হাসনাত আবদুল্লাহ স্পষ্ট করেছেন, দুই ছাত্র উপদেষ্টা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না, বরং তারা গণ-আন্দোলনের মুখপাত্র। এনসিপির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার গুজব ভিত্তিহীন। এই মন্তব্যে আন্দোলনের নিরপেক্ষতা ও স্বতন্ত্রতা নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। জনমতের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিয়েই চলেছে বিতর্ক।
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা—আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম—এর পদত্যাগ দাবি করেছে বিএনপি। এ বিষয়ে আজ রোববার সকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ মন্তব্য করেন, এই উপদেষ্টারা মূলত গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধিত্ব করছেন, কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। তাঁদের দলীয় পরিচয়ে সংযুক্ত করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পথসভা শুরুর আগে নগরীর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এই দুই ছাত্র উপদেষ্টার অবস্থান সম্পর্কে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এনসিপি মনে করে, তাঁদের প্রতি সম্মান বজায় রাখা জরুরি এবং তাঁদের বারবার দলীয় পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত করাটা অনুচিত।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবেই, তবে সংকটময় সময়ে আমরা সব রাজনৈতিক শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি—এটাই জাতীয় ঐক্যের চিত্র। অতীতে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সময়ও গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব শক্তি একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে।
পথসভা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচার, সংবিধান সংস্কার, নতুন নির্বাচন ব্যবস্থা ও শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিয়ে জনগণের মতামত জানতেই এই কর্মসূচি। তিনি জানান, এসব বিষয় ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, এবং জাতীয় রোডম্যাপ দ্রুত প্রকাশের দাবি তোলা হয়েছে।
আজকের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, দোহাজারী, চন্দনাইশ, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে পথসভা। এসব আয়োজনে হাসনাত আবদুল্লাহ ছাড়াও উপস্থিত আছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম সদস্যসচিব মীর আরশাদুল হক।