সীমান্ত হত্যাকাণ্ড: বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুতে শোক

এই ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চলমান সহিংসতার আরেকটি করুণ উদাহরণ। এটি কেবল একটি প্রাণহানি নয়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কেরও একটি পরীক্ষা। উভয় দেশের সরকারের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।


বিএসএফের গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশি তরুণ নিহত: ভারতীয় নাগরিকও আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত ও এক ভারতীয় নাগরিক আহত হয়েছেন। রোববার (৪ মে) সকাল পৌনে ১২টার দিকে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা সীমান্ত এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মো. সাকিব (১৮) স্থানীয় নন্দননগর পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো. মোতালেবের ছেলে। আহত ভারতীয় নাগরিক সুজন বর্মন (৩৫) বর্তমানে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ

স্থানীয় প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, সাকিব ও সুজন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে আসার সময় বিএসএফ সদস্যদের লক্ষ্যে পরিণত হন। বিএসএফের গুলিবর্ষণের পর উভয়ই বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে তার পরিবার তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য

কসবা থানার ওসি আবদুল কাদের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল তদন্ত করেছি এবং প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি।” কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছামিউল ইসলাম জানান, “বিএসএফের গুলিতে দুজনই আহত হন। বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ভারতীয় নাগরিকের চিকিৎসা চলছে।”

সীমান্ত সহিংসতার ইতিহাস

এটি প্রথম নয় যখন বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে। গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৩৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার এই সহিংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।

পরিবারের প্রতিক্রিয়া

সাকিবের পরিবার এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছে। তার বাবা মো. মোতালেব বলেন, “আমার ছেলে নিরীহ ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।” স্থানীয়রা বিএসএফের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সরকারের কাছ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ

বাংলাদেশ সরকার এই ঘটনায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে আনুষ্ঠানিক নোট ভের্বাল নোট পাঠিয়েছি এবং এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।”

মানবাধিকার সংগঠনের অবস্থান

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক মীরা গাঙ্গুলি বলেন, “সীমান্তে বিএসএফের অত্যধিক বলপ্রয়োগের এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় সরকারেরই এই বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”

সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ

সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভুঁইয়া জানান, “আমরা এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করব যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।”

স্থানীয় জনগণের প্রতিক্রিয়া

স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মাদলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত বিএসএফের উৎপীড়নের শিকার হচ্ছি। সরকারকে আমাদের সুরক্ষা দিতে হবে।” অনেকেই সীমান্ত এলাকায় আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

[আরোও পড়ুনঃ যৌথ অভিযানে ১০টি স্বর্ণের বার]

এই ঘটনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে চলমান সহিংসতার আরেকটি করুণ উদাহরণ। এটি কেবল একটি প্রাণহানি নয়, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কেরও একটি পরীক্ষা। উভয় দেশের সরকারের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং বিচার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি কর্তব্য।

#সীমান্ত_হত্যাকাণ্ড #বিএসএফ_গুলিবর্ষণ#সীমান্ত_হত্যাকাণ্ড


ভিসি অপসারণের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল পরিস্থিতি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র উপাচার্যের অপসারণের দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার অধিকারের লড়াই। প্রশাসন যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না আসে, তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। সকল পক্ষের সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের তীব্র বিক্ষোভ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই বিক্ষোভে উপাচার্যের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে প্রধান ছিল ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার ঘটনা।

বিক্ষোভের কারণ ও শিক্ষার্থীদের দাবি

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট ও বিতর্কিত শিক্ষকদের পুনর্বাসন করেছেন। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের ২২ দফা দাবি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হচ্ছে। তারা আরও জানান, যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারের লঙ্ঘন।

একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে চিকিৎসার জন্য সহায়তা চেয়েও তা পাননি এবং শেষ পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অবরোধ ও হুঁশিয়ারি

বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, যদি উপাচার্যকে অবিলম্বে অপসারণ না করা হয়, তাহলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেবেন। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচিতে স্থানীয় জনগণও সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রশাসনের জবাব ও পরিস্থিতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন এই বিষয়ে শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্স করতে পারেন। অন্যদিকে, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ রাখতে নজরদারি করছে।

শিক্ষার্থীদের下一步 কর্মপরিকল্পনা

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি না মানা হলে তারা ধাপে ধাপে আন্দোলন তীব্রতর করবেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে পারেন। এছাড়া, তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে এই বিষয়ে আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব

এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের সমর্থন জানিয়েছে, আবার কিছু গোষ্ঠী সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে বলেছে। এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক ও শিক্ষা পরিস্থিতিতে।

