হিটু শেখ হত্যা মামলার নথি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বিচারপ্রক্রিয়ার গতি আনার দাবিতে পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। মামলার অগ্রগতি নিয়ে শুনানি ও পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ এখন হাইকোর্টের বিবেচনায় রয়েছে।
আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাকি তিনজন খালাস
শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৭ মে বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অন্য তিন আসামি—সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও মা রোকেয়া বেগম (হিটু শেখের স্ত্রী) খালাস পেয়েছেন।
মামলার মূল আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়, যেখানে সে এককভাবে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে। আদালত তার জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট, সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণ পর্যালোচনা করে শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ ও ২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। অভিযোগ গঠনের ২১ দিনের মাথায় মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
গত ৬ মার্চ মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বেড়াতে এসে হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এরপর আছিয়াকে মাগুরা সদর হাসপাতাল, ফরিদপুর মেডিকেল এবং সর্বশেষ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর শিশুটির মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ১৩ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আলাউদ্দিন সরদার চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল এবং ৭ মে শেষ হয়। ৮ মে আসামিদের ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা ও ১২-১৩ মে যুক্তিতর্ক শেষে ১৭ মে রায় ঘোষণা করা হয়।
এই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে দ্রুত হাইকোর্টে শুনানি শুরু হবে কি না, তা প্রধান বিচারপতির দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে আসার পর নির্ধারণ হবে।