“আলোর শহরে এক সপ্তাহব্যাপী ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহাসিক স্থাপনা ও প্রতীকী চিহ্ন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। এই দাবানলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা ছড়িয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।”
১৮৭১ সালের প্যারিস কমিউন: ইতিহাসের রক্তাক্ত অধ্যায়
১৮৭১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সে সংঘটিত প্যারিস কমিউন বিদ্রোহ ইতিহাসের অন্যতম রক্তাক্ত অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। জার্মানির একীকরণ ও তৃতীয় নেপোলিয়নের পতনের পর ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে গড়ে ওঠা কমিউনগুলো সরকারি কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানায়।
বিদ্রোহের বিস্তার:
- লিওন ও মার্সেইয়ের পর প্যারিসে গঠিত হয় সবচেয়ে শক্তিশালী কমিউন
- স্থানীয় বাসিন্দারা অস্ত্র তুলে নেয় এবং ব্যারিকেড তৈরি করে
- ভার্সাই বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে
ধ্বংসযজ্ঞ:
১৮৭১ সালের ২১-২৮ মে ‘রক্তাক্ত সপ্তাহ’ নামে পরিচিত সময়ে:
- চ্যাম্প-ডি-মার্স পার্কসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অগ্নিসংযোগ ঘটে
- লুভর প্রাসাদের কিছু অংশ, সিটি হল ও থিয়েটার দে লা পোর্টে সেন্ট-মার্টিন পুড়ে যায়
- রুয়ে দে লিলসহ বহু ঐতিহাসিক রাস্তা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়
- লুক্সেমবার্গ গার্ডেন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসযজ্ঞ
ঐতিহাসিক প্রভাব:
এই বিদ্রোহ ফরাসি সমাজে গভীর বিভাজন সৃষ্টি করেছিল এবং পরবর্তীতে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা যুগিয়েছে। প্যারিস কমিউনকে অনেকেই শ্রমিক শ্রেণীর প্রথম সফল বিদ্রোহ হিসেবে বিবেচনা করেন।