[আরোও পড়ুনঃ নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ-19]

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র উপাচার্যের অপসারণের দাবিতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার অধিকারের লড়াই। প্রশাসন যদি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না আসে, তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে পারে। সকল পক্ষের সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।


সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ-19

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে চমকপ্রদ জয় পেয়েছে। টাইগারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে নিউজিল্যান্ড হার মানতে বাধ্য হয়েছে। ম্যাচের হাইলাইটস, কীভাবে জিতল বাংলাদেশ এবং ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রতিক্রিয়া জানতে পড়ুন আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।


বাংলাদেশের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধান: নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৭ উইকেটে হারালো স্বাগতিকরা

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সোমবার (৫ মে) অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের তোপে পড়ে মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট হয়। এরপর সহজ লক্ষ্য ধাওয়া করে বাংলাদেশ দল ১৩.৪ ওভার বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে।

প্রথম ইনিংস: নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের ব্যাটিং বিপর্যয়

নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শুরু থেকেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশের বোলারদের তীব্র বোলিংয়ে। খালেদ আহমেদ ও তানভীর ইসলামের বলের সামনে টিকতে পারেননি কিউই ব্যাটাররা। দলের প্রথম ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ৪৭ রানে। একমাত্র ডিন ফক্সক্রফট কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে ৬৪ বলে ৭২ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ওপেনার রাইস মারিউ ৫১ বলে ৪২ রান করলেও অন্য কেউ তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি।

বাংলাদেশের পক্ষে খালেদ আহমেদ ও তানভীর ইসলাম ৩টি করে উইকেট নেন। তাদের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ৩৪ ওভারের মাথায় গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৭ রানে।

দ্বিতীয় ইনিংস: বাংলাদেশের জয়ের পথে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ

১৪৮ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশও শুরুতেই দুটি উইকেট হারায়। পারভেজ হোসেন ইমন (১২ বলে ২৪ রান) ও নাঈম শেখ (২০ বলে ১৮ রান) দ্রুত আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫৩/২।

তবে এরপর এনামুল হক বিজয় ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের জুটিতে বাংলাদেশ পুনরায় ম্যাচের গতি ফিরে পায়। তারা ৫৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। বিজয় ৪৫ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেও অঙ্কন ক্রিজে থেকে যান। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সাথে মিলে অঙ্কন ৬১ বলে অপরাজিত ৪২ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। সোহান ২৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক ২টি উইকেট নেন।

ম্যাচের মূল বিষয়গুলো

  • নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল মাত্র ১৪৭ রানে অলআউট
  • খালেদ আহমেদ ও তানভীর ইসলাম ৩টি করে উইকেট নেন
  • বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী হয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে
  • মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন অপরাজিত ৪২ রান করেন
  • এনামুল হক বিজয় ও অঙ্কনের ৫৫ রানের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়

[আরোও পড়ুনঃ হাসানাতের গড়িতে সংঘটিত হামলা]

এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও এখনো দুটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল অবশ্যই ফিরে আসার চেষ্টা করবে, আর বাংলাদেশ চাইবে সিরিজ জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে। ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন অপেক্ষায় থাকবেন পরবর্তী ম্যাচের জন্য, যা হতে পারে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

#বাংলাদেশ #নিউজিল্যান্ড #এ_দল #ক্রিকেট


১ লাখ টাকায় শুরু করুন এই ৬টি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসা

মাত্র ১ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায় এমন ৬টি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া জানুন। হোম ডেলিভারি সার্ভিস, অনলাইন টিউশন, হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি, মিনি ক্যাফে, মোবাইল রিপেয়ার শপ বা ফ্রিল্যান্সিং—যেকোনো একটি বেছে নিয়ে সহজেই আয় শুরু করুন। কম বিনিয়োগে বড় সাফল্যের গাইডলাইন পেতে এখনই পড়ুন।


সীমিত বাজেটে শুরু করার মতো ৬টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে ব্যবসা শুরু করতে অঢেল পুঁজির প্রয়োজন নেই। মাত্র ১ লাখ টাকা (প্রায় ১,০০০ ডলার) বিনিয়োগ করে এবং কিছু সৃজনশীল চিন্তা দিয়ে আপনি একটি লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে ডিজিটাল যুগে, অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগিয়ে সফল হওয়া এখন আগের চেয়ে সহজ। এখানে আমরা এমন ছয়টি ব্যবসার ধারণা নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনি অল্প বিনিয়োগে শুরু করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে বড় করতে পারেন।

১. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস

প্রায় প্রতিটি ব্যবসারই এখন একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট প্রয়োজন। আপনি যদি এইচটিএমএল, সিএসএস, বা ওয়ার্ডপ্রেসের মতো প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে জানেন, তাহলে মাত্র ১ লাখ টাকা দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শুরুতে টেমপ্লেট ব্যবহার করে সহজ ওয়েবসাইট তৈরি করে ধীরে ধীরে কাস্টম ডিজাইনের দিকে যেতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • ৬২% ব্যবসায়ী তাদের ওয়েবসাইটকে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করে।
  • মাসিক রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তি করে নিয়মিত আয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।

২. মিডিয়া বাইং এজেন্সি

মিডিয়া বাইং হলো এমন একটি সেবা যেখানে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম (যেমন ফেসবুক, গুগল অ্যাডস) ব্যবহার করে কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ম্যানেজ করেন।

কেন লাভজনক?

  • ২০২২ সালে এই শিল্পের আকার ছিল ৬৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩২ সালে ১২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
  • কমিশন বা ফিক্সড ফি-এর ভিত্তিতে আয় করা যায়।

৩. VoIP রিসেলিং বিজনেস

VoIP (Voice over IP) সার্ভিস যেমন Skype, Zoom, বা স্থানীয় কোনো প্রোভাইডারের সেবা বিক্রি করে আপনি লাভ করতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • বিশ্বব্যাপী ৩ বিলিয়নের বেশি VoIP ব্যবহারকারী রয়েছে।
  • ব্যবসায়ীরা সাশ্রয়ী মূল্যে যোগাযোগের সেবা খুঁজছেন।

৪. নিশ-ভিত্তিক পোশাকের ব্যবসা

একটি বিশেষ টার্গেট গ্রুপের জন্য পোশাক ডিজাইন করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। যেমন: শিশুদের আরামদায়ক নাইটওয়্যার বা ইকো-ফ্রেন্ডলি ফ্যাব্রিকের পোশাক।

কেন লাভজনক?

  • অনলাইন ফ্যাশন মার্কেট প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে।
  • ইউনিক প্রোডাক্ট দ্রুত ভাইরাল হতে পারে।

৫. মুভিং সার্ভিস লিড জেনারেশন

আপনি নিজে ট্রাক বা ভ্যান না কিনেও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে লোকাল মুভিং কোম্পানিগুলোকে ক্লায়েন্ট এনে দিতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • প্রতিবছর হাজারো পরিবার বা অফিস স্থানান্তর করে।
  • কমিশন-ভিত্তিক ব্যবসা বলে রিস্ক কম।

৬. এসএমএস মার্কেটিং সার্ভিস

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকদের কাছে এসএমএস মার্কেটিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

কেন লাভজনক?

  • ৯৮% এসএমএস খোলা হয়, যেখানে ইমেইলের রেসপন্স রেট মাত্র ২০%।
  • স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই সেবার জন্য প্রিমিয়াম দিতে প্রস্তুত।

[আরোও পড়ুনঃ উদ্যোক্তা – ডিজিটাল সেলার বিজ্ঞাপন]

এই ব্যবসাগুলোর প্রতিটিই অল্প বাজেটে শুরু করা যায় এবং ধীরে ধীরে বড় করা সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আপনি কোন সমস্যার সমাধান করছেন এবং তা কীভাবে অনন্য করতে পারবেন। তাহলে, কোন আইডিয়াটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী?


হামলার পর ছাত্রদল নেতা নাছিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল

হাসানাতের গড়িতে সংঘটিত হামলার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নাছির উদ্দিনের সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্যাটাস ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিক্রিয়া আসছে। এই ঘটনার পটভূমি ও নাছিরের অবস্থান জানতে পড়ুন আমাদের সম্পূর্ণ প্রতিবেদন।


জাতীয় নাগরিক পার্টি নেতার গাড়িতে হামলার ঘটনায় ছাত্রদল নেতার তীব্র নিন্দা

গাজীপুরের বাসন থানায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। রোববার (৪ মে) রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই হামলাকে ‘রাজনৈতিক সন্ত্রাস’ আখ্যা দিয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের বাসন সড়ক এলাকায় এনসিপি নেতার গাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীরা প্রথমে গাড়িটি অবরুদ্ধ করে পরে গুলিবর্ষণ করে। নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সৌভাগ্যক্রমে সামান্য আঘাত নিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও তার গাড়িটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়।

ছাত্রদল নেতার তীব্র প্রতিক্রিয়া

নাছির উদ্দীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন:

