প্রায় দুই দশক পর কুয়েত সরকার পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে বন্ধ থাকা এই সুবিধা পুনরায় চালু হওয়ায় দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিস্তারিত জানুন এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত সম্পর্কে।
কুয়েত সরকার দীর্ঘ ১৯ বছর পর পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এটি জানিয়েছেন ওভারসিজ পাকিস্তানিস মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুস্তাফা মালিক। স্থানীয় সময় সোমবার (২৬ মে) দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই খবর প্রকাশ করে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, কুয়েতে পাকিস্তানি নাগরিকরা কর্মসংস্থান, পারিবারিক, সফর, পর্যটন এবং বাণিজ্যিক সহ বিভিন্ন ধরণের ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
মুস্তাফা মালিক বলেন, এই সিদ্ধান্ত কুয়েতে থাকা হাজার হাজার পাকিস্তানিকে চাকরি, ব্যবসা এবং ভ্রমণের নতুন সুযোগ এনে দেবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আরব দেশগুলো পাকিস্তানের দক্ষ মানবসম্পদকে নিয়োগে আগ্রহী।
অন্যদিকে, কুয়েতের বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ড. জাফর ইকবাল ঘোষণা দিয়েছেন যে, তারা ১২শ’ পাকিস্তানি নার্সকে কুয়েতের স্বাস্থ্য খাতে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছেন। যদিও গত সপ্তাহে ১২৫ জন নার্স কুয়েত যাওয়ার কথা ছিল, বাসস্থান সমস্যা কারণে তাদের আগমন বিলম্বিত হয়েছে।
ড. জাফর ইকবাল নিশ্চিত করেছেন, সংশ্লিষ্ট টিম দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করছে এবং আশাকরি নার্সরা কয়েক দিনের মধ্যে কুয়েতে পৌঁছবেন।
তিনি আরও জানান, “কুয়েত কর্তৃপক্ষ এখন থেকে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক ভিসা, পারিবারিক ও পর্যটন ভিসাসহ বিভিন্ন ভিসার আবেদন অনলাইনে গ্রহণ শুরু করেছে,” যা ভিসা প্রক্রিয়ায় একটি বড় উন্নতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।