“টাঙ্গাইলে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু”

টাঙ্গাইলে ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৩ জন। সকালবেলার এই দুর্ঘটনায় সড়কে নেমে আসে শোকের ছায়া। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। দুর্ঘটনার কারণ ও হতাহতদের পরিচয় শনাক্তে তদন্ত চলছে।


টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার করাতিপাড়া বাইপাসে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একই পরিবারের তিন সদস্য। মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঢাকার দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস চলন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শেরপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন এবং তার দুই ছেলে আতুল ও অতুল।

বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতরা ঈদ উপলক্ষে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। করটিয়া এলাকায় পৌঁছে নাস্তার জন্য বিরতি নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, করাতিপাড়া বাইপাস এলাকায় পৌঁছে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

ঘটনায় আরও দুইজন গুরুতর আহত হন, যাদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে জামুর্কি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ঠিকাদার

টাঙ্গাইলে এক ঠিকাদারের ওপর সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ববিরোধ কিংবা চাঁদাবাজির জেরে এ হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঘটনায় ঠিকাদার গুরুতর আহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন পুরো প্রতিবেদন।


টাঙ্গাইল শহরের বেলটিয়াবাড়ী মোড়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মোশতাক আহম্মেদ রানা (৫৫)। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শহরের পলাশতলী এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাসান সাদিক জানান, ঘটনার সময় মোশতাক আহম্মেদ রানা সহ পাঁচজন ঠিকাদার একটি দোকানে বসেছিলেন। হঠাৎ করে ৬-৭ জনের একটি সশস্ত্র দল তাকে দোকান থেকে ডেকে নেয় এবং লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দুইটি রিভলভার দিয়ে চার-পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়

গুরুতর আহত অবস্থায় রানাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাশিম রেজা জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে এবং চিকিৎসা চলমান।

পরিবারের সদস্যদের ধারণা, জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ বা ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরেই এ হামলা হয়ে থাকতে পারে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহাম্মেদ বলেন, হামলার বিষয়ে তদন্ত চলছে। ফাঁকা গুলির বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়, তবে প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকীও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন


Exit mobile version