বিএসএফের গুলির পর সীমান্তে সংঘাত, গ্রামবাসীর সঙ্গে প্রতিরোধে বিজিবি

কুড়িগ্রামের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় বিএসএফের গুলিবর্ষণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিজিবি এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা যৌথভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ। বিস্তারিত জানুন সীমান্ত সংঘর্ষ, বিজিবির জবাব ও গ্রামবাসীর ভূমিকা নিয়ে।


কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশ-ইন ঘটনার জেরে চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরবেলা রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং স্থানীয় জনসাধারণ সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আঞ্জু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, বড়াইবাড়ী সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০৬৭ এর ১ সাব এলাকায় ভারতের আসামের মানকারচর থানার কাকরিপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে ১৪ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে শূন্যরেখায় নিয়ে গেলে বিএসএফ গালাগালির পাশাপাশি গুলি চালায়।

এরপর বিজিবি অবস্থান নেয় শূন্যরেখায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে বড়াইবাড়ী ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারাও সেখানে জড়ো হয়ে নিরাপত্তা সতর্কতায় অংশ নেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএসএফ কাঁটাতারের গেট খুলে অবৈধভাবে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করিয়ে দেয়। টহলরত বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিলেও বিএসএফ উত্তেজনাকর আচরণ করে ও গুলি ছোড়ে। বর্তমানে সীমান্তের ওপারে বহু বিএসএফ সদস্য অবস্থান করছে।


ভারত-পাকিস্তান সংলাপে আশাবাদী ইসলামাবাদ, ইরান সফরে শাহবাজ

পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একইসাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে ইরান সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে চলছে নানা কূটনৈতিক উদ্যোগ। বিস্তারিত জানুন ভারত-পাকিস্তান সংলাপ এবং শাহবাজের ইরান সফর নিয়ে।


কাশ্মীর সংকট ও পানিসম্পদ নিয়ে বিরাজমান দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিরসনে ভারতের সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। সোমবার (২৬ মে) ইরান সফরে তেহরানে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

শাহবাজ শরীফ বর্তমানে চারটি মিত্র দেশের সফরে রয়েছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি ওইসব দেশের কাছে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সংকটকালে দেওয়া সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। ইরান সফরের শুরুতেই তেহরানের সাদাবাদ প্রাসাদে তাকে স্বাগত জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যোগাযোগ, জ্বালানি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে পারস্পরিক ঐক্যমতে পৌঁছানো গেছে।

শাহবাজ বলেন, “ইরান ও পাকিস্তান—দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা আমরা জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক অংশীদারিতে রূপ দিতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতকালীন সময়ে ইরানের সমর্থন পাকিস্তানকে সাহস যুগিয়েছে। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সাহসিকতার সাথে জবাব দিয়েছে, যা সবার সামনে প্রমাণ করেছে যে তারা নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

কাশ্মীর সমস্যা ও পানিসম্পদ ইস্যুতে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা শান্তির পক্ষে। শান্তির জন্যই আমরা প্রস্তুত। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও ভারতের ১৯৫৪ সালের সংসদীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসতে চাই।”

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি ভারত আগ্রাসনের পথ বেছে নেয়, তাহলে পাকিস্তানও যথাযথ প্রতিরোধ গড়বে, যেমনটি আমরা সাম্প্রতিক হামলায় করেছি। কিন্তু যদি তারা আলোচনার আহ্বানে সাড়া দেয়, তাহলে আমরা আন্তরিকভাবে শান্তির পথে এগিয়ে যাব।”

ইরানে সফর শেষে তিনি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে তুরস্ক সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি, যেখানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত, গত মাসে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানে সামরিক হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও অভিযান শুরু করে। এতে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়। চারদিনের সংঘর্ষ শেষে ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ।


যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতার মুক্তি

যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তার মুক্তি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত একজন নেতার মুক্তি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। বিস্তারিত জানুন তার মুক্তির প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে।


জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। তবে, আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই ধরনের মামলায় কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি আপিলের মাধ্যমে খালাস পেলেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় প্রদান করেন।

আইনজীবীদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই রায়ের ফলে আজহারের মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।

আদালতে আজহারের পক্ষে শুনানিতে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, এটিএম মাসুম, রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, সেলিম উদ্দিন, মাসুদ সাঈদী, ড. হেলাল উদ্দিন, এবং দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ মোট নয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ছয়টি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয় এবং মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এই রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকলেও, পরে দায়ের করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ এই রায় বাতিল করে খালাস দেওয়া হয়।


এবারের হজে আরাফাতের খুতবা পাঠ করবেন শেখ সালেহ

চলতি বছরের হজে আরাফার পবিত্র ময়দানে খুতবা দেবেন মসজিদে হারামের খতিব ও বিশিষ্ট আলেম শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। সৌদি কর্তৃপক্ষ তার নাম ঘোষণা করেছে। হাজিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ খুতবা বিশ্বজুড়ে সম্প্রচার করা হবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।


ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো পবিত্র হজ। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ের লাখো মুসলমান এই মহা ইবাদতে অংশ নেন। সৌদি আরবের ধর্মীয় বিষয়ক প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের হজে আরাফার দিনের খুতবা প্রদান করবেন বিশিষ্ট আলেম শেখ সালেহ বিন হুমাইদ

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজকীয় ফরমান জারি করে তাকে এই দায়িত্ব প্রদান করেন। ইসলামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ জিলহজ, আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হাজিদের সামনে এই খুতবা প্রদান করবেন তিনি।

শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলার্স’-এর সদস্য এবং মসজিদুল হারামের সাবেক ইমাম। ইসলামি আইন, বিচার এবং দাওয়াতি কর্মকাণ্ডে তার অবদান বিশাল।

