১৫ তলা ভবন থেকে পড়ে গিয়েও বিস্ময়করভাবে বেঁচে যায় একটি শিশু। ঘটনাটি শুধু এলাকাবাসী নয়, চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীদেরও। পদার্থবিদ্যার দৃষ্টিতে এত উচ্চতা থেকে বেঁচে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হলেও, বিশেষ কিছু উপাদান এই বাঁচার ব্যাখ্যা দিচ্ছে। পুরো ঘটনাটি রীতিমতো গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে।
১৫ তলা থেকে পড়ে গেলেও বেঁচে গেল শিশুটি, কীভাবে সম্ভব হলো?
১৫ তলা ভবন থেকে পড়ে যাওয়ার পরও এক শিশুর বেঁচে যাওয়া নিয়ে সবার মনে জন্ম নিয়েছে বিস্ময় ও প্রশ্ন। এত উঁচু থেকে পতনের পর কীভাবে সে বেঁচে থাকল, এটাই এখন সবার কৌতূহলের বিষয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার পা ভেঙেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ আঘাত রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার আঘাতগুলো প্রাণঘাতী নয় এবং সে পুরোপুরি সেরে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বেঁচে যাওয়ার পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
এমআইটি’র পদার্থবিদ্যা ও যান্ত্রিক প্রকৌশলের অধ্যাপক অ্যানেট হোসোই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিশুটির কম ওজন ও পড়ার সময় ঝোপঝাড়ে অবতরণ করায় তার শরীরের ওপর পতনের গতি ও চাপ অনেকটাই কমে গেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসোই বলেন, “শিশুটি যেই ঝোপের ওপর পড়েছে, তা তার পতনের শক্তি অনেকটাই শুষে নিয়েছে। এখানে শিশুর পক্ষে সবকিছুই অনুকূলে ছিল।”
গতি ও বলের সম্পর্ক
হোসোই আরও জানান, নিউটনের সূত্র অনুযায়ী, বল = ভর × ত্বরণ। শিশুর শরীরের ভর কম হওয়ায় তার ওপর পড়ার সময় গতি ও বলের প্রভাবও তুলনামূলকভাবে কম ছিল।
টার্মিনাল ভেলোসিটি ও ঝোপের ভূমিকা
তিনি বলেন, “টার্মিনাল ভেলোসিটি” বা সর্বোচ্চ পতন গতি হলো সেই সীমা, যেখানে শরীর আর দ্রুত পতিত হয় না। ১৫ তলা থেকে পড়লেও শিশুটি সেই গতি অর্জন করেনি। তার পতনের সময় গতি ছিল প্রায় ৪০ মাইল প্রতি ঘণ্টা, যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে তা হতে পারে ৬০ মাইল প্রতি ঘণ্টা। ঝোপঝাড়ের উপস্থিতি এ গতিকে আরও কমিয়ে দেয়, ফলে প্রাণে বেঁচে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।