উলিপুরের এক হৃদয়বিদারক বিকেলে একটি চাকার নিচে চিরতরে থেমে গেল সামিয়ার জীবন। স্কুলফেরত কিশোরীর এই করুণ পরিণতি শুধু তার পরিবারের নয়, পুরো সমাজের হৃদয়ে শোকের ছাপ ফেলেছে। জানুন কীভাবে একটি মুহূর্তে স্বপ্ন হয়ে গেল মৃত্যু—এই ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে আমাদের প্রতিবেদনে।
একটি শিশুর মৃত্যু মানে শুধুই একটি প্রাণ ঝরে যাওয়া নয়—এটি এক অসমাপ্ত সম্ভাবনার শেষ সুর, এক পরিবারের স্বপ্নভঙ্গ, এবং সমাজের দায়িত্ববোধের ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল, পাখির কিচিরমিচিরে মুখর ছিল চারপাশ। এমনই এক শান্ত বিকেলে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। সামিয়া আক্তার, মাত্র এক বছরের একটি শিশু, খেলতে খেলতে ঘরের বাইরে সামান্য দূরে গিয়েছিল।
হঠাৎই একটি ট্রাক্টর প্রচণ্ড শব্দে ছুটে আসে। কেউ খেয়াল করার আগেই ছোট্ট সামিয়াকে পিষে দেয় নির্মম সেই যন্ত্র। এক মুহূর্তেই থেমে যায় এক শিশুর প্রাণের উচ্ছ্বাস, নিস্তব্ধ হয়ে যায় একটি মায়ের আদরের কণ্ঠ।
তার মা তখনও ছিলেন সামনেই—চোখের সামনেই মেয়েটির নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে শুধু চিৎকারই করতে পারেন। সেই কান্না যেন ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে, প্রতিটি পথের ওপর।
হ্যাঁ, একটি শিশু মারা গেছে—এটি নিছক একটি সংবাদ নয়। এটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, কোথাও কোনো সুরক্ষা নেই, এমনকি নিষ্পাপ শিশুটির জন্যও, এক সাদামাটা বিকেলের মাঝেও।
আমরা কতটা উদাসীন হলে এমন ঘটনা ঘটে যেতে পারে? একটি ট্রাক্টর চালক কতটা বেপরোয়া হলে এমন অবহেলা করতে পারে? কে দেবে জবাবদিহি সামিয়ার নিঃশর্ত চলে যাওয়ার?