বিল থেকে উদ্ধার মৃতদেহে সহিংসতার ইঙ্গিত, তদন্তে পুলিশ

একটি বিল থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে, তবে তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে লাশ শনাক্তের চেষ্টা চলছে। রহস্যঘন এই মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে এবং এলাকাবাসীর দৃষ্টি এখন তদন্তের দিকে।


নড়াইলের কাউলিডাঙ্গা বিলে যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাউলিডাঙ্গা বিল থেকে সালমান খন্দকার (২৪) নামে এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত সালমান লোহাগড়ার শামুকখোলা গ্রামের বাসিন্দা খাজা খন্দকারের ছেলে ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সালমান বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রামকান্তপুর মধুমতি নদীর পাড়ে পিকনিক করেন। পরে বাড়ি ফিরে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার বের হয়ে গেলে রাতেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তার ফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সকালে কাউলিডাঙ্গা বিলে একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে সালমানের পরিবার তার মরদেহ শনাক্ত করে।

[আরোও পড়ুনঃরাঙামাটির হাটে মৌসুমি উৎসব] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার কারণ ও দায়ীদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।


রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে হামলা ও সহিংসতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সহিংসতার উৎস ও এর পেছনের কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ মোট ৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদ, এবং এটি গত মঙ্গলবার রাতে দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০-১০০ জনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাফিউল হাসানকে ৪৩ নম্বর এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মোকতারুল ইসলামকে ৪৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে মোকতারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[আরোও পড়ুনঃঅল্প টাকায় ব্যবসা, বেশি মুনাফা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে চলমান একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর হামলা করা হয় এবং ১৬ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও বহিরাগতরা রড, লাঠি, ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া মোকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।


মুন্সীগঞ্জে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজন কারাবন্দি

মুন্সীগঞ্জে ঘটে যাওয়া আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় আদালত ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রায়ের সময় বলেন, এই দণ্ড সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হবে। নিহতদের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করলেও, আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।


মুন্সীগঞ্জে সালিশ বৈঠকে সংঘটিত তিন হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনকে যাবজ্জীবন এবং দশজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৮ মে), ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ করিম এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সৌরভ প্রধান, রনি বেপারী ও শিহাব প্রধান। যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন—শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান এবং ছোট জাহাঙ্গীর।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত শিহাব, শাকিব ও শামীম আপন ভাই।

[আরোও পড়ুনঃ‘কমপ্লিট শাটডাউন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

ঘটনার পেছনের বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মুন্সীগঞ্জের উত্তর ইসলামপুরে কিশোরদের মধ্যে বিরোধের জেরে রাতে সালিশ ডাক হয়। সেখানে সৌরভ, শিহাব ও শামীমের পক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধান (৪০)।

পরদিন নিহত মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও অজ্ঞাত ১০–১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।


বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের দাবি ঘিরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জেরে প্রতিষ্ঠানটির সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নানা অভিযোগ ও অসন্তোষের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কলেজ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’-এর সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে।


🔻 ছয় দফা দাবিতে বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের শাটডাউন আন্দোলন

বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে বুধবার (৭ মে) সকাল ৯টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন। কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ঘোষণা—দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৬ মে) একই দাবিতে কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষকদের বাধা ও হামলার অভিযোগ ওঠে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, কিছু শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী তাদের উপর শারীরিকভাবে হামলা চালিয়েছেন। এতে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

[আরোও পড়ুনঃ উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন ধাপ] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী শুভ বলেন, “আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দাবি জানিয়েছিলাম, অথচ বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। দাবি মানা ও হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন থামাব না।”
আরেক শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং একটি ভুল পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। কিন্তু কিছু শিক্ষক আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন।”

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  1. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিতকরণ,
  2. ইন্টার্নশিপ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা,
  3. পর্যাপ্ত শিক্ষক ও আধুনিক ল্যাব সুবিধা,
  4. আবাসন সংকটের সমাধান,
  5. শিক্ষার মানোন্নয়ন,
  6. নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন নিশ্চিত করা।

ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত ৬ বিএনপি কর্মী, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা

জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই ছুরিকাঘাতের শিকার হন বিএনপির ৬ নেতাকর্মী। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা দলবল নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায়, যেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা আগে থেকেই বিরাজ করছিল। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।


🔻 জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের বরিশালে যুবলীগ নেতার হামলা, আহত ৬ বিএনপি নেতাকর্মী

বরিশালে আবারও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। জামিনে মুক্তি পেয়েই যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলআমিন ছুরিকাঘাত করেন বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে। গত রোববার (৪ মে) গভীর রাতে স্টেডিয়াম কলোনি এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা বর্তমানে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদাউস হাওলাদার, শ্রমিক দলের ওয়ার্ড সম্পাদক আসলাম, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম রাজা, কর্মী শাহিন, কাওসার ও রাজিব খান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলআমিন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা, জমি দখল এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত। একসময় তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মজিবর রহমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াতেই এ হামলা চালানো হয়েছে।

[আরোও পড়ুনঃ ভয়াবহ দুর্ঘটনা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]


আসলামের ভাই আবদুর রহিম বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিলেও এলাকায় আলআমিন বাহিনীর দাপট আগের মতোই চলছে।” তিনি আরও জানান, হামলার পর তারা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বরও স্টেডিয়াম কলোনিতে একই কায়দায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছিলেন আলআমিন। সে সময় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে আক্রমণের ঘোষণা দেন তিনি।

ঘটনার বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, আলআমিনের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।


