রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারকে হামলা ও সহিংসতার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সহিংসতার উৎস ও এর পেছনের কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে।


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকসহ মোট ৭১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হারুন অর রশিদ, এবং এটি গত মঙ্গলবার রাতে দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়াও পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০-১০০ জনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাফিউল হাসানকে ৪৩ নম্বর এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মোকতারুল ইসলামকে ৪৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে মোকতারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[আরোও পড়ুনঃঅল্প টাকায় ব্যবসা, বেশি মুনাফা] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে চলমান একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। ২০২৩ সালের ১১ জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদের ওপর হামলা করা হয় এবং ১৬ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও বহিরাগতরা রড, লাঠি, ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশ নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার হওয়া মোকতারুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।


রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় জোবাইদার প্রত্যাবর্তন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন জোবাইদা রহমান, যিনি রাজনৈতিকভাবে আলোচিত একটি নাম। তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা ও নানা জল্পনা। প্রবাস জীবন কাটিয়ে হঠাৎ করে দেশে ফেরা অনেকের নজর কেড়েছে। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। জোবাইদার ফেরা শুধুই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে আছে বৃহত্তর পরিকল্পনা—তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।


১৭ বছর পর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন ডা. জোবাইদা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে পা রাখলেন তিনি। এতদিন লন্ডনে স্বামী ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে প্রবাসজীবনে ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৬ মে) কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গেই দেশে আসেন দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। বিমানটি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে জোবাইদা রহমান, তার স্বামী তারেক রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ২০২৩ সালে আদালতের এক রায়ে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ওই সাজা স্থগিত হয়।

ফেরার পর তিনি ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন বলে জানা গেছে। প্রয়াত বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের এই বাড়িতেই অসুস্থ মায়ের সঙ্গে থাকবেন তিনি।

[আরোও পড়ুনঃ অচল মস্কোর বিমান চলাচল] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জনকারী জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএসে প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ছুটি শেষে ফিরে না আসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার চাকরিচ্যুতি করে।

সিলেট জেলায় জন্ম নেওয়া জোবাইদা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ভাতিজি। তার বাবা মাহবুব আলী ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের সময় মন্ত্রীও ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি।


Exit mobile version