আওয়ামী লীগের মিছিল পরিচালনা করতে গিয়ে শাহে আলম মুরাদ গ্রেফতার | একদেশ পত্রিকা

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শাহে আলম মুরাদকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ৬ এপ্রিলের ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্ব, ছয়টি ফৌজদারি মামলা এবং ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে চলছে তদন্ত। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

শাহ আলম মুরাদ ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার, ঝটিকা মিছিলের নেতৃত্বের অভিযোগ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

আরেক যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের ৬ তারিখ সকালে ঢাকায় একটি ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাহে আলম। তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনাটি ঘটে ৬ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে, যখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট থেকে একটি আকস্মিক মিছিল বের করেন। তাঁদের দাবি ছিল, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় নেতাদের মুক্তি। মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয় এবং সেই ঘটনার ভিডিও পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ মানুষের আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা গা-ঢাকা দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে অবস্থানরত এইসব নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

শেখ হাসিনা ও জয়: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নতুন আদেশ, একদেশ পত্রিকা

রাজউকের প্লট বরাদ্দ দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। ঢাকার আদালত দুদকের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন।


ফাইল ছবি

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমি বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত দুটি পৃথক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দাখিলকৃত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন। এর মধ্যে একটি মামলায় ১২ জন এবং অপর মামলায় ১৭ জন আসামি রয়েছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা।

দুদকের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীতে নিজস্ব সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহরে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। একই পদ্ধতিতে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কেও পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।

Call for Ad – Banner
Call for Ad+88 01400 84 0008

ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে অস্ত্রসহ আটক, পালানোর সময় পিস্তলসহ ধরা পড়ল একজন: একদেশ পত্রিকা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি, জনতা কর্তৃক পিস্তল ও গুলিসহ একজন আটক। সোমবার রাতে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত কোয়েল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখের রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পৌর সুপার মার্কেটের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। সোমবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে কোয়েল মোল্লা (২৮) নামের একজনকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ আটক করতে সক্ষম হয়। কোয়েল ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বাসিন্দা। জনতার গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত কোয়েল বর্তমানে পুলিশি তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় শামীম হোসেন, পৌর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি হারুনুর রশিদ সজল এবং বায়োজীদসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি দোকানের সামনে গল্প করছিলেন। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে কোনো কথা ছাড়াই শামীমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করে। উপস্থিত জনতা ও শামীমের সঙ্গীরা তাদের ধাওয়া করলে একজন ধরা পড়ে, বাকিরা পালিয়ে যায়।
ধরা পড়া কোয়েলকে উত্তেজিত জনতা মারধর করলে তিনি জ্ঞান হারান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পৌর যুবদলের নেতা হারুনুর রশিদ সজল জানান, তারা যখন গল্প করছিলেন, তখন হেলমেট পরিহিত একজন আগন্তুক শামীমকে চিহ্নিত করে গুলি করার নির্দেশ দেয়। এরপরই এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। তারা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন এবং শামীম মাটিতে শুয়ে পড়েন। ধাওয়া করার সময় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সজল আরও দাবি করেন, গুলি করার সময় তিনি একজনকে চিনতে পেরেছিলেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখে তার কোমরে থাকা রিভলভার ফেলে দিতে দেখলে তাকে ধরে ফেলেন।
আহত শামীম হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ওসি মইনুল ইসলাম জানান, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি রিভলভার, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনাটিকে একটি পরিকল্পিত হামলা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ সংবাদ – এক দেশ

এক দেশ পত্রিকার সর্বশেষ

লোড হচ্ছে…

Exit mobile version