  • “জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের টার্গেট করে চলমান সন্ত্রাসী হামলা সরকারের ব্যর্থতারই প্রতিচ্ছবি”
  • “ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার পরিবর্তে রাজনৈতিক দলগুলো নিজস্ব স্বার্থে ব্যস্ত”
  • “গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবায়নে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি”

তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, গত এক বছরে এ ধরনের ১৭টি হামলার ঘটনায় কোনো আসামি শাস্তি পায়নি, যা সন্ত্রাসীদের উৎসাহিত করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন:

  1. আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলীয় নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল
  2. সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত
  3. স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন মাত্রা

পুলিশের তদন্ত ও ব্যবস্থা

বাসন থানার ওসি মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন:

  • ঘটনাস্থল থেকে ৯টি গুলির খোলস উদ্ধার
  • সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ
  • এখন পর্যন্ত ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক
  • প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত ৩ জন ফেরার

জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিক্রিয়া

এনসিপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মাহমুদুল হক এক বিবৃতিতে:

  • হামলাকে ‘রাজনৈতিক হত্যাচেষ্টা’ আখ্যা দিয়েছেন
  • ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার দাবি
  • প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার পটভূমি

গত তিন মাসে গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা:

  1. ২ এপ্রিল: জেপি নেতার অফিস ভাংচুর
  2. ২৫ এপ্রিল: বিএনপি কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়া

মানবাধিকার সংগঠনের অবস্থান

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন:

  • “রাজনৈতিক সহিংসতা রোধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রণয়নের আহ্বান”
  • “তদন্তে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব”

[আরোও পড়ুনঃ গ্যাস বিস্ফোরণ: নিহত ৫]

এই ঘটনা রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধির নতুন সংকেত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে আগামী দিনে সহিংসতার মাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সকল রাজনৈতিক দলকে সংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধানের আহ্বান জানানো হয়েছে।




গাজীপুরে মর্মান্তিক গ্যাস বিস্ফোরণ: নিহত ৫

গাজীপুরের এই মর্মান্তিক ঘটনা একটি পরিবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সতর্কতা ও সরকারি পর্যায়ে কঠোর নজরদারি এই ধরনের দুর্ঘটনা রোধে জরুরি। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পুনর্বাসনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।


গাজীপুরের জয়দেবপুরের মোগলখাল এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (৪ মে) রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করে ১০ বছর বয়সী তানজিলা। এর আগে পারভিন আক্তার (৩৫), তার এক বছরের শিশুপুত্র আয়ান, সিমা আক্তার (৩০) এবং পাঁচ মাসের গর্ভবতী তাসলিমা বেগম (৩০) মারা যান।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ

গত শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোগলখাল এলাকায় রান্নার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাড়িটি আগুনে পুড়ে যায় এবং পাঁচ সদস্য গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় রাত পৌনে ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসা ও মৃত্যুর ধারাবাহিকতা

  • শিশু আয়ান: এক বছরের শিশু আয়ান শনিবার প্রথম মারা যায়।
  • সিমা আক্তার: ৯০% দগ্ধ হয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মৃত্যুবরণ করেন।
  • তাসলিমা বেগম: পাঁচ মাসের গর্ভবতী তাসলিমা ৯০% এর বেশি দগ্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) মারা যান।
  • পারভিন আক্তার: রোববার সকালে মারা যান।
  • তানজিলা: ১০ বছর বয়সী তানজিলা ৯০% দগ্ধ হয়ে রোববার রাতে মারা যায়।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবারের করুন অবস্থা

এই ঘটনায় পরিবারটির একমাত্র বেঁচে থাকা সদস্য হলেন পারভিন আক্তারের স্বামী, যিনি ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারটি আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছিল এবং তাদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয়ভাবে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছিল।

[আরোও পড়ুনঃ প্রায় ১০ হাজার জনের ভিসার আবেদন এখনো সম্পন্ন হয়নি

গ্যাস সিলিন্ডার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

এই ঘটনা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্বকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত সিলিন্ডার ও গ্যাস লাইন চেকআপ, ভালো ভেন্টিলেশন এবং জরুরি অবস্থায় ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার এই ধরনের দুর্ঘটনা কমাতে পারে।

সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা

গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে


পুলিশের চাঁদা কেলেঙ্কারি! কলাবাগান থানার তিন কর্মকর্তা প্রত্যাহার

কলাবাগান থানায় কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে ওসি ও দুই এসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানা গেছে। এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় থানার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং উচ্চপর্যায় থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবর জানতে আমাদের প্রতিবেদন পড়ুন।


কলাবাগান থানার ওসি ও এসআই-এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ – সাময়িক বরখাস্ত

