যুক্তরাষ্ট্রে দুটি পৃথক বন্দুক হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছে। হামলাগুলো বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সংঘটিত হয় এবং স্থানীয় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বন্দুক সহিংসতা নিয়ে জনমনে আবারও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হামলার বিস্তারিত ও তদন্ত অগ্রগতি জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস ও সাউথ ক্যারোলিনায় পৃথক বন্দুক হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ মে) ও রোববার (২৫ মে) এই দুটি ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রথম ঘটনা ঘটে লস অ্যাঞ্জেলসের ফ্লোরেন্স অ্যাভিনিউ এলাকায়, যেখানে শনিবার সন্ধ্যায় গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন এবং একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। হামলার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি চালিয়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে।
পরের দিন রোববার রাতে সাউথ ক্যারোলিনার লিটল রিভারে একটি আবাসিক এলাকায় আরেকটি বন্দুক হামলা ঘটে, যাতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হন। গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলেও হামলাকারী পালিয়ে যায়। সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করতে এলাকায় অভিযান চালানো হয় এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, তবে মূল হামলাকারী তারা কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন এবং বর্তমানে সাধারণ মানুষের জন্য ঝুঁকি নেই। তবে হামলার পেছনের কারণ কিংবা হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানায়নি তারা।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা ঠেকাতে বিভিন্ন সময় সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, তারপরও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতাও সহিংসতার পেছনে বড় কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।