ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত ৬ বিএনপি কর্মী, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা

জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই ছুরিকাঘাতের শিকার হন বিএনপির ৬ নেতাকর্মী। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা দলবল নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায়, যেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা আগে থেকেই বিরাজ করছিল। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।


🔻 জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বরিশালে যুবলীগ নেতার হামলা, আহত ৬ বিএনপি নেতাকর্মী

বরিশালে আবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। জামিনে মুক্তি পেয়েই যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলআমিন ছুরিকাঘাত করেন বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে। গত রোববার (৪ মে) গভীর রাতে স্টেডিয়াম কলোনি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদাউস হাওলাদার, শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সম্পাদক আসলাম, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রাজা, কর্মী শাহিন, কাওসার ও রাজিব খান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলআমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখল এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। একসময় তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


আসলামের ভাই আবদুর রহিম বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিলেও এলাকায় আলআমিন বাহিনীর দাপট আগের মতোই চলছে।” তিনি আরও জানান, হামলার পর তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বরও স্টেডিয়াম কলোনিতে একই কায়দায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছিলেন আলআমিন। সে সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে আক্রমণের ঘোষণা দেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, আলআমিনের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।


সীমান্ত উত্তপ্ত: পাকিস্তানের হামলায় কাঁপলো ভারতীয় সেনাঘাঁটি

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিগেড সদরদপ্তরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সরাসরি হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তে এই আক্রমণের ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিরক্ষা দপ্তর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান নতুন সংঘর্ষ: ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা ও পাল্টা আঘাত

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইসলামাবাদ থেকে পরিচালিত এক অভিযানে ভারতীয় এই সামরিক স্থাপনাটি ধ্বংস করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভিকে এক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।

এছাড়া সীমান্তরেখা (এলওসি)-র দুদনিয়াল সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর একটি চৌকিতে মিসাইল হামলা চালিয়ে সেটি ধ্বংস করার দাবি করেছে পাকিস্তান।

এই পাল্টা জবাব এসেছে ভারতের মধ্যরাতের হামলার পরপরই। পাকিস্তানের ডিজিএফআইয়ের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের ছোড়া মিসাইল পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় আঘাত হানে—যার মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাঘ, মুজাফফরাবাদ, মুরিদকে এবং ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর। এতে কমপক্ষে ৩ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হন, যাদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, আহমেদপুর ও কোটলির দুটি মসজিদে হামলা চালানো হয়েছে, যা আরএসএস মতাদর্শের প্রতিফলন বলে দাবি করেন তিনি।

[আরোও পড়ুনঃ রাফাল-মিগসহ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

মুজাফফরাবাদে এক রাস্তায় মিসাইল আঘাত হানলেও সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, এ হামলা শুধুই সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে হয়েছে, সেনাবাহিনীর স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করা হয়নি।

সবমিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা এখন সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে


ফায়ার সার্ভিসে ১৬২ জনের নিয়োগ, আবেদনের শেষ সময় আগামীকাল

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ১৬২টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চলছে, যার শেষ সময়কাল আগামীকাল। বিভিন্ন পদে পুরুষ ও নারী প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ থাকছে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত তথ্য ও যোগ্যতা সংক্রান্ত নির্দেশনা ফায়ার সার্ভিসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে। সময় শেষ হওয়ার আগে আবেদন না করলে সুযোগ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।


🔥 ফায়ার সার্ভিসে ১৪ ক্যাটাগরিতে নিয়োগ, আবেদন করুন অনলাইনে

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর রাজস্ব খাতভুক্ত বিভিন্ন পদে মোট ১৬২ জন জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদনকারীদেরকে অনলাইনে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।

[আরোও পড়ুনঃ যুদ্ধবিমান পড়ে গেল] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

🧯 নিয়োগসংক্রান্ত মূল তথ্য (পদভিত্তিক):

