দীর্ঘ বিরতির পর মালয়েশিয়ায় আবার কর্মসংস্থান পাচ্ছে বাংলাদেশিরা

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েছে। নতুন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হবে শিগগিরই। কর্মসংস্থানের এই সুযোগ হাজারো প্রবাসীর আশার আলো হয়ে এসেছে। বিস্তারিত জানুন নতুন চুক্তি, শর্তাবলী ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে।


বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী ছয় বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বিনা খরচে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও’র সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে নীতিগতভাবে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া, তবে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

জানা গেছে, নেপাল ও মালদ্বীপসহ আরও পাঁচটি দেশ থেকেও শ্রমিক নিতে আগ্রহী মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করতে ২১ মে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধ করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এর আগে, গত বছর অক্টোবরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট, প্রযুক্তি, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

[আরোও পড়ুনঃচিলমারীতে বোরো ধান ও চাল ক্রয়] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ড. ইউনূসকে “বন্ধু” বলে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বলেন, “বাংলাদেশি কর্মীরা আধুনিক দাস নয়। আমরা তাদের সম্মান ও সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার অবশেষে খুলতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। কারণ, মালয়েশিয়ায় গড় বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি এবং বৈধভাবে রপ্তানি করা কর্মীদের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়বে।

[আরোও পড়ুনঃরাঙামাটিতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সরকারি সফরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া এবং উপসচিব মো. সারওয়ার আলম।


সীমান্তে অনুপ্রবেশের পর পাকিস্তানে ধরা পড়ে বিএসএফ সদস্য

পাকিস্তানে আটক ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানকে নিরাপদভাবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর তাঁকে আটক করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে তাকে ফেরত আনা হয়। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ মানবিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


১৪ মে, বুধবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান, যিনি ইউনিফর্মে সজ্জিত ও রাইফেলসহ পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন, তাকে আজ আটারি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিএসএফ জানায়, গত ২৩ এপ্রিল থেকে তিনি পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন এবং আজ সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অমৃতসরের জয়েন্ট চেক পোস্টে শান্তিপূর্ণভাবে এবং প্রোটোকল অনুসারে হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর একদিন পর, পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে নিযুক্ত ৪০ বছর বয়সী ওই বিএসএফ সদস্য ‘অসাবধানতাবশত’ সীমান্ত অতিক্রম করেন। ওই হামলার কারণে সীমান্তে অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যার ফলে তার প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হয়।

[আরোও পড়ুনঃছাত্রদল নেতার খুন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ৩,৩২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের নিরাপত্তা বিএসএফের দায়িত্বে। টহলরত অবস্থায় ভুলবশত সীমান্ত পার হওয়ার ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটেই থাকে। সাধারণত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ ধরনের ইস্যু সমাধান করা হয়ে থাকে।


কূটনৈতিক পদক্ষেপে পারমাণবিক উত্তেজনা এড়াল ভারত ও পাকিস্তান

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়। পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শেষমেশ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ এক ধ্বংসাত্মক সংঘাত এড়াতে সক্ষম হয়, যা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য বড় সাফল্য।


শনিবার, ১০ মে রাত ২টা ৯ মিনিটে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে একটি বিমানঘাঁটির কাছে থাকা বাসিন্দা আহমাদ সুবহান প্রথম বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনে চমকে উঠেন। তার বাড়ির জানালাগুলো কেঁপে ওঠে। ওই মুহূর্তেই দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ভয়াবহ সংকেত ধরা দেয়।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনা এ রাতে রূপ নেয় এক চূড়ান্ত সংঘাতে। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ জুড়ে শুরু হয় যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্রের গতি–প্রতিযোগিতা। পারমাণবিক শক্তিধর এ দুই দেশের মাঝে সম্পর্ক এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায়।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জানায়, পারমাণবিক কমিটি জরুরি বৈঠকে বসবে বলে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। ভোররাত পর্যন্ত আট ঘণ্টা ধরে ভারতের চালানো হামলায় পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ছিল নূর খান বিমানঘাঁটি, যা ইসলামাবাদের খুব কাছেই অবস্থিত এবং জনবসতি অধ্যুষিত এলাকায় পড়ে।