হাসপাতাল যাওয়ার পথে সড়কে থেমে গেল তিনটি প্রাণ

রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। দুর্ঘটনাটি ঘটে আজ ভোরে ব্যস্ত মহাসড়কে। নিহতদের মধ্যে রোগী ছাড়াও ছিলেন গাড়ির চালক ও এক স্বজন। আহত আরও কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অতিরিক্ত গতি ও ওভারটেকিংয়ের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত চলছে।


মেহেরপুরের গাংনীতে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস ও দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে গাংনী-কুষ্টিয়া সড়কের শুকুরকান্দি এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন গাংনীর পশ্চিম মালশাদহ গ্রামের জামাল উদ্দিন (৫৫), যিনি মাইক্রোবাসটির চালক ও মালিক; গাঁড়াডোব গ্রামের শাহিনুজ্জামান (৪৫); এবং সদর উপজেলার নজরুল ইসলামের স্ত্রী আক্তার বানু (৪৫)।
আহতরা হলেন গোলাপি খাতুন, ফজিলা খাতুন এবং আলফাতুন নেছা।

জানা গেছে, শাহিনুজ্জামানের দাদি ফজিলা খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময়, শুকুরকান্দি এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্প ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটি।

[আরোও পড়ুনঃ জলবায়ু পরিবর্তন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

দুর্ঘটনার পর আহতদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়ার পথে আক্তার বানুর মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চালক জামাল উদ্দিন ও শাহিনুজ্জামানও মৃত্যুবরণ করেন।

গাংনী থানার ওসি বানী ইসরাইল জানিয়েছেন, গাড়িটি রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মনপুরায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগ

ভোলার মনপুরায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে “জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব” শীর্ষক এক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুর পরিবর্তন কীভাবে মানুষের জীবন ও জীবিকাকে প্রভাবিত করছে, তা তুলে ধরা হয় আলোচনায়। স্থানীয় জনগণ, পরিবেশবিদ ও শুভসংঘের স্বেচ্ছাসেবীরা এতে অংশ নেন। সভায় জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়।


ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার হাজীরহাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজ মঙ্গলবার (৬ মে) জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আয়োজনটি করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ মনপুরা উপজেলা শাখা।

বিদ্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত সভায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ক একটি তথ্যপূর্ণ লিফলেট বিতরণ করা হয়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং প্রতিকারমূলক করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক হবে। বক্তারা উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন কতটা হুমকির, সে বিষয়ে আলোচনা করেন। একই সঙ্গে তারা দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি, পানি সংরক্ষণ, বাঁধ নির্মাণ, গাছ লাগানো, পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জন ইত্যাদি বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন শুভসংঘের উপজেলা সভাপতি মো. ফজলে রাব্বী। তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সচেতন হতে হবে এবং নিজেদের অভ্যাসে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।”

সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান সোয়েব বলেন, “এই সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু সমস্যাই নয়, পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছে।”

[আরোও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সামি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোনালিসা, দপ্তর সম্পাদক মিতু রানী দাস, নারী বিষয়ক সম্পাদক তানজিলা রহমান, ইভেন্ট সম্পাদক হাবিবা আক্তার জুঁই, প্রচার সম্পাদক নাসরিন বেগম, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক নাজমিন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. জাহিদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুল্লাহ আহাদ, আপ্যায়ন সম্পাদক জাফরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিয়ামসহ অন্যান্য সদস্যরা।

বসুন্ধরা শুভসংঘ দেশের নানা প্রান্তে পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়নের লক্ষ্যে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যার অংশ হিসেবেই এই আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।


গাজীপুরে মর্মান্তিক গ্যাস বিস্ফোরণ: নিহত ৫

গাজীপুরের এই মর্মান্তিক ঘটনা একটি পরিবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা ও সরকারি পর্যায়ে কঠোর নজরদারি এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে জরুরি। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পুনর্বাসনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।


গাজীপুরের জয়দেবপুরের মোগলখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (৪ মে) রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করে ১০ বছর বয়সী তানজিলা। এর আগে পারভিন আক্তার (৩৫), তার এক বছরের শিশুপুত্র আয়ান, সিমা আক্তার (৩০) এবং পাঁচ মাসের গর্ভবতী তাসলিমা বেগম (৩০) মারা যান।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ

গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোগলখাল এলাকায় রান্নার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটি আগুনে পুড়ে যায় এবং পাঁচ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রাত পৌনে ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসা ও মৃত্যুর ধারাবাহিকতা

  • শিশু আয়ান: এক বছরের শিশু আয়ান শনিবার প্রথম মারা যায়।
  • সিমা আক্তার: ৯০% দগ্ধ হয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
  • তাসলিমা বেগম: পাঁচ মাসের গর্ভবতী তাসলিমা ৯০% এর বেশি দগ্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মারা যান।
  • পারভিন আক্তার: রোববার সকালে মারা যান।
  • তানজিলা: ১০ বছর বয়সী তানজিলা ৯০% দগ্ধ হয়ে রোববার রাতে মারা যায়।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের করুন অবস্থা

এই ঘটনায় পরিবারটির একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য হলেন পারভিন আক্তারের স্বামী, যিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল এবং তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয়ভাবে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল।

[আরোও পড়ুনঃ প্রায় ১০ হাজার জনের ভিসার আবেদন এখনো সম্পন্ন হয়নি

গ্যাস সিলিন্ডার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

এই ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সিলিন্ডার ও গ্যাস লাইন চেকআপ, ভালো ভেন্টিলেশন এবং জরুরি অবস্থায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার এই ধরনের দুর্ঘটনা কমাতে পারে।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা

গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে


Exit mobile version