জামায়াত নেতাদের বিচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ডা. শফিক

ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, মিথ্যা সাক্ষ্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি একে ‘জুডিশিয়াল কিলিং’ হিসেবে অভিহিত করেন। বিষয়টি নিয়ে উঠেছে নতুন করে বিতর্ক ও বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন।


জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেছেন যে, মিথ্যা সাক্ষ্য ও সাজানো মামলার ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে বিচারিক হত্যাকাণ্ড (Judicial Killing) চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আপিল বিভাগ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে, যা প্রমাণ করে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অনেক বছর ধরে ন্যায়বিচারের প্রতীক্ষায় থাকার পর অবশেষে তিনি মুক্তি পেলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যেসব জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদের বিচার হয়েছে একটি পক্ষপাতদুষ্ট পরিবেশে। তিনি বলেন, “ক্যাঙ্গারু কোর্টে বিচার হয়েছে। সত্যিকারের বিচার হলে তারা দণ্ডপ্রাপ্ত হতেন না। যদি তারা আজ বেঁচে থাকতেন, দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারতেন।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিচার চলাকালীন সময়ে ভিন্নমত দমন করতে গড়ে তোলা হয়েছিল দুটি নির্যাতন কেন্দ্র—একটিতে শারীরিক নির্যাতন এবং আরেকটিতে তথাকথিত ‘সেফ হোম’-এর আড়ালে মানসিক চাপ প্রয়োগ করে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, ১৯৭১ সালের ঘটনায় যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তাদের কারো সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। তিনি উদাহরণ টানেন সুখরঞ্জন বালির ঘটনায়, যা তিনি পাতানো ট্রায়ালের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিচার হলে এই ফাঁসি কার্যকর হতো না। স্কাইপ কেলেঙ্কারি সেই বিচার ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার জন্ম দেয়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই ধরনের বিচারিক পদক্ষেপ শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না—পরিবার, সমাজ ও জাতিগত বিভক্তির জন্যও তা দায়ী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version