“গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র সামরিক অভিযানে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। সম্প্রতি সংঘটিত এই হামলায় শিশু ও নারীসহ শতাধিক নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই হামলার নিন্দা জানালেও সংঘাত থামছে না। মানবিক বিপর্যয় রোধে জরুরি পদক্ষেপের দাবি উঠছে। বিস্তারিত জানুন…”
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, মানবিক সহায়তা নিয়ে চুক্তি
ইসরায়েল দক্ষিণ গাজা উপত্যকা, বেইত লাহিয়া এবং আল-সুলতান শহরে একযোগে বিমান হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্ত্বেও ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু হয়েছে।
মানবিক সহায়তা চুক্তি:
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র মধ্যে ফোন আলোচনায় গাজার ১৫,০০০ বেসামরিক নাগরিকের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সহায়তায় বেকারির আটা, স্যুপ রান্নার উপকরণ, শিশুখাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ করলেও সেগুলো সঠিকভাবে বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ইসরায়েলি বাহিনীর কঠোর নীতির কারণে ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করতে সমস্যা হচ্ছে। সোমবার মাত্র ৫টি এবং মঙ্গলবার ৯৩টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে পেরেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে হামাসকে চাপে রাখতে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার বেশিরভাগ এলাকায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির মারাত্মক সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলো সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে সহায়তা পৌঁছে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।