“২০০৮ সালে ছুটি নিয়ে যুক্তরাজ্য গিয়েছিলেন, এবার ফিরছেন সরকারি চাকরিতে”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরকারি চিকিৎসক পদে ফিরছেন। ২০০৮ সালে স্বামীর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য গমন ও পরবর্তীতে ৫ বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় তার চাকরি বাতিল হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ বিবেচনায় তার পুনর্বহাল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই এমবিবিএস ও ইম্পেরিয়াল কলেজের স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ১৯৯৫ সালে বিসিএস চিকিৎসক ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত সাজা স্থগিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে 


দীর্ঘ বিরতির পর সরকারি চাকরিতে ফিরতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোবাইদা রহমান। সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, আর খুব শিগগিরই—সম্ভবত এক-দুই দিনের মধ্যেই—এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করা হবে বলে সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দেশে ফিরে পূর্বের কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুসারে তার চাকরি বাতিল করা হয়।

ডা. জোবাইদা রহমান ১৭ বছর পর, ৬ মে মঙ্গলবার, লন্ডন থেকে দেশে ফিরে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঢাকায় পা রাখেন।

পরদিন, বুধবার বিকেলে বনানী সামরিক কবরস্থানে গিয়ে তিনি তার বাবা, সাবেক নৌবাহিনী প্রধান মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান।

[আরোও পড়ুনঃজোবাইদার প্রত্যাবর্তন] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জোবাইদা রহমান। ১৯৯৫ সালে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করে যোগদান করেন তিনি। ঢাকার মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি।


রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় জোবাইদার প্রত্যাবর্তন

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন জোবাইদা রহমান, যিনি রাজনৈতিকভাবে আলোচিত একটি নাম। তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা ও নানা জল্পনা। প্রবাস জীবন কাটিয়ে হঠাৎ করে দেশে ফেরা অনেকের নজর কেড়েছে। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্লেষণ। জোবাইদার ফেরা শুধুই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে আছে বৃহত্তর পরিকল্পনা—তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।


১৭ বছর পর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন ডা. জোবাইদা রহমান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর এবারই প্রথম বাংলাদেশে পা রাখলেন তিনি। এতদিন লন্ডনে স্বামী ও মেয়ে জায়মা রহমানকে নিয়ে প্রবাসজীবনে ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার (৬ মে) কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গেই দেশে আসেন দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। বিমানটি সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে জোবাইদা রহমান, তার স্বামী তারেক রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ২০২৩ সালে আদালতের এক রায়ে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ওই সাজা স্থগিত হয়।

ফেরার পর তিনি ধানমন্ডির পৈতৃক বাসভবন ‘মাহবুব ভবনে’ উঠবেন বলে জানা গেছে। প্রয়াত বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের এই বাড়িতেই অসুস্থ মায়ের সঙ্গে থাকবেন তিনি।

[আরোও পড়ুনঃ অচল মস্কোর বিমান চলাচল] [ইউটিউবে খবর দেখুন]]

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জনকারী জোবাইদা ১৯৯৫ সালে বিসিএসে প্রথম হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ছুটি শেষে ফিরে না আসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তার চাকরিচ্যুতি করে।

সিলেট জেলায় জন্ম নেওয়া জোবাইদা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ভাতিজি। তার বাবা মাহবুব আলী ছিলেন নৌবাহিনীর প্রধান এবং পরবর্তীতে এরশাদ সরকারের সময় মন্ত্রীও ছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি।


Exit mobile version