আহমাদ সুবহান জানান, প্রথম বিস্ফোরণের পর তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাইরে বের হয়ে আসেন। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “ঠিক কী ঘটছে তা বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি বিস্ফোরণ হয়। আমি তখন ফোন ধরতে যাচ্ছিলাম, সময়টা একদম মনে আছে।”

এই উত্তেজনার শুরু হয়েছিল সম্ভাব্য যুদ্ধের ভয় নিয়ে। তবে সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এর পরই যুদ্ধের শঙ্কা অনেকটাই কেটে যায়।

[আরোও পড়ুনঃগাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৮১] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

রয়টার্সের অনুসন্ধান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও পাকিস্তানের অন্তত ১৪ জন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার এবং তিন দেশের রাজধানী থেকে প্রকাশিত সরকারি বিবৃতির বিশ্লেষণে উঠে এসেছে—যে কিভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে এবং সমান্তরালে সক্রিয় হয় কূটনৈতিক তৎপরতা। এ সংকট নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ।


হাসপাতালেও রেহাই নেই, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যু ৮১

গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের সামরিক হামলায় এক রাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮১ জন। সাধারণ নাগরিক ও রোগীদের লক্ষ্য করে চালানো এই নৃশংস হামলায় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।


গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা আক্রমণে আবারও একদিনে প্রাণ হারালেন অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি। দক্ষিণ গাজার দুটি হাসপাতালের পাশে চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি, যার মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও ছিলেন। অন্যদিকে, উত্তর গাজায় মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা হামলায় কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

গাজা জুড়ে হামলার মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুধুমাত্র মধ্যরাত থেকে উত্তর গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৫ জন, অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ছয়জন।

[আরোও পড়ুনঃবিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

দক্ষিণ গাজার ইউরোপিয়ান ও নাসের হাসপাতালের আশপাশে চালানো হামলাতেই নিহত হন ৩০ জন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫২,৯০৮ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১,১৯,৭২১ জন। চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় নিহত হয়েছেন ২,৭৮০ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৭,৭০০ জন।

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেই ইসরায়েল নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত।

[আরোও পড়ুনঃক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছেন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে গাজায় সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এ ছাড়া, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে মামলাও চলছে।


জাপানের সাথে বাংলাদেশের পরিকল্পিত বৈঠক স্থগিত, কি বলছে উভয় পক্ষ?

বাংলাদেশ ও জাপানের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের কূটনৈতিক বৈঠক স্থগিত হয়েছে। জানুন এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ, সম্ভাব্য প্রভাব এবং উভয় দেশের সম্পর্কে এর তাৎপর্য। এই বৈঠক স্থগিত হওয়ায় কূটনৈতিক অ্যাজেন্ডায় কী পরিবর্তন আসছে? বিস্তারিত তথ্য ও বিশ্লেষণ পড়ুন আমাদের প্রতিবেদনে।


বাংলাদেশ-জাপান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক স্থগিত

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে নির্ধারিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১২ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বৈঠকটি আগামী ১৫ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

[আরোও পড়ুনঃসতর্ক হোন এখনই] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, “পরবর্তীতে দুই দেশের জন্য সুবিধাজনক সময়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।” বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জাপানি দূতাবাসকে অনুরোধ করেছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে।

[আরোও পড়ুনঃজামায়াতের নিবন্ধন ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা চলতি মাসের শেষে জাপান সফরে যাচ্ছেন। এ সফরে তিনি নিক্কেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। স্থগিত হওয়া পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক চুক্তিসমূহের বাস্তবায়ন পর্যালোচনাও এ বৈঠকের এজেন্ডায় ছিল।


বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ”

“মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমদানি খাতে কী প্রভাব পড়বে? বাণিজ্য ঘাটতি কমবে নাকি ভোক্তাদের জন্য পণ্য সাশ্রয়ী হবে? বিস্তারিত জানুন আমাদের বিশ্লেষণে।”


যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার মার্কিন পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির জন্য শুল্ক হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য ১০০টি পণ্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩৬.৫২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের তুলা আমদানি করেছে, যা মোট আমদানিকারিত তুলার ১৫%। তবে এলপিজি আমদানিতে মার্কিন অংশগ্রহণ মাত্র ২.৭%। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সয়াবিন, গম, ভুট্টা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো পণ্যে আমদানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃপাকিস্তানের প্রস্তাব নাকচ করে দিল] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতি অনুসরণ করে শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করছি। আগামী সপ্তাহেই আমাদের প্রস্তাবনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ইতোমধ্যে কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে নকল সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে। সম্প্রতি ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বোয়িং উড়োজাহাজ ও জিএম গাড়ি আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ চরিত্রে অভিনব পরিবর্তন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দূত জেমিসন গ্রেয়ার তার চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার ও ডিজিটাল বাণিজ্য নীতির উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে পারে।


“পাকিস্তানের প্রস্তাব নাকচ করে দিল ভারত ও আফগানিস্তান”

“ভারত ও আফগানিস্তান যৌথভাবে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। জানুন কী ছিল পাকিস্তানের দাবি, কেন তা নাকচ করলো দুই দেশ এবং এই সিদ্ধান্তের আঞ্চলিক প্রভাব। এই রাজনৈতিক সংকটের পটভূমি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ বিশ্লেষণ পড়ুন।”


ভারত-আফগানিস্তানের জবাবে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র দাবি খারিজ

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর করা ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আফগানিস্তানে পড়ার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত ও আফগানিস্তান। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম খামা প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ গণঅধাকারের আইনি চ্যালেঞ্জ] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার বিবরণ:

  • পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন ভারতের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আফগান ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে
  • তিনি এটিকে “অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা” বলে অভিহিত করেন
  • ভারত ও আফগানিস্তান একযোগে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে

ভারতের জবাব:
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট জানিয়েছেন:

  • “পাকিস্তানের এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”
  • “ভারত কোনোভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলির সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে না”
  • “এ ধরনের অভিযোগ আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা মাত্র”

আফগানিস্তানের অবস্থান:
তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন:

  • “আফগান ভূখণ্ডে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেনি”
  • “দেশ সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্থিতিশীল”
  • “পাকিস্তানের এমন দাবি বাস্তবতাবিবর্জিত”

বিশ্লেষকদের মতামত:
আঞ্চলিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন:

  • এটি পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক কৌশল
  • আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা
  • ভারত-আফগান সম্পর্ককে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

  • জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি
  • মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে
  • চীন উভয় পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে

“ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত শান্তিতে বৈশ্বিক নেতাদের প্রশংসা”

“ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে বিশ্বনেতারা প্রশংসা ব্যক্ত করেছেন। জানুন কীভাবে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ এই শান্তি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পড়ুন।”


ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: বিশ্বনেতাদের প্রশংসা ও উত্তেজনার পটভূমি

গত কয়েক দিনের তীব্র সামরিক সংঘাতের পর ভারত ও পাকিস্তান একটি ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা করেছে। গতকাল শনিবার এই সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

[আরোও পড়ুনঃ ন্যায়বিচারের দাবিতে অনড়] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার সূত্রপাত:

  • ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা
  • হামলায় ২৬ জন নিহত
  • ভারত পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে, পাকিস্তান তা প্রত্যাখ্যান করে

সামরিক সংঘাতের বিবরণ:

  • ভারত পাকিস্তানের ৬টি স্থানে ২৪টি হামলা চালায়
  • পাকিস্তানের দাবি, ৩৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৭৬ জন আহত
  • পাকিস্তান ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে
  • নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর তল্লাশি চৌকিতে হামলা

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি
  • তুরস্ক সংলাপের জন্য যুদ্ধবিরতির সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান
  • সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান
  • ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি উত্তেজনা প্রশমনের গুরুত্ব তুলে ধরেন

Exit mobile version