  1. মাস্টার ড্রাইভার (মেরিন) – ১ জন
    🔹 সনদপ্রাপ্ত হতে হবে | 💰 গ্রেড ১৫
  2. ইঞ্জিন ড্রাইভার (মেরিন) – ১ জন
    🔹 প্রাসঙ্গিক ট্রেনিং | 💰 গ্রেড ১৫
  3. স্পিডবোট ড্রাইভার – ১ জন
    🔹 মেরিন সনদপ্রাপ্ত | 💰 গ্রেড ১৫
  4. ড্রাইভার – ২৯ জন
    🔹 ৮ম শ্রেণি, বৈধ ভারী যানবাহনের লাইসেন্স, শারীরিক যোগ্যতা বাধ্যতামূলক | 💰 গ্রেড ১৫
  5. মোল্ডার – ২ জন
    🔹 ট্রেড সার্টিফিকেট ও ২ বছরের অভিজ্ঞতা | 💰 গ্রেড ১৫
  6. ওয়্যারলেস মেকানিক – ১ জন
    🔹 এইচএসসি (বিজ্ঞান) | অভিজ্ঞরা অগ্রাধিকার পাবে | 💰 গ্রেড ১৫
  7. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক – ৭ জন
    🔹 এইচএসসি, টাইপিং ও কম্পিউটার দক্ষতা বাধ্যতামূলক | 💰 গ্রেড ১৬
  8. নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট – ২ জন
    🔹 এসএসসি, নির্দিষ্ট উচ্চতা ও শারীরিক যোগ্যতা | 💰 গ্রেড ১৭
  9. ফায়ার ফাইটার – ১০৬ জন
    🔹 এসএসসি, শারীরিক সক্ষমতা, অবিবাহিত হতে হবে | 💰 গ্রেড ১৭
  10. ডুবরি – ৬ জন
    🔹 এসএসসি, শারীরিক ফিটনেস অপরিহার্য | 💰 গ্রেড ১৭
  11. ওয়েল্ডার – ১ জন
    🔹 ট্রেড সার্টিফিকেট ও ৩ বছরের অভিজ্ঞতা | 💰 গ্রেড ১৭
  12. ওয়ার্কশপ হেলপার – ২ জন
    🔹 প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদ | 💰 গ্রেড ১৯
  13. অফিস সহায়ক – ২ জন
    🔹 এসএসসি | 💰 গ্রেড ২০
  14. মুচি – ১ জন
    🔹 ৮ম শ্রেণি পাস | 💰 গ্রেড ২০

📌 আবেদন ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ও শর্তাবলি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত থাকবে।


আকাশে বিপর্যয়: রাফাল-মিগসহ ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান পড়ে গেল

ভারতের সামরিক বিমানবাহিনীর জন্য এটি এক চরম ধাক্কা—তিনটি রাফাল এবং একটি মিগসহ মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কী কারণে এসব বিমান ভূপাতিত হলো, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ভারতের আধুনিক যুদ্ধক্ষমতায় বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা প্রশিক্ষণ ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


🔻 ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: যুদ্ধবিমানের পতন ও পাল্টা হামলা

ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংস হওয়া বিমানগুলোর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফ্রেঞ্চ রাফাল, একটি রাশিয়ান সু-৩০ এবং একটি মিগ-২৯। এসব যুদ্ধবিমান ভারতে বহু বছর ধরে সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ভারত সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে আরও ২৬টি রাফাল কিনতে যাচ্ছে, যার মূল্য আনুমানিক ৭৪০ কোটি মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে ভারতের হাতে ৩৬টি রাফাল রয়েছে। নতুন রাফালগুলো ভারতীয় বিমানবাহী রণতরীতে মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং পুরনো মিগ-২৯ এর জায়গা নেবে।

[আরোও পড়ুনঃ কানাডার ভিসা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সীমান্তে হামলায় অংশ নেওয়া এসব যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, ভারতীয় সেনাদের ড্রোন, যুদ্ধবিমান ও সীমান্ত ফাঁড়িও ধ্বংস করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। অভিযানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি এলাকা টার্গেট করা হয়। তবে ভারত সরকার বলছে, তারা কেবল সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করেছে, পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি নয়।

[আরোও পড়ুনঃ দুই নেতার ফোনালাপে] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]


এই সংঘর্ষে পাকিস্তানে ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, কাশ্মীরে তাদের ৩ জন সৈন্য পাকিস্তানি হামলায় নিহত হয়েছেন।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যা এখন খোলা সংঘাতে রূপ নিয়েছে।


হাসপাতাল যাওয়ার পথে সড়কে থেমে গেল তিনটি প্রাণ

রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। দুর্ঘটনাটি ঘটে আজ ভোরে ব্যস্ত মহাসড়কে। নিহতদের মধ্যে রোগী ছাড়াও ছিলেন গাড়ির চালক ও এক স্বজন। আহত আরও কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকিংয়ের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে।


মেহেরপুরের গাংনীতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে গাংনী-কুষ্টিয়া সড়কের শুকুরকান্দি এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন গাংনীর পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের জামাল উদ্দিন (৫৫), যিনি মাইক্রোবাসটির চালক ও মালিক; গাঁড়াডোব গ্রামের শাহিনুজ্জামান (৪৫); এবং সদর উপজেলার নজরুল ইসলামের স্ত্রী আক্তার বানু (৪৫)।
আহতরা হলেন গোলাপি খাতুন, ফজিলা খাতুন এবং আলফাতুন নেছা।

