোবাইল অপারেটর টেলিটক ঈদ-উল-ফিতরের দিন থেকে ১০ শতাংশ সাশ্রয়ে মোবাইল ইন্টারনেট সরবরাহ করছে বলেও তিনি জানান।

মেসির পারফরম্যান্সে উত্তাল স্টেডিয়াম

মোবাইল অপারেটরদের প্রতি ইন্টারনেটের দাম কমানোর আহ্বান জানিয়ে ফয়েজ আহমদ বলেন, সরকার ইতিমধ্যে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম ও ডার্ক ফাইবারের মতো আধুনিক সুবিধা দিয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে যৌথ উদ্যোগে পাইকারি ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। ফলস্বরূপ, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর এখন আর দাম না কমানোর কোনো সঙ্গত কারণ অবশিষ্ট নেই।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, চলমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানো হলে সাধারণ মানুষের আর্থিক কষ্টের কিছুটা উপশম হবে। সরকারের চাওয়া হলো মোবাইল কোম্পানিগুলো দুটি দিক থেকে মূল্যছাড় প্রদান করুক: প্রথমত, পূর্বে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে যে অতিরিক্ত দাম ধার্য করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা; এবং দ্বিতীয়ত, আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন পর্যায়ে যে হারে পাইকারি দাম কমানো হয়েছে, সেই অনুপাতে গ্রাহক পর্যায়েও মূল্য হ্রাস করা।

তিনি আরও বলেন, দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মান নিয়ে অনেক অভিযোগ বিদ্যমান, এবং মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। তাই সরকারের মূল লক্ষ্য হলো, গ্রাহকদের স্বার্থে একটি ন্যায্য ও সুসংহত মূল্য নীতি বাস্তবায়ন করা।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

গ্র্যাজুয়েশন হয়নি এখনো, এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু | একদেশ পত্রিকা

“একজন তরুণ, যিনি ডিগ্রি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি পেয়েছেন এবং এখন ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করছেন, তার অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা সম্পর্কে জানুন। পড়াশোনা ও কর্মজীবনের সাফল্যের মিশেলে তৈরি করেছেন একটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। তার গল্প আপনাকে নতুন সুযোগের প্রতি অনুপ্রাণিত করবে এবং ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিবে।”


বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

তখন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)-এর প্রতিষ্ঠা খুব বেশি দিনের নয়। তেমন একটা পরিচিতিও তৈরি হয়নি, উপরন্তু তথাকথিত প্রভাবশালী মহলের পৃষ্ঠপোষকতাও ছিল না। এমতাবস্থায় মাসুদ ইফতেখার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম শেষ করার আগেই একটি চাকরির প্রস্তাব হাতে পান। বর্তমানে তিনি সুইডেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিকম সংস্থা এরিকসনের ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলের ‘কি অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোলার’ পদে কর্মরত। এর আগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এই কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব নিজেকে কীভাবে আজকের অবস্থানে উন্নীত করেছেন?

শিক্ষকের নির্দেশনায় পথচলা:

২০০৭ সালে ইউআইইউর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন মাসুদ। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কোন স্মৃতি বিশেষভাবে মনে পড়ে, এই প্রশ্নের উত্তরে মাসুদ বলেন, ‘শিক্ষকদের সান্নিধ্যে কাটানো সময়গুলো আমার কাছে অমূল্য। সম্ভবত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকায় আমরা তাঁদের কাছ থেকে এতটা নিবিড় মনোযোগ ও সহযোগিতা পেয়েছি। তাঁরা আমাকে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি জীবনে সফল হওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি আমি ইংরেজি বিভাগের টিএ (শিক্ষকের সহকারী) হিসেবেও কাজ করেছি।’


আরোও পড়ুন

আন্তর্জাতিক ইংরেজি সংবাদ শিরোনাম [বাংলাতে অনুবাদ করা হয়েছে]


ইউআইইউর তৎকালীন ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে প্রায় বারো ঘণ্টা সময় কাটাতেন মাসুদ। তবে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার চেয়ে লেখাপড়ার প্রতিই তাঁর মনোযোগ ছিল বেশি। শিক্ষকদের উৎসাহমূলক কথা তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করত। মাসুদ স্মরণ করেন, ‘আমাদের তৎকালীন ডিন হাবীব স্যার প্রায়ই বলতেন, “মানুষ যা করেছে, মানুষ তা করতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর একজন শিক্ষার্থী যদি বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারে, তুমিও পারবে। বড় স্বপ্নকে সামনে রেখে আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে।”’ তাঁর বিশ্বাস, এই মূল্যবান পরামর্শ এবং উপদেশগুলোই আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে তাঁকে সাহায্য করেছে।

চাকরির পাশাপাশি মাসুদ ইফতেখার নবীন উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকেন। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি সিলিকন ভ্যালির ‘ফাউন্ডার ইনস্টিটিউট’ ও ‘স্টার্টআপ ওয়ার্ল্ড কাপ’-এর সাথে যুক্ত আছেন। তিনি অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের উপায় বাতলে দেন এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়োজিত সেশনে মেন্টর হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে আক্ষেপের সাথে তিনি জানান, এখনো পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক সেশনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেখতে পাননি। তিনি বলেন, ‘হয়তো তাঁরা অন্য কোথাও কর্মরত আছেন এবং ভালো করছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমার সাথে তাঁদের দেখা হয়নি। তবে বাংলাদেশের কোনো সংস্থা যদি আমাদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ বা সহযোগিতা চায়, আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকতে প্রস্তুত।’

