ট্রান্সশিপমেন্ট স্থগিত হলেও রপ্তানির গতি কমবে না: বাণিজ্য বিভাগের আশ্বাস

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলেও বাংলাদেশের রপ্তানি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সরকার রপ্তানি খরচ কমানো ও ব্যবসা সহজীকরণে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইনডো চালু করেছে। “মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন”-এ চামড়া, প্লাস্টিক ও ফুটওয়্যার খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও বিপিজিএমইএ রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও এসএমই শক্তিশালীকরণের ওপর জোর দিয়েছে।


ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করলেও বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে খরচ হ্রাস করার প্রচেষ্টা চলছে, যা ব্যবসায়ীদের রপ্তানি ব্যয় কমিয়ে আনবে।

[আরোও পড়ুনঃ থানার ওসি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীকের আলোচনা ভাইরাল]

পাশাপাশি, সরকার ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার প্রক্রিয়া সহজীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যার মধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো অন্যতম। ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সহযোগী অধিদপ্তরসমূহ সর্বদা প্রস্তুত। রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

‘মিট বাংলাদেশ এক্সপোজিশন’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সুহাইল কাসিম এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বিদেশি সহায়তা হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। রপ্তানিযোগ্য চামড়া, পাদুকা, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্যের প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা অংশ নেন।

বিপিজিএমইএ সভাপতি শামীম আহমেদ পোশাক শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং প্লাস্টিক শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন।


একদেশ – ই – প্রত্রিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা

Exit mobile version