জানা গেছে, শাহিনুজ্জামানের দাদি ফজিলা খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময়, শুকুরকান্দি এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্প ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটি।

[আরোও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

দুর্ঘটনার পর আহতদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়ার পথে আক্তার বানুর মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চালক জামাল উদ্দিন ও শাহিনুজ্জামানও মৃত্যুবরণ করেন।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, গাড়িটি রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


দেশে ফিরেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনামে খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বেশ আলোড়ন দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে তার প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। অনেকে এটিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় হিসেবেও দেখছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষকরা এর প্রভাব নিয়ে দিচ্ছেন ভিন্নমুখী মতামত।


চার মাস লন্ডনে চিকিৎসা নিয়ে আজ দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে ফিরে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে তার গাড়ি গুলশানে পৌঁছালে সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীরা ফুল, ব্যানার ও স্লোগানে তাকে বরণ করে নেন।

সকাল ১১টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়া ও তার দুই পুত্রবধূকে বহনকারী গাড়ি শাহজালাল বিমানবন্দর ছাড়ে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে নেতাকর্মীরা তাকে অভ্যর্থনা জানান। কেউ তার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে ছিলেন, কেউ আবার ফুল হাতে রেখেছিলেন। রাজপথ ছিল সরব—‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ স্লোগানে।

এ ঘটনাটি শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও গুরুত্বসহকারে প্রচার পেয়েছে। কাতারের আল জাজিরা, মালয়েশিয়ার স্ট্রেইট টাইমস, আয়ারল্যান্ডের আইরিশ নিউজ, ভারতের টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজ—সবগুলো সংবাদমাধ্যম খালেদা জিয়ার প্রত্যাবর্তনকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।

এবিসি নিউজ জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার ফেরা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্বাচন ত্বরান্বিত করার চাপ বাড়িয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে। এই সরকার ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে।


[আরোও পড়ুনঃ ভাইয়ের জন্য চিন্তিত] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

আল জাজিরা বলছে, গণতন্ত্রের সংকটকালীন সময়ে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া। বিএনপির নেত্রীর এ উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ এবং তার দল বিএনপির জন্য প্রতীকীভাবে শক্তি সঞ্চার করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন এবং দেশের নেতৃত্বে রয়েছে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।’ তাদের মতে, এটি আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা।

স্ট্রেইট টাইমস মন্তব্য করেছে, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির নির্বাচন দাবিকে আরও জোরালো করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে আগস্টে দেশত্যাগ করেন এবং এরপর থেকেই ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার দেশের দায়িত্ব পালন করছে।

আইরিশ নিউজ-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও তার দেশে ফেরা নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।


খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে নেতাকর্মীর ভিড়ে থমকে গেলো গুলশান

দীর্ঘদিন পর দেশ ফিরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বনানী ও গুলশান এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। রাজপথজুড়ে ব্যানার, শ্লোগান ও উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। এতে বনানী-গুলশান সড়কে যান চলাচল একপ্রকার বন্ধ হয়ে পড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতি এবং নিরাপত্তাব্যবস্থার কারণে সাধারণ জনসাধারণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই দৃশ্য রাজধানীতে এক ধরনের রাজনৈতিক উত্তাপও তৈরি করে।


চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর সড়কে ঢল নামে দলটির নেতাকর্মীদের। দলের নেত্রীকে একনজর দেখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজারো কর্মী-সমর্থক ব্যানার, ফেস্টুন, পতাকা আর স্লোগানে মুখর করে তোলে গোটা সড়ক।

নিরাপত্তা ও যানজট পরিস্থিতি বিবেচনায় গুলশানগামী সড়ক বনানী থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ। গুলশান ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জিয়াউর রহমান জানান, পূর্ব নির্ধারিত নির্দেশনা না থাকলেও জনসমাগমের কারণে যানচলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথ হিসেবে বনানী ১১ নম্বর সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়।

সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স অবতরণ করে। এরপর ১১টা নাগাদ তার গাড়িবহর বিমানবন্দর ছাড়ে। তাকে বসে থাকতে দেখা যায় সামনের আসনে। গুলশানের ‘ফিরোজা’ বাসভবনে ফিরিয়ে নিতে নেতাকর্মীদের তৈরি করে রাখা অভ্যর্থনা পথ বেয়ে এগোয় গাড়িটি।

বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমানসহ আরও অনেকে। ‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছার স্বাগতম’, ‘তারেক জিয়া ফিরুক’, ‘ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর ছিল পুরো পথ।


[আরোও পড়ুনঃলজ্জাজনক পরিণতি] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

নেত্রীর ফেরাকে ঘিরে যত্রতত্র ভিড়ের কারণে ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। সকাল থেকে গুলশান, বনানী ও উত্তরা এলাকার কিছু রাস্তায় যানচলাচলে ভোগান্তি দেখা দেয়। তাই বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে রওনা হওয়ার জন্য আগেই অনুরোধ জানায় এয়ারলাইন্সগুলো।

বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যান্ডপার্টি, পিকআপ ও মিনিবাস নিয়ে গান বাজিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাগত জানাতে আসে। এমনকি দলটির তরফ থেকে পথনকশা দিয়েও কর্মীদের অবস্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।

এই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী-উত্তরা সড়কে চলাচল সীমিত করতে বলা হয় এবং ভিড় সামাল দিতে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয় দল ও পুলিশের পক্ষ থেকে। এদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু রাখা হয় রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল।


১৯ বছরের মধ্যে সবচেয়ে লজ্জাজনক পরিণতি!

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ১৯ বছর পর এমন এক ভয়াবহ ব্যর্থতার মুখোমুখি হয়েছে, যা ভক্ত ও বিশ্লেষকদের হতবাক করে দিয়েছে। বহু বছরের অর্জন ও উন্নতির ধারাবাহিকতা ছিন্ন হয়ে গেছে এক দুঃস্বপ্নের পারফরম্যান্সে। এই পরাজয় শুধু ম্যাচ হার নয়, এটি আত্মবিশ্বাস, পরিকল্পনা ও সামগ্রিক দলের মানসিকতার বড় ধস বলেই মনে করছেন অনেকে। ভক্তদের হৃদয়ে ফিরেছে পুরনো হতাশা ও তিক্ত স্মৃতি।


বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের র‍্যাংকিং পরিস্থিতি যেন এক কথায় “নরকগামী”। ‘অধঃপতন’ শব্দটা পর্যন্ত এই বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আইসিসির হালনাগাদ র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে, যেটা একসময় কল্পনারও বাইরে ছিল। এক সময়ের শক্তিশালী ফরম্যাট এখন যেন নিজেদের জন্য এক অচেনা ধ্বংসস্তূপ।

সোমবার আইসিসি প্রকাশিত বার্ষিক র‍্যাংকিং অনুসারে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল এক ধাপ নিচে নেমে দশম স্থানে চলে গেছে। সর্বশেষ ২০০৬ সালে এমন অবস্থানে ছিল টাইগাররা। কিন্তু তখনকার প্রেক্ষাপটে এটি অর্জন হলেও, এখন তা এক প্রকার লজ্জার বিষয়। কারণ গত এক বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল চরম হতাশাজনক।

২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ের হিসাব নিয়ে র‍্যাংকিং করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ছয়টি ওয়ানডে খেলেছে, তার মধ্যে জয় মাত্র একটিতে। সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে, যেখানে চার রেটিং পয়েন্ট খুইয়েছে বাংলাদেশ, এবং বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৬ পয়েন্টে। বিপরীতে ক্যারিবীয়রা পাঁচ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮৩ পয়েন্টে উঠে গেছে নবম স্থানে।

[আরোও পড়ুনঃ চিন্তিত খালেদা জিয়া] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

স্মরণযোগ্য যে, ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে হারিয়ে বাংলাদেশ একসময় ছয়ে উঠে এসেছিল। যদিও সেটা ছিল ব্যতিক্রম, বেশিরভাগ সময় দল সাত, আট কিংবা নয় নম্বরেই অবস্থান করতো। কিন্তু এবারের দশম অবস্থান পরিষ্কারভাবে একটা বিপদের ইঙ্গিত।

এদিকে অন্য ফরম্যাটে বাংলাদেশের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। টেস্টে ৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে এবং টি-টোয়েন্টিতে ২২৫ পয়েন্ট নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছে তারা। আইসিসির হালনাগাদ র‍্যাংকিং অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ম্যাচের ফল ১০০% গুরুত্ব পায়, আর আগের দুই বছরের ফলাফল ৫০% গুরুত্ব পায়। সেই হিসেবে সাম্প্রতিক ব্যর্থতাই র‍্যাংকিং পতনের মূল কারণ।

অন্যদিকে, তিনটি ফরম্যাটে উন্নতি করেছে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। টেস্টে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ভারত সবার উপরে অবস্থান করছে।


Exit mobile version