মাসুদ ইফতেখার গত এক বছর ধরে একজন উদ্যোক্তা হিসেবেও যাত্রা শুরু করেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় নবায়নযোগ্য সৌরশক্তিতে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও, তিনি সেই দেশে কৃষিকাজের সাথেও জড়িত।

নিজেকে প্রমাণ করার সংগ্রাম:

প্রায় আঠারো বছরের কর্মজীবনে মাসুদ বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় কাজ করেছেন। তবে তাঁর কর্মজীবনের শুরুটা সহজ ছিল না। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘যখন আমি স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র, তখনই আমার চাকরি হয়। কিন্তু অফিসে যোগ দিয়ে দেখি, আমার প্রায় ৭০ শতাংশ সহকর্মী আইবিএ থেকে এসেছেন। এরপরের উল্লেখযোগ্য অংশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তখন তেমন পরিচিত ছিল না। আমি যখন বলতাম ইউআইইউ, ধানমন্ডি, তখন অনেকেই চিনতেন না। আমাকে প্রতিনিয়ত নিজের কাজের মাধ্যমে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়েছে। প্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর মানুষ আমার শিক্ষাগত পটভূমি নিয়ে প্রশ্ন করা বন্ধ করে। এরপর তারা আমার কাজ দিয়েই আমাকে মূল্যায়ন করত।’

আজকের এই অবস্থানে পৌঁছানোর পেছনে একটি সুচিন্তিত ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল। ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই মাসুদ চিন্তা করতেন, পাঁচ বছর পর তিনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান। ২০১০ সালে যদি সহকারী ব্যবস্থাপক হতে চান, তাহলে ২০০৭ সালেই চাকরিতে যোগদান করতে হবে—এই ধরনের হিসাব তিনি তখন থেকেই করতেন। শিক্ষক ও মেন্টরদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি জীবনের প্রতিটি ধাপে পরিকল্পনা করে এগিয়েছেন। ভবিষ্যতের লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য তিনি এক্সেলে বাৎসরিক পরিকল্পনা লিখে রাখতেন।

প্রথম চাকরির সাক্ষাৎকারে বসার সময় তাঁর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। শুধুমাত্র ভালো সিজিপিএ এবং বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ছিল তাঁর সম্বল। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে মাসুদ ইফতেখার বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ বা পরামর্শ হলো, ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের বিষয়ে দক্ষ হও। অনেকে মনে করে, শুধু ইংরেজি জানলেই স্মার্ট হওয়া যায়। কিন্তু বিদেশে সবাই ইংরেজি জানে, সবাই তো সফল নয়। তাই নিজের বিষয়ের ওপর গভীর জ্ঞান রাখার পাশাপাশি কোম্পানিগুলো কীভাবে সেই জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করছে, তা জানতে হবে। যেকোনো কাজের চ্যালেঞ্জ ও সুবিধা সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে। নতুন কোনো ধারণা তৈরি করতে পারলে তা অত্যন্ত মূল্যবান।’

মাসুদ ‘ব্যর্থ’ শব্দটিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। তাঁর মতে, ‘যদি প্ল্যান এ কাজ না করে, তবে প্ল্যান বি তো আছেই। একটা উপায় ব্যর্থ হলে, অন্য কোনো উপায় নিশ্চয়ই সফল হবে। সাফল্যের চেয়ে শতভাগ চেষ্টা করার মানসিকতাই বরং বেশি জরুরি।’


Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

“অস্থায়ী সংকট” সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হচ্ছেনা, বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ | একদেশ পত্রিকা

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফারুক সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি না হওয়া প্রসঙ্গে “অস্থায়ী বাজার মন্দা”র কথা উল্লেখ করেছেন। তার মতে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়ায় মিডিয়া সত্ত্ব বিক্রিতে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফারুক এই অবস্থাকে অস্থায়ী সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবস্থার উন্নতি হবে। বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্যকে বর্তমান মিডিয়া শিল্পের চ্যালেঞ্জের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।


ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আসন্ন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, এই দুটি দেশের মধ্যেকার ক্রিকেট লড়াই সরাসরি দেখানোর দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে না পারায় কিছুটা হতাশ হয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।

আজ শনিবার বনানীতে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একেবারে শুরু থেকে বলতে হবে। বর্তমানে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে এক ধরনের মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। একটু খারাপ সময় যাচ্ছে। সরকারের পরিবর্তনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগছে।’

বিটিভি খেলা সম্প্রচার করলেও, এর জন্য বিসিবি কোনো আর্থিক সুবিধা পাবে না। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ খেলা দেখানোর জন্য বিটিভির কাছ থেকে সম্প্রচার সময় (স্লট) পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিটিভি খেলা দেখাচ্ছে, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিটিভির সম্প্রচার সময় পাওয়া বেশ কঠিন। বোর্ডের পক্ষ থেকে সচিব মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিটিভির সম্প্রচার সময় কিনতে হয়। আমরা তার প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ যে বিটিভি বিনামূল্যে আমাদের খেলা দেখানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে অন্ততপক্ষে খেলাটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাবে।’

বিটিভি ছাড়াও অন্য কোনো বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খেলা সম্প্রচার করা যায় কিনা, সেই চেষ্টাও চালাচ্ছে বিসিবি। বিসিবি প্রধান আরও জানান, ‘আমরা এখনো আলোচনা করছি, অন্য কোনো টিভি চ্যানেল পাওয়া যায় কিনা। যদি এই ম্যাচ নাও দেখানো সম্ভব হয়, আমরা পরের ম্যাচের জন্য চেষ্টা করব। এছাড়াও, আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া স্বত্ব বিক্রির প্রক্রিয়াও চলছে। আমরা এর জন্য দরপত্র (টেন্ডার) তৈরি করে ফেলেছি এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাব।’


Exit mobile version