আরাফার দিন মসজিদে নামিরা থেকে প্রদত্ত খুতবাই হজের মূল আকর্ষণ ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দিনে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে, তাই এটি হাজিদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের আরাফাহ দিবস সম্ভাব্য ৫ জুন বৃহস্পতিবার পড়বে। এদিন ১৪৪৬ হিজরি বর্ষের ৯ জিলহজ হবে।

উল্লেখ্য, এই আরাফার ময়দানেই প্রিয় নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) তাঁর বিদায় হজের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেছিলেন।


ব্রাজিলের মাটিতে আনচেলত্তির নতুন যাত্রা শুরু

বিশ্বখ্যাত কোচ কার্লো আনচেলত্তি ব্রাজিলে পা রেখেছেন ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলের দায়িত্ব নিতে। তার আগমন ঘিরে ব্রাজিলের ফুটবল অঙ্গনে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা। ভিন্ন সংস্কৃতি ও কৌশলের সংমিশ্রণে কী পরিবর্তন আনবেন আনচেলত্তি? বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।


পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল জাতীয় দলের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে রিও ডি জেনেইরোতে পৌঁছেছেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি কার্লো আনচেলত্তি। রোববার (২৫ মে) রাতে একটি প্রাইভেট বিমানে তিনি ব্রাজিল পৌঁছান বলে জানিয়েছে গোলডটকম।

বিমানবন্দরে পৌঁছালেও আনচেলত্তির জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনার আয়োজন করা হয়নি। তার সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্য এবং কোচিং স্টাফের কয়েকজন সদস্য।

ব্রাজিলে পা রেখেই আনচেলত্তি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ দুই ম্যাচ—ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে—দল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) ইতিমধ্যে বিশ্বকাপ পর্যন্ত এই অভিজ্ঞ কোচের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে।

৫ জুন ইকুয়েডরের বিপক্ষে আনচেলত্তির অধীনে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ, এরপর ১০ জুন মারাকানায় প্যারাগুয়ের মুখোমুখি হবে দলটি। বর্তমানে সেলেসাও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, শীর্ষে থাকা আর্জেন্টিনার চেয়ে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে।

আনচেলত্তির আগমন ঘটলো এমন সময়ে, যখন ব্রাজিল ফুটবলে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে পদচ্যুত হওয়া সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এদনালদো রদ্রিগেজের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন সামির শাউদ। সিবিএফ এক বিবৃতিতে আনচেলত্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, “ব্রাজিল এখন আপনারই ঘর। স্বাগতম, কার্লো আনচেলত্তি।”


টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ঠিকাদার

টাঙ্গাইলে এক ঠিকাদারের ওপর সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ববিরোধ কিংবা চাঁদাবাজির জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনায় ঠিকাদার গুরুতর আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।


টাঙ্গাইল শহরের বেলটিয়াবাড়ী মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মোশতাক আহম্মেদ রানা (৫৫)। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শহরের পলাশতলী এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসান সাদিক জানান, ঘটনার সময় মোশতাক আহম্মেদ রানা সহ পাঁচজন ঠিকাদার একটি দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ করে ৬-৭ জনের একটি সশস্ত্র দল তাকে দোকান থেকে ডেকে নেয় এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দুইটি রিভলভার দিয়ে চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়

গুরুতর আহত অবস্থায় রানাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাশিম রেজা জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে এবং চিকিৎসা চলমান।

পরিবারের সদস্যদের ধারণা, জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ বা ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হামলা হয়ে থাকতে পারে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহাম্মেদ বলেন, হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ফাঁকা গুলির বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়, তবে প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকীও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন


আমেরিকায় পৃথক বন্দুক হামলায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ১২

যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পৃথক বন্দুক হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। হামলাগুলো বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংঘটিত হয় এবং স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বন্দুক সহিংসতা নিয়ে জনমনে আবারও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হামলার বিস্তারিত ও তদন্ত অগ্রগতি জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।


যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও সাউথ ক্যারোলিনায় পৃথক বন্দুক হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ মে) ও রোববার (২৫ মে) এই দুটি ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রথম ঘটনা ঘটে লস অ্যাঞ্জেলসের ফ্লোরেন্স অ্যাভিনিউ এলাকায়, যেখানে শনিবার সন্ধ্যায় গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন এবং একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে।

পরের দিন রোববার রাতে সাউথ ক্যারোলিনার লিটল রিভারে একটি আবাসিক এলাকায় আরেকটি বন্দুক হামলা ঘটে, যাতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হন। গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারী পালিয়ে যায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে এলাকায় অভিযান চালানো হয় এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, তবে মূল হামলাকারী তারা কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন এবং বর্তমানে সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকি নেই। তবে হামলার পেছনের কারণ কিংবা হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি তারা।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তারপরও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতাও সহিংসতার পেছনে বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


সাবেক ডিসি-এসপিসহ সাতক্ষীরায় ২৫ জনের নামে লুটপাটের মামলা

সাতক্ষীরায় সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) সহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নাম থাকায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।


সাতক্ষীরায় সাবেক ডিসি নাজমুল আহসানসাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দাখিল করেন জেলা সদরের বৈচনা গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুল্লাহ, যিনি মাদার সরদারের পুত্র। মামলায় তিনি এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

আদালতের বিচারক মায়নুদ্দিন ইসলাম মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপের জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, তৎকালীন ওসি ইনামুল হক, পুলিশের আরও ১৫ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী

বাদী ওবায়দুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং বুলডোজার ব্যবহার করে ধ্বংসসাধন করা হয়। তাঁর অভিযোগ, তৎকালীন জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় এবং পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রভাবে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর পর ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর মক্কেল। তিনি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ আদায়ের আবেদন জানান।


Exit mobile version