বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্যে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপ”

“মার্কিন পণ্যের আমদানি বাড়াতে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপে আমদানি খাতে কী প্রভাব পড়বে? বাণিজ্য ঘাটতি কমবে নাকি ভোক্তাদের জন্য পণ্য সাশ্রয়ী হবে? বিস্তারিত জানুন আমাদের বিশ্লেষণে।”


যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষায় বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগ

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সরকার মার্কিন পণ্যের আমদানি বৃদ্ধির জন্য শুল্ক হ্রাসসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়ার চিন্তা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য ১০০টি পণ্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের বাণিজ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩৬.৫২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের তুলা আমদানি করেছে, যা মোট আমদানিকারিত তুলার ১৫%। তবে এলপিজি আমদানিতে মার্কিন অংশগ্রহণ মাত্র ২.৭%। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সয়াবিন, গম, ভুট্টা, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো পণ্যে আমদানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃপাকিস্তানের প্রস্তাব নাকচ করে দিল] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এমএফএন নীতি অনুসরণ করে শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করছি। আগামী সপ্তাহেই আমাদের প্রস্তাবনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ইতোমধ্যে কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।

এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অফিসে নকল সফটওয়্যার ব্যবহার বন্ধ এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করছে। সম্প্রতি ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বোয়িং উড়োজাহাজ ও জিএম গাড়ি আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ চরিত্রে অভিনব পরিবর্তন] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দূত জেমিসন গ্রেয়ার তার চিঠিতে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার ও ডিজিটাল বাণিজ্য নীতির উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দিতে পারে।


Exit mobile version