রাজশাহীর দুর্গাপুরে আম’বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার।

দুর্গাপুরে আমবাগান থেকে শুভ আহম্মেদ (২২) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। ‎জানাগেছে,সোমবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাজুখলসী গ্রামের একটি আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে। শুভ আহম্মেদ ওই গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে দুর্গাপুর থানা পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে।। ‎স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শুভ আহম্মেদ রাজশাহী সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তারা দুই ভাই বড় ভাই শিমুল নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় একটি এনজিও তে চাকরি করেন। শুভ আহম্মেদ যখন কথা বলতো কথা আটকে যেত তোতলা প্রকৃতির ছিলো। তার প্রতিবন্ধী কার্ডও আছে। কথায় কথায় রেগে যেতো। তার বাবার কানপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকান আছে। চা বিক্রির দুই হাজার টাকা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শুভ আহম্মেদের মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে গত সোমবার রাত ৯ টার দিকে শুভ রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরদিন মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে আসাদুল ইসলাম নামের এক কৃষক তার শষা ক্ষেত থেকে আসার পথে আমবাগানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শুভ আহম্মেদকে আমগাছের ডালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় এবং চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে তার পরিবারের নিকট খবর পাঠান। পরে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।‎বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম জানান, খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে প্রাথমিক ভাবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। এবং এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, সাহায্য ছাড়া গাজায় হাজার হাজার শিশু মারা যেতে পারে, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডা ইসরায়েলকে আক্রমণাত্মক আচরণের বিষয়ে সতর্ক করেছে।

ববি’র সাবেক প্রোভিসি ও ট্রেজারার অপসারণ কে ইউট্যাবের বেআইনি বলে আখ্যা।

ববি’র সাবেক প্রোভিসি ও ট্রেজারার অপসারণ কে ইউট্যাবের বেআইনি বলে আখ্যা । বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এর সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.গোলাম রব্বানী ও সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মামুন অর রশিদ এর অপসারণ কে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। ১৯ ই মে সোমবার উক্ত সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড.এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড.মোঃমোর্শেদ হাসান খান এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয় টি বলা হয়।বিজ্ঞপ্ততিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. গোলাম রব্বানী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ কে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতামত নেওয়া হয়নি। বিষয়টি ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনোরূপ আলোচনা ও সমন্বয় ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন পরিপন্থী। মর্যাদাসম্পন্ন একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদে নিয়োজিত ব্যক্তিদের এভাবে আকস্মিকভাবে অপসারণ অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। ইউট্যাব মনে করে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদার প্রতি সরাসরি হস্তক্ষেপ এবং স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এক অশনি সংকেত। আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নিয়োগ ও অপসারণের বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পন্ন হওয়া উচিত। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. গোলাম রব্বানী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছিলেন। এই আকস্মিক সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও শিক্ষার পরিবেশে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ইউজিসি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষক সংগঠনসমূহের সঙ্গে পরামর্শ করা হোক, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসন বজায় থাকে। একইসঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. গোলাম রব্বানী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ কে তাদের পূর্বের পদে পুনর্বহাল করে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখা হোক।সুশাসন এবং ইউট্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হচ্ছে যে, অবিলম্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে তাদের পূর্বের পদে পুনরায় বহাল করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।উল্লেখ্য দীর্ঘ দিন ধরে ববি’র সাবেক ভিসি শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে আন্দোলন করেছিলো শিক্ষার্থীরা।শিক্ষার্থীদের উক্ত আন্দোলনের মুখে অপসারণ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি,প্রোভিসি এবং ট্রেজার কে।

Exit mobile version