“রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জাপার নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গণঅধাকারের আইনি চ্যালেঞ্জ”

“গণঅধিকার পার্টি জাপার নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দাখিল করতে যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও আইনি লড়াইয়ের নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। জাপার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে ইসির সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে। বিস্তারিত জানুন গণঅধাকারের এই আইনি চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে।”


গণঅধিকার পরিষদের জোরালো দাবি: আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিল চাই

গণঅধিকার পরিষদ আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ ও জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। রোববার (১১ মে) দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্ব এ সংক্রান্ত তাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। আগামীকাল সোমবার (১২ মে) নির্বাচন কমিশনে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবে সংগঠনটি।

সরকারি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের কিছু উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের প্রতি “নমনীয়” আচরণ করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বিশেষভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ভূমিকাকে “পুরোপুরি ব্যর্থ” বলে উল্লেখ করেন। “যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করছেন, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে,” বলেন তিনি।

নিবন্ধন বাতিল চেয়ে ইসিতে অভিযোগ দেবে গণঅধিকার : ফাইল ছবি

জাতীয় সরকার গঠনের জোর দাবি
সংগঠনের নেতা নুরুল হক নুর জোর দিয়ে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে জাতীয় সরকারে রূপান্তর করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শক্তিশালী ভূমিকায় আনতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ এ সময়ের প্রধান দাবি।” তিনি জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর ও অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ারও তাগিদ দেন।

[আরোও পড়ুনঃ অল্প টাকায় ব্যবসা] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ: প্রশংসা ও বাড়তি দাবি
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান সরকারের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্তকে “প্রাথমিক বিজয়” বলে অভিহিত করেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে। নিষিদ্ধকরণ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
সংগঠনটি জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের “দোসর” হিসেবে অভিহিত করে এর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানায়। নুরুল হক নুর স্পষ্ট করেন, “জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা ইসিতে আমাদের অভিযোগপত্র জমা দেব।”

[আরোও পড়ুনঃ টেইটের বাংলাদেশ আগমন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সরকারি সংস্কারের আহ্বান
নুরুল হক নুর উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন ও সংস্কারের ওপর জোর দেন। তার মতে, “বর্তমান কাঠামোয় জনগণের আস্থা ফেরানো সম্ভব নয়।” তিনি সরকারকে দ্রুত অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা
গণঅধিকার পরিষদ আগামী সপ্তাহে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ ছাড়া তারা মাঠে নামতে থাকবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version