ছাত্রদল নেতাকে গুলি করে অস্ত্রসহ আটক, পালানোর সময় পিস্তলসহ ধরা পড়ল একজন: একদেশ পত্রিকা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি, জনতা কর্তৃক পিস্তল ও গুলিসহ একজন আটক। সোমবার রাতে পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত কোয়েল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

পহেলা বৈশাখের রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পৌর সুপার মার্কেটের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। সোমবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে কোয়েল মোল্লা (২৮) নামের একজনকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলিসহ আটক করতে সক্ষম হয়। কোয়েল ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বাসিন্দা। জনতার গণধোলাইয়ে গুরুতর আহত কোয়েল বর্তমানে পুলিশি তত্ত্বাবধানে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচবিবি থানার ওসি মইনুল ইসলাম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় শামীম হোসেন, পৌর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি হারুনুর রশিদ সজল এবং বায়োজীদসহ কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি দোকানের সামনে গল্প করছিলেন। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে কোনো কথা ছাড়াই শামীমকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার চেষ্টা করে। উপস্থিত জনতা ও শামীমের সঙ্গীরা তাদের ধাওয়া করলে একজন ধরা পড়ে, বাকিরা পালিয়ে যায়।
ধরা পড়া কোয়েলকে উত্তেজিত জনতা মারধর করলে তিনি জ্ঞান হারান। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পৌর যুবদলের নেতা হারুনুর রশিদ সজল জানান, তারা যখন গল্প করছিলেন, তখন হেলমেট পরিহিত একজন আগন্তুক শামীমকে চিহ্নিত করে গুলি করার নির্দেশ দেয়। এরপরই এলোপাতাড়ি গুলি শুরু হয়। তারা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন এবং শামীম মাটিতে শুয়ে পড়েন। ধাওয়া করার সময় পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সজল আরও দাবি করেন, গুলি করার সময় তিনি একজনকে চিনতে পেরেছিলেন এবং পরে ওই ব্যক্তিকে হেঁটে যেতে দেখে তার কোমরে থাকা রিভলভার ফেলে দিতে দেখলে তাকে ধরে ফেলেন।
আহত শামীম হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ওসি মইনুল ইসলাম জানান, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি রিভলভার, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনাটিকে একটি পরিকল্পিত হামলা হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।

বিজ্ঞাপন বিহীন সংবাদ পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো দিন, একদেশ নিউজ খবর পেতে গুগল নিউজইউটিউব চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ সংবাদ – এক দেশ

এক দেশ পত্রিকার সর্বশেষ

লোড হচ্ছে…

Exit mobile version