অল্প টাকায় ব্যবসা, বেশি মুনাফা: জেনে নিন সম্ভাবনাময় ৭ উদ্যোগ

অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী হলে ২০২৫ সাল হতে পারে আপনার জন্য সেরা সময়। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এমন ৭টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া, যেগুলো কম খরচে চালু করা সম্ভব এবং সঠিক পরিকল্পনায় বেশ আয় করার সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং, কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ ও হোম-ভিত্তিক ব্যবসাগুলো ২০২৫-এ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। উদ্যোক্তারা চাইলে এখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাস্তব পরিকল্পনা নিতে পারেন।


বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক চাপে নতুন উদ্যোগ শুরু করা অনেকের কাছেই কঠিন মনে হতে পারে। আমদানি নির্ভরতা, মূল্যস্ফীতি ও বাজারের অস্থিরতার মধ্যেও, ঠিক এখানেই লুকিয়ে আছে নতুন সম্ভাবনা। যারা সাহস ও সৃজনশীলতাকে সঙ্গী করে সামনে এগিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য ছোট পরিসরে লাভজনক ব্যবসা শুরু করার এখনই উপযুক্ত সময়।

২০২৫ সালকে ঘিরে জনপ্রিয় ব্যবসা-বিষয়ক ম্যাগাজিন Entrepreneur কিছু সম্ভাবনাময় উদ্যোগের ধারণা তুলে ধরেছে, যেগুলো বিশ্বের যেকোনো জায়গায়, এমনকি ঘরে বসেও শুরু করা সম্ভব। আসুন, দেখি কিছু আলোচিত খাত:

১. নোটারি সার্ভিস:
আইনি নথি সত্যায়নে স্বীকৃত সাক্ষী হিসেবে কাজ করা যায় নোটারি হিসেবে। মর্টগেজ, চুক্তি কিংবা বিভিন্ন দলিলে এই সেবা এখনো সমান গুরুত্বপূর্ণ। শুরু করতে খরচ কম এবং চাইলে আপনি নিয়মিত আয় করতে পারেন।

২. ল্যান্ডস্কেপিং ও লন কেয়ার:
গৃহসজ্জা, লন পরিচর্যা কিংবা ফেন্সিং-এর মতো কাজগুলো এখন বিশাল বাজার তৈরি করেছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এ খাতের বাজার ৩৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৩. গ্রাফিক ডিজাইন:
Canva বা Illustrator-এ দক্ষ হলে আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ শুরু করতে পারেন। কোম্পানির ব্র্যান্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, লোগো ডিজাইন ইত্যাদিতে এই সেবা চাহিদাসম্পন্ন।

৪. যন্ত্র মেরামত:
ইলেকট্রনিক ডিভাইস মেরামত যেমন- ফ্রিজ, মোবাইল বা ল্যাপটপ, এই কাজগুলোতে পারদর্শী হলে স্থানীয় গ্রাহক পেতে সময় লাগবে না। ওয়ারেন্টি সার্ভিস বা পুরনো যন্ত্র ঠিক করে বিক্রিও করা যায়।

[আরোও পড়ুনঃচার মাসে ১০ মরদেহ উদ্ধার] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

৫. পোষাপ্রাণী সেবা:
ডগ ওয়াকিং, পেট গ্রুমিং কিংবা পোষা প্রাণীর দেখভালের কাজটিকে পেশায় পরিণত করা যায় খুব সহজেই। এ খাতে প্রবেশে বাধা কম, কিন্তু চাহিদা বাড়ছে দ্রুত।

৬. ইভেন্ট প্ল্যানিং:
কারও জন্মদিন থেকে শুরু করে কর্পোরেট সম্মেলন—সবকিছুরই পেছনে থাকে একজন দক্ষ পরিকল্পনাকারী। ভ্যাকেশন প্ল্যানিংও এখন জনপ্রিয় একটি সেবা।

৭. কোচিং ও কনসালটেন্সি:
নিজের অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা অন্যদের শেখাতে পারলে আপনি হয়ে উঠতে পারেন প্রশিক্ষক, কনসালট্যান্ট বা লাইফ কোচ। ঘরে বসেই অনলাইনে শুরু করা সম্ভব।

২০২৫ সাল হতে পারে একান্ত নিজের উদ্যোগ শুরু করার সেরা সময়। আপনি যদি আগ্রহী হন, তাহলে এই তালিকার যেকোনো একটি ধারণা দিয়ে নিজের ভবিষ্যতের পথে পা বাড়াতে পারেন।


চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ, লক্ষ্য—উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সময়োপযোগী চ্যালেঞ্জগুলোকে দক্ষতা, কৌশল এবং বিচক্ষণতার মাধ্যমে মোকাবেলা করা এখন সময়ের দাবি। বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকটের মাঝে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার বাস্তবমুখী পরিকল্পনা ও দুরদর্শী নেতৃত্ব। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতাগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করেই গড়ে তুলতে হবে একটি টেকসই ও উন্নত বাংলাদেশ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ও সমৃদ্ধ হবে।


সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কৌশলগত নেতৃত্বের বিকাশ এবং সময়োপযোগী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে আয়োজিত ক্যাপস্টোন কোর্স ২০২৫-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ফেলোদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন সেনাপ্রধান। বক্তব্যে তিনি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান এবং প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করায় তাদের প্রশংসা করেন।

[আরোও পড়ুনঃতিনজনের মৃত্যুদণ্ড] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট যেভাবে দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাতে আত্মনির্ভরশীল ও দক্ষ জাতি গঠনে এমন নেতৃত্বমূলক প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিন সপ্তাহব্যাপী এই স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন ৩২ জন ফেলো—যাদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, চিকিৎসক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, কূটনীতিক, সাংবাদিক ও কর্পোরেট পেশাজীবীরা।


তরুণদের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণে সরকার এগিয়ে আসছে: আসিফ মাহমুদ

তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং ও অন্যান্য প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তিনি জানান, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। সরকারি উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণগুলো সারাদেশে বিস্তৃত হবে এবং এতে তরুণদের কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।


🔻 তরুণদের জন্য এআই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার

আগামী তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের জায়গায় নিতে তরুণদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও অন্যান্য দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার—এ কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী জুন বা জুলাই থেকেই এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

[আরোও পড়ুনঃ পথচারীর মর্মান্তিক মৃত্যু] [ইউটিউবে খবর দেখুন]

আসিফ মাহমুদ সজীব আরও জানান, প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলো আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় ডিজাইন করা হবে, যাতে বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্ব প্রতিযোগিতায় নিজেদের যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে পারে।

তিনি বলেন, “আগে অনেকেই কেবল ভাতার আশায় প্রশিক্ষণে অংশ নিত। আমরা এমনভাবে কোর্সগুলো গড়ে তুলবো, যাতে ভবিষ্যতে মানুষ আগ্রহ নিয়ে নিজের খরচে সরকারি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চায়।”


Exit mobile version