“ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীনের কৌশলগত সুবিধা বাড়ছে!”

“ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই চীন কীভাবে কৌশলগত ও রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করছে? বিশ্লেষণে উঠে এসেছে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির গোপন পরিকল্পনা। জানুন, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে চীনের ভূমিকা, আঞ্চলিক প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা। বিস্তারিত পড়ুন এখনই!”


চীনের জে-টেন যুদ্ধবিমান: ভিগোরাস ড্রাগনের সাফল্য

ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আকাশযুদ্ধে চীনের তৈরি জে-টেন (JF-17 থান্ডার) যুদ্ধবিমান বড় ভূমিকা রাখে, যা “ভিগোরাস ড্রাগন” নামেও পরিচিত। উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি ও টার্গেটিং সিস্টেমে সজ্জিত এই বিমান দিয়ে পাকিস্তান ভারতের রাফালেসহ ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি করেছে। এই সংঘাতকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

যদিও যুদ্ধবিরতির পর উত্তেজনা কমেছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংঘাতের সবচেয়ে বড় বিজয়ী চীন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন এই যুদ্ধ থেকে মূল্যবান গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং তাদের যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতা পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছে।

সিঙ্গাপুরের নিরাপত্তা বিশ্লেষক আলেকজান্ডার নেইল বলেন, চীন ইতিমধ্যেই মহাকাশ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে। ভারত-পাকিস্তান সংঘাত তাদের জন্য একটি কৌশলগত সুযোগ ছিল, বিশেষ করে যখন তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সরাসরি জড়িত।

[আরোও পড়ুনঃ পাকিস্তানের চাঞ্চল্যকর দাবি] >> [ইউটিউবে খবর দেখুন]

জে-টেনের সাফল্য আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাজারে চীনের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। তাদের ডিফেন্স স্টক ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং পশ্চিমা দেশগুলোর (যেমন ফ্রান্সের রাফালে) বিক্রিতে চাপ তৈরি হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ফিশার বলেন, “পাকিস্তানের হাতে জে-টেনের সফলতা চীনের সামরিক প্রযুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।”

[আরোও পড়ুনঃ “বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ”] >>

[ইউটিউবে খবর দেখুন]

এছাড়াও, চীন সিপিইসি (চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর) এবং স্ট্রিং অব পার্লস প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। এই সংঘাত পাকিস্তানকে সমর্থন করে চীন তার কৌশলগত মিত্রতা আরও সুদৃঢ় করেছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version