রাজধানীর কলাবাগান থানার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক অর্থ আদায় ও মিথ্যা মামলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান এবং এসআই বেলাল হোসেন ও মান্নানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনার বিবরণ

শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ কলাবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার বর্ণনায় জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে এসআই বেলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে। বাসার ম্যানেজার ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে। তবে কলাবাগান থানার ওসি মোক্তার হোসেন শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমকে চলে যেতে নির্দেশ দেন।

ড. ওয়াদুদ জানান, পুলিশ সদস্যরা তার বাসার তৃতীয় তলার দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় তার ৯০ বছর বয়সী মা ও স্ত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করার পর এসআই বেলাল ও মান্নান তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের ভেতরে টেনে নেয় এবং অস্ত্রের খোঁজ করতে থাকে। পরে মান্নান নামের এক পুলিশ সদস্য তাকে ১ কোটি টাকা দাবি করে এবং বলে, “টাকা না দিলে ১০টি মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হবে।” চাপের মুখে ড. ওয়াদুদ ২ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করেন এবং বাকি টাকা ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে দিতে সম্মত হন।

লুটপাট ও ভীতি প্রদর্শন

পুলিশ সদস্যরা ড. ওয়াদুদের বাসা থেকে ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তার মিনি চিড়িয়াখানায় লাইসেন্সধারী হরিণ ও বিদেশি পাখিগুলোর ক্ষতি করা হয়। একটি গর্ভবতী হরিণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায়। পুলিশ সদস্যরা জোরপূর্বক একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ধারণ করে, যাতে দেখানো হয় যে বাসায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

[আরোও পড়ুনঃ গ্রেফতার চিন্ময় দাস]

বর্তমান অবস্থা

ড. ওয়াদুদ এখনও সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাসায় ফিরতে পারছেন না। অজ্ঞাত লোকজন তার বাসার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে বলে তিনি জানান। যদিও থানা থেকে ল্যাপটপ ফেরত দেওয়া হয়েছে, তবে অন্যান্য জিনিসপত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।

তদন্ত ও পদক্ষেপ

ডিএমপি এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে ড. ওয়াদুদ দাবি করেছেন, শুধু বরখাস্তই যথেষ্ট নয়, দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।


#ঢাকা_অপরাধ #মিথ্যা_মামলা #ডিএমপি_তদন্ত #পুলিশ_চাঁদাবাজি #কলাবাগান_থানা_স্ক্যান্ডাল

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় দাস

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তে নতুন মোড় নেয়ার কথা জানাচ্ছে পুলিশ। আলিফ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চিন্ময় দাসকে আটকের পর আদালতে হাজির করা হয়েছে। স্থানীয় সম্প্রদায় ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই গ্রেফতারের ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছে। বিস্তারিত জানুন আমাদের আপডেটে।


চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়। শুনানির সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অনলাইনে যুক্ত করা হয়। এর আগে রোববার পুলিশ আলিফ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করে।

ঘটনার পটভূমি

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী আলিফকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

ঘটনার চার দিন পর আলিফের বাবা ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া, আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় আলিফের ভাই আরেকটি মামলা করেন, যেখানে ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশের ওপর হামলা ও তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরও তিনটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়।

গ্রেফতারের প্রক্রিয়া ও আইনি লড়াই

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের আবেদন পুলিশ কর্তৃক জমা দেওয়ার পর আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন। আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই মামলায় দ্রুত বিচার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে।

এই মামলার তদন্তে পুলিশের তৎপরতা এবং আদালতের সিদ্ধান্তকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থকরা দাবি করছেন যে, এই মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।

আইনজীবী সমাজ ও জনমত

আইনজীবী আলিফের হত্যাকাণ্ড সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বিভিন্ন আইনজীবী সংগঠন এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার দাবি করেছে। চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশন এই মামলায় বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে এবং নিহত আইনজীবীর পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব

এই ঘটনায় সনাতনী জাগরণ জোটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু মহল দাবি করছে যে, সংঘর্ষের সময় উগ্র গোষ্ঠীগুলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। অন্যদিকে, হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু সংগঠন বলছে যে, তাদের নেতৃত্বকে ফাঁসানোর জন্য এই মামলা করা হচ্ছে।

তদন্তের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

এই মামলায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্তের ধারাবাহিকতায় আরও অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া কতটা দ্রুত ও স্বচ্ছ হয়, তা এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

[আরোও পড়ুনঃ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন]

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে, এই মামলার পেছনের রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ইস্যুগুলো এখনও উত্তপ্ত বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে জরুরি।

#আদালত #অপরাধ #চট্টগ্রামবিভাগ


Exit mobile version